Mitchell Starc criticism: একদিনের বিশ্বকাপে আগুন ঝরানো বোলিং। হলুদ জার্সির অস্ট্রেলিয়া দলের পেস ব্যাটারির প্রধান অস্ত্র। আইপিএল নিলামে সেই অস্ত্রকে থলি উজাড় করে ভেঙ্কি মাইসোররা প্রায় ২৫ কোটি টাকার দর দিতেই সবার চক্ষু চড়কগাছে উঠেছিল। একদিনের বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার পর তখনও বেশিদিন হয়নি। তবুও প্রশ্ন উঠেছিল, 'টাকাটা বেশি হয়ে গেল না?'
কেকেআর জিতলেও, মিচেল স্টার্কের এবারের আইপিএলে প্রথম দিকে বিশেষ কিছু করে দেখাতে না পারা, সেই প্রশ্নকেই গুঞ্জন করে তুলেছিল- 'টাকাটা জলেই গেল!' গুঞ্জন থামাতে কেকেআরকে সাংবাদিক বৈঠক পর্যন্ত করতে হয়েছিল। কেকেআরে স্টার্কের সতীর্থ পেসারকে দিয়ে টিম ম্যানেজমেন্টকে দিয়ে বলাতে হয়েছিল, 'মিচেল স্টার্কের প্রতি দলের ভরসা আছে। ও বড় প্লেয়ার। ঠিক সময়ে জ্বলে উঠবে।'
স্টার্কের কেকেআরে আমদানির পিছনে যাঁর পরামর্শ মাইসোররা দুবাইয়ের মিনি নিলামে মেনেছিলেন, তিনি মেন্টর গৌতম গম্ভীর। পাশে বসা যাঁর ঈশারায় নিলামে মাইসোর বেছে নিয়েছিলেন একের পর এক খেলোয়াড়কে। স্টার্কের ক্ষেত্রেও অন্যথা হয়নি। অস্ট্রেলিয়ান পেসার ওপর ধরা গম্ভীরের বাজিটা আইপিএলের শেষের লগ্নে কাজে লাগল। শেষের কয়েকটি ম্যাচে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে অস্ট্রেলিয়ান পেসার আইপিএলের মতই তাঁর ওপর বাজি লাগানোর লড়াইয়েও গম্ভীরকে জিতিয়ে দিলেন।
রবিবারের ফাইনালে কামিন্সের ক্যাচ মিস করতেই ইঙ্গিতবাহী ধারাভাষ্য ভেসে এসেছিল, 'কামিন্স অস্ট্রেলিয়া দলে স্টার্কের অধিনায়ক!' সেই সবের জবাব দলের আইপিএল জয়ের পর কেকেআরের ২৪.৭৫ কোটি টাকার খেলোয়াড় দিয়েছেন। স্টার্ক বলেছেন, 'আমার অতিরিক্ত অনুপ্রেরণার প্রয়োজন নেই। আমি এখানে বিদেশি আন্তর্জাতিক খেলোয়াড় হিসেবে এসেছি। কোয়ালিফায়ার বা ফাইনালের মত একটা-দুটো ম্যাচ খেলানোর জন্য আনা হয়নি। আমার কেরিয়ারে আগেও প্রচুর সমালোচক ছিল। সেসব তাই আমার মধ্যে রেখাপাত করে না। সাফল্যে অবদান রাখতে পেরে আমি আনন্দিত।'
এবারে আইপিএলে দুটো নকআউট খেলায় পাঁচটা উইকেট নিয়েছেন। সবমিলিয়ে ১৭টি উইকেট শিকার করেছেন স্টার্ক। সোজাসাপটা বুঝিয়ে দিলেন, ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটই তাঁর ভবিষ্যৎ। স্টার্ক বলেছেন, 'গত ৯ বছর ধরে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটকে অগ্রাধিকার দিয়েছি। অন্যবার আইপিএলের সময়টা ছুটি কাটাতাম। স্ত্রীকে সময় দিতাম। এবার আইপিএলে খেললাম কারণ, আমার আন্তর্জাতিক কেরিয়ার শেষের পথে। কোনও একটা ফরম্যাট থেকে বাদ পড়তে পারি। পরেরবারের একদিনের বিশ্বকাপের জন্য হাতে এখনও অনেক সময়। আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের জন্য আমার দরজা খুলে দিল।'
শুধুই কি এই কারণেই তিনি এবার আইপিএল খেলতে রাজি হলেন? স্টার্ক বলেছেন, '১ জুন থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজে টি-২০ বিশ্বকাপ। তার প্রস্তুতিটাও আইপিএলে হয়ে গেল। এখানে বিভিন্ন জায়গার দুর্দান্ত খেলোয়াড়রা খেলেছেন। এঁদের অনেকেই বিশ্বকাপেও খেলবেন। তাই আমি টুর্নামেন্টটা পুরোপুরি উপভোগ করেছি। আশা করছি, পরের বারও খেলতে আসব। আর, কেকেআরেই খেলব।'