IPL high scoring games: পাটা পিচ। চার-ছক্কার ফুলঝুরি। বোলারদের বধ্যভূমি হয়ে দাঁড়িয়েছে আইপিএল। কোনও বোলারকেই রেয়াত করছেন না নামি-অনামি ব্যাটাররা। শুক্রবার আরও একবার রানবন্যার ম্যাচ দেখল ইডেন। স্কোরবোর্ডে ২৬১ তুলেও শেষরক্ষা করতে পারল না কেকেআর। ৮ বল বাকি থাকতেই জনি বেয়ারস্টো, শশাঙ্ক সিংরা ম্যাচ খতম করে দেন। রেকর্ড গড়ে ইডেনে জয়ী হয়েছে পাঞ্জাব কিংস।
আর বোলারদের এই দুরবস্থা দেখেই এবার একের পর এক তারকা মুখ খুলেছেন। পাঞ্জাব অধিনায়ক স্যাম কুরান যেমন বলেই দিয়েছেন, ক্রিকেট খেলা ধীরে ধীরে বেসবলের দিকে এগোচ্ছে। যেখানে ব্যাট সুইং করাটাই মুখ্য হয়ে দাঁড়ায়। রবিচন্দ্রন অশ্বিন চুপ থাকেননি। বোলারদের বাঁচানোর কথা বলেছেন।
স্যাম কুরান-অশ্বিনদের সুরেই এবার সুর মেলালেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। শনিবার-ই দিল্লি খেলতে নামছে মুম্বইয়ের বিপক্ষে। সেই ম্যাচের আগে দিল্লির মেন্টর সৌরভ বলে দিয়েছেন, "বোলারদের জন্য কাজ মোটেই সহজ হচ্ছে না। মাঠের সব জায়গায় বল তুলে ফেলা হচ্ছে। ভবিষ্যতে এটা নিয়ে ভাবতেই হবে। ব্যাট এবং বলের মধ্যে ভারসাম্য থাকা উচিত।"
চলতি সিজনে ২০০ প্লাস স্কোর করা যেন কার্যত জলের মত সহজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পাটা পিচের সঙ্গে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিয়ম বোলারদের মৃত্যু শমন ডেকে এনেছে। অতিরিক্ত ব্যাটার খেলানোত সুবাদে যে কোনও স্কোর বোর্ডে জমা করা বা চেজ করা ভীষণ সহজ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ব্যাটে-বলের সমান সুযোগের জন্যই বোলারদের দুটি বাউন্সার নিয়ম চালু করেছে আইপিএল গভর্নিং কমিটি। তবে তাতেও বোলাররা সামলাতে পারছেন না। ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিয়ম সব হিসাব গোলমাল করে দিয়েছে। ২৩০-২৬০ রান এখন গড়পড়তা প্রতি ইনিংসে উঠছেই। দিল্লি ক্যাপিটালস যেমন শেষ দুই হোম ম্যাচেই ৪০০ প্লাস স্কোর করেছে।
গত সপ্তাহে অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ পাওয়ার প্লেতেই ১২৫ তুলে দিয়েছিল। ১৬ বলে ৫০ করে যান ট্র্যাভিস হেড। সৌরভ রীতিমতো চিন্তার ভাঁজ কপালে ফেলে বলেছেন, "আমাদের ব্যাটিং ভীষণ শক্তিশালী। আমরা ৪০০ রান যেমন খরচ করেছি। তেমন সেই রান তুলেও দিয়েছি। এখানকার উইকেট ব্যাটিং সহায়ক।"
এর আগে সুনীল গাভাসকার রানের ঝড় আটকাতে বাউন্ডারি লাইন বাড়িয়ে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। প্রাক্তন থেকে বর্তমান ক্রিকেটারদের এই চিন্তা ছুঁতে পারবে আইপিএল কমিটিকে, সেটাই এখন দেখার।