Royal Challengers Bengaluru vs Chennai Super Kings: নিজে ম্যাচের সেরা হয়েছেন। দুর্ধর্ষ হাফসেঞ্চুরি করেছেন। সামনে থেকে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। এবং মিচেল স্যান্টনারের অবিশ্বাস্য ক্যাচে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়েছেন। তবে আরসিবি ক্যাপ্টেন ফাফ দু প্লেসিস নিজে ম্যান অফ ম্যাচ পুরস্কার নিয়েও যেন নিলেন না। তিনি তা বরাদ্দ রাখলেন দলের তরুণ পেসার ইয়াশ দয়ালের জন্য।
দেবেন না-ই বা কেন! শেষ ওভারে সিএসকের প্লে অফে পৌঁছনোর টার্গেটের জন্য বাকি ছিল মাত্র ১৭ রান। তার আগের ওভারেই লকি ফার্গুসন ১৭ রান বিলিয়ে দিয়েছেন ধোনি-জাদেজার ব্যাটিং বিক্রমের সামনে। শেষ ওভারে মাত্র ১৭ রানের পুঁজি ডিফেন্ড করার চ্যালেঞ্জ ছিল ইয়াশ দয়ালের কাছে।
ধোনি-জাদেজাদের মত মহারথীদের সামনে হতাশ করেননি। প্ৰথম বলেই ধোনির স্টেডিয়াম পার করে দেওয়ার ছক্কার সামনেও নুইয়ে পড়েননি। তার পরের পাঁচটা বল তাঁর কেরিয়ারের জন্যও সম্ভবত বড়সড় বাঁক বদল হয়ে থাকল। দ্বিতীয় বলে নিখুঁত স্লোয়ারে ধোনিকে থামালেন। পরের চারটে বলে শার্দূল-জাদেজাদের দাঁড়াতেই দিলেন না। অর্থাৎ শেষ পাঁচ বলে মাত্র ১ রান খরচ করলেন। জাদেজাকে শেষ দুই বলে রুখে দিলেন।
এক বছর আগে অভিশাপের রাত উপহার পেয়েছিলেন কেকেআর ম্যাচে। রিঙ্কু সিং অবিশ্বাস্যভাবে গুজরাটের জয় কেড়ে নিয়েছিলেন। ইয়াশ দয়ালকে পাঁচ ছক্কা হাঁকিয়ে। তারপর কেরিয়ারে বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন পড়ে গিয়েছিল উত্তরপ্রদেশের এই সিমারের। ডিপ্রেশনের গহ্বরে চলে গিয়েছিলেন। তার-ই শাপমুক্তি ঘটল যেন শনিবারের রাতে। এবার দলের মুখ্য জয়ে অবদান রেখে। শেষ ওভারে। ক্রিকেট এভাবেই যা কেড়ে নেয়, তা ফিরিয়েও দেয়। সমুদ্রের স্রোতের মত।
এমন রাতে তাই ফাফ দু প্লেসিস ম্যাচ সেরার পুরস্কার নেওয়ার দুঃসাহস দেখাননি। তা যতই তিনি কোহলির সঙ্গে মারকাটারি পার্টনারশিপে উড়ন্ত সূচনা দিয়ে যান না কেন! ৩৯ বলে ডুপ্লেসিসের ৫৪ নয়, ইয়াশ দয়ালের দুর্ধর্ষ শেষ ওভারই যে ম্যাচ জিতিয়ে প্লে অফে তুলে দিয়ে গেল আরসিবিকে।
ক্যাপ্টেন ডুপ্লেসিস তাই ম্যাচের পরেই বলে গেলেন, "আমি এই ম্যাচ সেরার পুরস্কার উৎসর্গ করছি ইয়াশ দয়ালকে। শেষ ওভারে ওঁকে বলেছিলাম, এই পিচে পেস কমিয়ে বল করতে। সেটাই কাজে এল।"