Ayush Badoni Controversial Run Out: চলতি আইপিএলে বারবার আম্পায়ারিংয়ের ত্রুটি নজরে এসেছে। প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করেও বাইশ গজে আম্পায়ারিং নিয়ে সমালোচনা এড়ানো যাচ্ছে না। একাধিকবার ওয়াইড, হাই ফুলটসের ক্ষেত্রে বিতর্কিত সিদ্ধান্ত মাথা পেতে নিতে হয়েছে। আরসিবি বনাম কেকেআর ম্যাচে বিরাট কোহলির আউট ব্যাপক আলোচনার জন্য দিয়েছিল। ক্রুদ্ধ কোহলি ম্যাচের মধ্যেই তান্ডব শুরু করেন।
সেই একইভাবে মুম্বই বনাম লখনৌ ম্যাচেও একানা স্টেডিয়ামে বিতর্কিত সিদ্ধান্ত এড়ানো গেল না। লো স্কোরিং থ্রিলার খেলা হল। মুম্বইয়ের ১৪৫ রান চেজ করতে নেমে একসময় পরপর উইকেট হারিয়ে ১৮ ওভারের শেষে লখনৌ ১৩২/৫ হয়ে গিয়েছিল। আর ১৯ তম ওভারে আয়ুশ বাদোনির রান আউট আইপিএল জগৎকে দুই ভাগে ভাগ করে দেয়।
১৯তম ওভারের প্ৰথম বলেই হার্দিকের ওভারে দুই রান নিতে গিয়েছিলেন আয়ুশ বাদোনি। ঈশান কিষান প্ৰথম প্রচেষ্টায় উইকেট ভাঙতে না পারলেও দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় বেল উপড়ে দেন। আয়ুশ বাদোনি ঝাঁপিয়ে ক্রিজে পৌঁছে গেলেও তাঁকে রান আউট দেওয়া হয়। যুক্তি দেওয়া হয়, বাদোনি ক্রিজে পৌঁছে গেলেও তাঁর ব্যাট মাটির সঙ্গে সংযোগ বিহীন অবস্থায় ছিল। আর এমন আম্পায়ারিং দেখে সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন ইরফান পাঠান। লিখে দেন, "তৃতীয় আম্পায়ারের রান আউটের কি জঘন্য সিদ্ধান্ত!"
বাদোনিকে বিতর্কিত সিদ্ধান্তে ফিরতে হলেও ম্যাচের ফলাফলে তা অবশ্য প্রভাব ফেলতে পারেনি। নিকোলাস পুরান-ক্রুনাল পান্ডিয়া জুটি লখনৌকে জিতিয়ে দেন ৪ বল বাকি থাকতেই।
মুম্বই ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়ে পাওয়ার প্লেতেই চার উইকেট হারিয়ে বসেছিল। রোহিত শর্মা, তিলক ভার্মা, সূর্যকুমার যাদব, হার্দিক পান্ডিয়া ব্যাট হাতে টপ অর্ডারে শোচনীয় ব্যর্থ হন। এরপরে নেহাল ওয়াদেরা (৪১ বলে ৪৬) এবং ঈশান কিষান (৩৬ বলে ৩২) ৫৩ রানের পার্টনারশিপ গড়ে যান। টিম ডেভিড শেষদিকে ১৮ বলে ৩৫ করায় মুম্বই ১৪৪ পর্যন্ত পৌঁছতে সমর্থ হয়। জবাবে ব্যাট করতে নেমে লখনৌয়ের হয়ে রান করেন কেএল রাহুল (২২ বলে ২৮) এবং মার্কাস স্টোয়িনিস (৪৫ বলে ৬২)। মসৃন গতিতে রান তাড়া করার সময় হঠাৎ পরপর উইকেট হারিয়ে লখনৌ বিপদে পড়ে গিয়েছিল। তবে চার বল বাকি থাকতেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় রাহুল বাহিনী।