/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2024/04/Jay-Shah-RCB.jpg)
Jay Shah-RCB: একবারও ট্রফি জেতেনি আরসিবি। (ছবি সৌজন্য- টুইটার)
Mahesh Bhupati's bizarre suggestion to BCCI: তিনিও বেঙ্গালুরু তথা কর্ণাটকের ছেলে। আইপিএলে আরসিবির পরের পর ম্যাচে হার আর চোখে দেখতে পাচ্ছেন না মহেশ ভূপতি। এবার তাই তিনি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কাছে আর্জিই জানিয়ে ফেললেন আরসিবিকে বিক্রি করে দেওয়ার। অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিস অ্যান্ড কোং-এর ব্যর্থতার জন্য ভূপতির সবচেয়ে বেশি রাগ গিয়ে পড়েছে আরসিবি কর্তাদের ওপর। সেই কারণেই তিনি দলটাকে নতুন করে বেচে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন।
আরসিবি অবশ্য আইপিএল শুরুর আগে সমর্থকদের মনে দলের প্রতি আবেগ জাগাতে চেষ্টার কসুর করেনি। বিজ্ঞাপনটাই এমন করেছিল, যা কর্ণাটকের স্বাভিমানের সঙ্গে জড়িত। এতেই ক্ষান্ত না হয়ে জার্সির রং-এ বদল এনেছে। কালো বদলে নীল করেছে। নামের 'ব্যাঙ্গালোর' শব্দ বদলে বেঙ্গালুরু করেছে। কিন্তু, কাজের কাজ কিছুই হয়নি। উলটে আইপিএলে ভক্তরা দলের হতাশায় ক্ষুব্ধ। হতাশার অবশ্য যথেষ্ট কারণ আছে। আর, সেটা হল আইপিএলের এখন মাঝপথ। সেখান থেকেই বেঙ্গালুরুর ছিটকে যাওয়ার পরিস্থিতি ইতিমধ্যেই তৈরি হয়ে গিয়েছে।
অবশ্য নানা হিসেব নিকেশ করে এখনও আরসিবির প্লে অফে যাওয়ার সুযোগ আছে। কিন্তু, সেজন্য, ফাফ ডু প্লেসিসের নেতৃত্বাধীন দলকে বাকি সাতটি ম্যাচের মধ্যে অন্তত ছয়টিতেই জিততে হবে। যা এবছরের পারফরম্যান্স দেখার পর অসম্ভব বলতে দ্বিধা করবেন না চরম আরসিবি সমর্থকও। আর, সেই কারণেই ক্ষোভ চেপে রাখতে পারেননি টেনিস কিংবদন্তি মহেশও। ১২ বারের গ্র্যান্ড স্ল্যাম চ্যাম্পিয়ন (পুরুষদের ডাবলস এবং মিক্সড ডাবলসে) ভূপতি বলেছেন, একজন নতুন মালিক হলে হয়তো আরসিবি ভালো কিছু হতে পারে। কারণ, ১৭টা আইপিএল খেলেও দল ট্রফি পায়নি!
For the sake of the Sport , the IPL, the fans and even the players i think BCCI needs to enforce the Sale of RCB to a New owner who will care to build a sports franchise the way most of the other teams have done so. #tragic
— Mahesh Bhupathi (@Maheshbhupathi) April 15, 2024
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভূপতি লিখেছেন, 'খেলাধুলার স্বার্থে, আইপিএল অনুরাগী এবং ক্রিকেট ভক্ত আর খেলোয়াড়দের স্বার্থেই আমি মনে করি যে বিসিসিআইয়ের আরসিবিকে নতুন মালিকের কাছে বিক্রি করে দেওয়া উচিত।' অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের নেতৃত্বাধীন সানরাইজার্সের ট্রাভিস হেড যেভাবে দুর্দান্ত শতরান করেছেন, তা দেখে বিস্মিত হয়ে গিয়েছেন বেঙ্গালুরবাসীও। ৪১ বলে ১০২ করে আউট হওয়ার আগে ৯টা চার, ৮টা ছয় মেরেছেন। হেনরিখ ক্লাসেনও করেছেন অনবদ্য ৬৭ রান। যার সুবাদে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ তিন উইকেটে ২৮৭ রানে পৌঁছয়। যা আইপিএলে রেকর্ড। এর আগে গত ২৭ মার্চ, মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে হায়দরাবাদ ৩ উইকেটে ২৭৭ রান তুলে রেকর্ড গড়েছিল। সোমবার সেই রেকর্ডই ভাঙলেন হেডরা।
আরসিবির ব্যাটাররা অনেক চেষ্টা করেও সাত উইকেটে ২৬২ রান তুলেছে। আরসিবি অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিস করেছেন ২৮ বলে ৬২ রান। যার মধ্যে আছে ৭টা চার, ৪টা ছয়। দীনেশ কার্তিক আবার ৩৫ বলে করেছেন ৮৩ রান। যার মধ্যে আছে ৫টা চার, ৭টা ছয়। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত আরসিবি ২৫ রানে হেরেছে। এজন্য কৃতিত্বরা হায়দরাবাদের বোলারদের। সব মিলিয়ে ম্যাচে মোট রান উঠেছে ৫৪৯। যা, যে কোনও টি-২০ ম্যাচের সর্বোচ্চ রান।