কেকেআর: ১৩৭/৯
সিএসকে: ১৪১/৩
Chennai Super Kings vs Kolkata Knight Riders IPL 16th Match Highlights: টার্গেট ছিল মাত্র ১৩৮। ঘরের মাঠে লো স্কোরিং চেজে চেন্নাই এই লক্ষ্য তাড়া করল হাতে ১৪ বল এবং ৭ উইকেট নিয়ে। টানা দুই ম্যাচ হারের পর সিএসকে জয়ে ফিরল এতদিন অপরাজিত কেকেআরকে হারিয়েই।
বল হাতে মুস্তাফিজ, তুষার দেশপান্ডে, রবীন্দ্র জাদেজাদের ভেলকির পর সিএসকেকে ব্যাট হাতে জেতালেন ক্যাপ্টেন রুতুরাজ। স্লো পিচে চ্যালেঞ্জিং টার্গেট তাড়া করতে নেমে নারিন-বরুণ চক্রবর্তী-স্টার্কদের থামিয়ে রুতুরাজ খেলে গেলেন ঝকঝকে রানের ইনিংস।
পাওয়ার প্লের মধ্যেই রচিন রবীন্দ্রকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন নাইটদের বৈভব অরোরা। এরপরে ড্যারেল মিচেলের সঙ্গে ৭০ রানের পার্টনারশিপ গড়ে যান সিএসকে ক্যাপ্টেন। নারিন-বরুণরা টাইট লেন্থে বোলিং করে গেলেও উইকেট ছুঁড়ে দিয়ে আসেননি। মিচেল আউট হয়ে যাওয়ার পর শিবম দুবের (১৮ বলে ২৮) সঙ্গে ৩৮ রানের পার্টনারশিপে জয়ের ত্রিসীমানায় পৌঁছে দেন দলকে। তবে একদম শেষ মুহূর্তে শিবম আউট হয়ে যাওয়ার পর ধোনিকে সঙ্গে নিয়ে জয় সম্পন্ন করেন রুতুরাজ। শেষ পর্যন্ত তিনি ৫৭ বলে ৬৩ করে যান ৮ বাউন্ডারি হাঁকিয়ে।
CSK vs KKR IPL 22nd Match Report 2024
লো স্কোরিং ম্যাচে কেকেআর তার আগে হাঁসফাঁস করে আটকে গিয়েছিল মাত্র ১৩৭/৯। ব্যাটিং পিচে কেকেআরের বিগ হিটাররা রানের বন্যা বইয়ে দিচ্ছিল। তবে চেন্নাইয়ের স্লো ট্র্যাকে আসতেই নাইটদের ব্যাটিংয়ের হাড়-কঙ্কাল বেরিয়ে গেল।
মন্থর পিচে স্কোয়ার টার্ন হচ্ছিল। এই পিচেই নারিন থেকে রাসেল, রিঙ্কু- সকল বিগ হিটাররাই দমবন্ধ হয়ে গেল তুষার দেশপান্ডে, রবীন্দ্র জাদেজা, মুস্তাফিজুর রহমানদের সামনে।
প্ৰথম ওভারেই সল্টকে হারিয়ে ফেলে কেকেআর। নারিন-অঙ্গকৃশ এরপরে ৫৬ রানের জুটি বেঁধে কাটিয়ে দেন পুরো পাওয়ার প্লে। তবে দুজনে কখনই স্বচ্ছন্দ ছিলেন না। পাওয়ার প্লে শেষ হতেই রবীন্দ্র জাদেজা একই ওভারে নারিন-রঘুবংশীকে ফিরিয়ে দেন। এরপরে সময় যত গড়িয়েছে কেকেআর নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারিয়েছে।
ক্যাপ্টেন শ্রেয়স কোনওরকমে ৩২ বলে ৩৪ করে যান। বাকিরা সকলেই ব্যর্থ। ভেঙ্কটেশ আইয়ার, রামনদীপ সিং তাড়াতাড়ি আউট হয়ে যাওয়ার পর ভাবা হয়েছিল রিঙ্কু-রাসেল দলকে ভদ্রস্থ স্কোরে পৌঁছে দিতে চেষ্টার কসুর করবেন না। রিঙ্কু ১৪ বলে করলেন ৯। রাসেলের অবদান ১০ বলে ১০। যতক্ষণ দুজনে ক্রিজে ছিলেন ততক্ষণ হাঁসফাঁস করেছেন দুজনে।
মুস্তাফিজুরের জন্য চিপকের পিচ টেলর-মেইড। এই পিচে তিনি স্লোয়ার কাটার করে গেলেন সারাক্ষণ। তুষার দেশপান্ডে এই স্লোয়ারেই ফেরালেন রিঙ্কু সিংকে। ১৭তম ওভারে ক্রিজে নামা রাসেকে আটকে রাখেন মুস্তাফিজ। বারবার পরাস্ত করেন ক্যারিবীয় বিগ হিটারকে। মুস্তাফিজুর শেষ ওভারে দুর্ধর্ষ পারফরম্যান্স মেলে ধরলেন মাত্র ২ রান খরচ করে ২ উইকেট তুলে নিয়ে। সবমিলিয়ে ৪ ওভারে মাত্র ২২ রানের বিনিময়ে ২ উইকেট তুললেন ফিজ। তুষার দেশপান্ডে ৩৩ রানের বিনিময়ে নিলেন ৩ উইকেট। তবে বল হাতে সেরা পারফরম্যান্স রবীন্দ্র জাদেজার। ৪ ওভারে ৩ উইকেট নিলেন মাত্র ১৮ রানের বিনিময়ে।
দেশে ফিরে যাওয়ায় মুস্তাফিজের সাময়িকভাবে পার্পল ক্যাপ হাতছাড়া হয়েছিল। দলে যোগ দিয়েই সেই বেগুনি টুপির মালিকানা ফেরত পেলেন তারকা।