/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2024/04/ie-Rohit-and-Virat.jpg)
রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি বৃহস্পতিবার বন্ধুত্বপূর্ণ বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। (স্ক্রিন গ্র্যাব)
Mumbai Indians vs Royal Challengers Bengaluru: মুম্বই ইন্ডিয়ান্স-এর বিপক্ষে ওয়াংখেড়েতে নিজের মেজাজেই ছিলেন বিরাট কোহলি। হেভিওয়েট ম্যাচের এক ভিডিও হঠাৎ ভাইরাল। যে ভিডিওয় কোহলিকে দেখা যাচ্ছে রোহিতের পিঠে আলতো চাপড় মারতে। পাল্টা রোহিতকে দেখা যায় থাম্বস আপ শো করতে।
রোহিতের সঙ্গে কোহলির সম্পর্ক নিয়ে বহুদিন ধরেই জল্পনা চলছে। কয়েকদিন আগেই এক ইভেন্টে রোহিতের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিয়ে খুল্লামখুল্লা মুখ খোলেন ভিকে, "গত ১৫-১৬ বছর ধরেই আমরা একসঙ্গে খেলছি। অসাধারণ এক জার্নির অভিজ্ঞতা হয়েছে দুজনের। আমরা ভাবতেই পারিনি ২-৩ জন সিনিয়রের সঙ্গে আমরা রয়ে যাব। দুজনের যাত্রা অসাধারণ ছিল।"
সেই ইভেন্টে কোহলির নেতৃত্ব-দক্ষতা নিয়েও মুখ খোলেন কিং কোহলি, "রোহিতের বেড়ে ওঠা, কেরিয়ারে যা কিছু অর্জন সব নিজের চোখে দেখেছি। ও এখন জাতীয় দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছে। অসাধারণ ব্যাপার।"
তার আগে ম্যাচে হার্দিক পান্ডিয়াকে দর্শক রোষের হাত থেকে বাঁচান কোহলি। দ্বিতীয় ইনিংসে মুম্বইয়ের রান চেজ করার সময় হার্দিক যখন ক্রিজে নামলেন সেই সময় ওয়াংখেড়ে দেখেছে মিশ্র আবেগের সমাহার। রোহিত আউট হওয়ার পর হার্দিক যখন গার্ড নিচ্ছিলেন, সেই সময় মুম্বই অধিনায়ককে লক্ষ্য করে ব্যঙ্গ-টিটকিরি চালু হয়ে যায়।
সেই সময় যখন মনে হচ্ছে, আরও একপ্রস্থ টিটকিরি ধেয়ে আসতে চলেছে হার্দিককে লক্ষ্য করে, সেই সময় হঠাৎই সুর বদল ঘটে। ৩৩ হাজার দর্শক হার্দিকের নাম ধরেই এবার চিৎকার করতে থাকে। নিজের নামে জয়ধ্বনির মধ্যেই হার্দিক দর্শকদের প্ৰথম বলে লং অনের ওপর দিয়ে ওভার বাউন্ডারি হাঁকিয়ে পাল্টা অভিবাদন জানান। টিটকিরি মুহূর্তেই বদলে যায় জয়ধ্বনিতে।
ম্যাচের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক ভিডিও ভাইরাল ইয়ে যায়। যেখানে কোহলি দর্শকদের কাছে অনুরোধ করেছেন, হার্দিককে ব্যঙ্গ করার বদলে তাঁরা যেন তারকার পাশে থাকেন। হিন্দি ধারাভাষ্যকারও কমেন্ট্রি করার সময় বিষয়টি উল্লেখ করেন।
যাইহোক, ম্যাচে আরসিবিকে ৭ উইকেটে পরাস্ত করে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। বুমরা ৫ উইকেট নিলেও আরসিবি ১৯৬ রানের বড়সড় পুঁজি জমা করেছিল স্কোরবোর্ডে। ফাফ দু প্লেসিস, রজত পাতিদার হাফসেঞ্চুরি করার পর শেষদিকে দুরন্ত ফিফটি করে যান দীনেশ কার্তিকও। এই রান চেজ করতে নেমে ঈশান কিষান ৩৪ বলে ৬৯ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলেন। সূর্যকুমার যাদব ১৯ বলে ৫২ করে ম্যাচ একপেশে করে দেন।