Royal Challengers Bengaluru vs Chennai Super Kings: আরসিবি বনাম সিএসকে ম্যাচ যাবতীয় রোমাঞ্চের পসরা সাজিয়ে বসেছিল। ধোনির সম্ভাব্য বিদায়ী ম্যাচ, কোহলি-বিরাটের সম্ভবত শেষ বাইশ গজে মোলাকাত, ক্যাপ্টেন ফাফ দু প্লেসিসকেও আগামী সিজনে আর দেখা যাবে কিনা ঠিক নেই- একের পর এম সুপারস্টারদের সম্ভাব্য বিদায়ী ম্যাচ ঘিরে চিন্নাস্বামী ছিল হাউসফুল।
সেই ম্যাচেই একের পর এক নাটক- কোহলি-দু প্লেসিসের ব্যাটে ঝড়, রজত পাতিদারের দুরন্ত ইনিংস, ইনিংসের প্রথম বলেই গায়কোয়াডের আউট হয়ে যাওয়া, ১২৯/৬ হয়ে যাওয়ার পর ধোনি-জাদেজার অবিশ্বাস্য পার্টনারশিপে প্রায় জেতার মুখে পৌঁছে যাওয়া এবং ধোনি-জাদেজাদের থামিয়ে শেষ ওভারে স্বপ্নের মত ফিরে আসা ইয়াশ দয়ালের। পাঁচ ছক্কা হজমের স্মৃতি সরিয়ে দয়ালের ফিনিক্স পাখির মত নবজন্ম চিন্নাস্বামীতে।
এমন ম্যাচে অদ্ভুত রান-আউটের ঘটনাও ঘটল। ১৩ তম ওভারে মিচেল স্যান্টনারের ওভারে হতভাগ্য পরস্থিতিতে আউট হয়ে ফিরতে হল দু প্লেসিসকে। সেই সময় ক্রিজে ব্যাট করছিলেন রজত পাতিদার এবং ফাফ দু প্লেসিস। স্ট্রাইকিং এন্ডে ছিলেন পাতিদার। তাঁর জোরালো সোজাসুজি শট হাত দিয়ে রুখে দেন বোলার স্যান্টনার। বল সরাসরি উইকেটে আঘাত হানে। নন স্ট্রাইকিং এন্ডে থাকা দু প্লেসিস রান নেওয়ার জন্য এগিয়ে এসেও দ্রুত ক্রিজে ফেরত যান।
আম্পায়ার মিচেল গফ কিছু সময় ধরে রিপ্লে দেখে সিদ্ধান্ত নেন দু প্লেসিসের ব্যাট হাওয়ায় ছিল। আউটের পক্ষেই রায় দেন তিনি। তবে এমনভাবে আউট হয়ে মোটেই খুশি হননি আরসিবি ক্যাপ্টেন। ডাগ আউটে ফেরার সময় গজগজ করে আম্পায়ারকে শাপ-শাপান্ত করতে থাকেন। যদিও পরে একাধিক রিপ্লেতে দেখা যায়, উইকেটে বল লাগার সময় ব্যাট হাওয়ায় নয়, মাটির সঙ্গে স্পর্শ করেছিল।
যাইহোক, আইপিএলে একসময় লিগের লাস্ট বয় হওয়াটাই ভবিতব্য করে ফেলেছিল আরসিবি। তবে লিগে দ্বিতীয় অংশে অপ্রতিরোধ্য হয়ে হাজির হয়েছেন কোহলিরা। টানা ছয় নম্বর ম্যাচ জিতে আরসিবি আইপিএলে কোয়ালিফাই করে ফেলল।
শনিবার রাতে প্ৰথমে ব্যাট করে আরসিবি স্কোরবোর্ডে ২১৮ তুলেছিল। সিএসকে বনাম আরসিবি ম্যাচের বিজয়ী দল-ই প্লে অফের টিকিট পেত। তবে আরসিবিকে স্রেফ জিতলেই হত না। জয়ের ব্যবধান রাখতে হত ১৮ রান। সিএসকে রান চেজ করে ২০১ তুললেই প্লে অফ নিশ্চিত করে ফেলত। তবে ব্যাটিং ভরাডুবির সামনে সিএসকে একসময় ১২৯/৬ হয়ে গিয়েছিল। সেখান থেকে ধোনি-জাদেজার ৬১ রানের পার্টনারশিপ প্রায় প্লে অফে তুলে দিয়েছিল সিএসকেকে। শেষ ওভারে দরকার ছিল মাত্র ১৭ রান। ধোনি প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকিয়ে জয় আরও সামনে নিয়ে এসেছিলেন। তবে এরপরেই ইয়াশ ম্যাজিক। বাকি পাঁচ বলে মাত্র ১ রান খরচ করার মধ্যেই দ্বিতীয় বিয়ের বলে আউট করে দেন ধোনিকে। লক্ষ্যের কাছে পৌঁছেও হতাশ হতে হয় পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নদের।