RCB dressing room after loss against Rajasthan Royals: স্বপ্নের দৌড়ের উড়ান দিয়েছিল আরসিবি। একসময় টানা সাত ম্যাচ হেরে বসেছিল। তারপর টানা ছয় জয়। আরসিবি প্লে অফে পৌঁছেও অবশ্য শেষরক্ষা করতে পারেনি। রাজস্থান রয়্যালসের কাছে এলিমিনেটরে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে আরসিবির।
টানা পাঁচ ম্যাচ জয়ের পর আরসিবি খেলতে নেমেছিল সিএসকের বিরুদ্ধে। অলিখিতভাবে যা ছিল সেমিফাইনাল। সেই লড়াইয়েই রুদ্ধশ্বাসভাবে বড় ব্যবধানে হারিয়ে আরসিবি প্লে অফে পৌঁছে যায়। নেট রানরেটে সিএসকেকে পিছনে ফেলে।
তবে শেষ রক্ষা হল না। প্ৰথমে ব্যাট করে আরসিবি কোনওরকমে ১৭৩ তুলেছিল বিরাট কোহলি, রজত পাতিদার, মহিপাল লোমরোর ব্যাটে ভর করে। জবাবে ব্যাট করে রাজস্থান টানটান ম্যাচে জয় পায় এক ওভার হাতে নিয়ে। যশস্বী জয়সওয়াল ৪৫ করে দলের সর্বোচ্চ স্কোরার হন। রিয়ান পরাগ চাপের মুখে দারুণ ব্যাটিং করে যান। এছাড়াও শিমরণ হেটমায়ার এবং রভম্যান পাওয়েলের ক্যামিও দলকে জেতাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন।
হৃদয় বিদারক হারের পর আরসিবি নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলে ড্রেসিংরুমের ভিডিও সামনে আনল। ৩ মিনিট ৩৩ সেকেন্ডের এই ভিডিওর সূচনা হল গ্লেন ম্যাক্সওয়েল সজোরে দরজা ধাক্কা দেওয়ার মধ্য দিয়ে। ফোন নিয়ে বিরক্ত দেখা যাচ্ছে কোহলিকে। বাকি আরসিবি তারকাদেরও হতাশ, বিধ্বস্ত অবস্থায় দেখা যায়।
কোহলি সেই ভিডিওয় বলেছেন, "টুর্নামেন্ট প্ৰথম দিকে আমরা মোটেই সেভাবে পারফর্ম করতে পারিনি। পারফরম্যান্সের মাধ্যমে নিজেদের প্রত্যাশার ধারে কাছেও যেতে পারিনি আমরা। এরপরে আমরা নিজেদের প্রকাশ করা শুরু করি। নিজেদের সম্মান প্রদর্শনের জন্য খেলতে থাকি আমরা। এরপরেই আমরা আত্মবিশ্বাস ফেরত পাই। যেভাবে আমরা সমস্ত প্রতিকূলতা দূরে সরিয়ে কোয়ালিফাই করি, সেটা সত্যি স্পেশ্যাল ছিল। এটা বহুদিন মনে রাখার মত বিষয়। ছেলেরা হৃদয় উপুড় করে খেলেছে।"
একই কথার প্রতিধ্বনি শোনা গিয়েছে ক্যাপ্টেন ফাফ দু প্লেসিসের গলাতেও। "আমরা টুর্নামেন্টের মাঝপথে ধসে গিয়েছিলাম। তা সত্ত্বেও প্রতি ম্যাচে সমর্থকরা গ্যালারি ভরিয়ে তুলেছিলেন। এখনও যেন ওঁদের চিৎকার শুনতে পাই। সেই মোমেন্টাম নিয়েই আমরা এগিয়েছি। এর জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। দুর্ভাগ্যের যে আমরা ফাইনালে পৌঁছতে পারলাম না।"
আইপিএল থেকে নিঃশব্দে সরে গেলেন দীনেশ কার্তিক। তিনি সেই ভিডিওয় বলে গেলেন, "খেলাধুলায় কোনও রূপকথায় সমাপ্তি বলে কিছু হয় না। যেদিন নিজেদের কোনও প্ল্যানিং কাজে আসে না, সেদিন কঠিন দিন কাটাতে হয়। এটা এরকমই একটা দিন ছিল। ম্যাচের দ্বিতীয় অংশে শিশিরের জন্য ব্যাটিং সহজ হয়ে এসেছিল। তা স্বত্ত্বেও যেভাবে আমরা লড়াই করে গিয়েছি, তাতে আমরা গর্বিত। এটাই আমাদের চাওয়া। সবসময় স্পেশ্যাল কিছু করার তাগিদ ফারাক গড়ে দেয়। সবমিলিয়ে আরসিবির কাছে এই সিজন সত্যিই স্পেশ্যাল ছিল। আমরা গর্বিত। আশা করব, সমর্থকরাও আমাদের নিয়ে উচ্ছ্বসিত।"