Virat Kohli's send off to Rilee Rossouw: বিরাট কোহলিকে কোনওভাবেই থামানো যাচ্ছে না। ব্যাট হাতে বাইশ গজে হোক বা ফিল্ডার হিসাবে- কোহলি যেন অপ্রতিরোধ্য। যেন কোনওভাবেই ভুল করতে পারেন না তিনি। চলতি আইপিএলের নিজের সেরা আক্রমণাত্মক ইনিংস তিনি উপহার দিয়ে গেলেন বৃহস্পতিবার। ৪৭ বলে ৯২ রানের বিধ্বংসী ইনিংসে নিজের স্ট্রাইক রেট সংক্রান্ত যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর দিয়ে গেলেন। চলতি সিজনের প্ৰথম ব্যাটার হিসাবে ৬০০ প্লাস রানের মাইলফলক-ও পেরিয়ে গেলেন তিনি। আর কোহলির আগুনে ইনিংসে ভর করে বেঙ্গালুরুও স্কোরবোর্ডে চলতি সিজনে নিজেদের হায়েস্ট রান তুলে ফেলেছিল ২৪১-৭।
ব্যাট হাতে আগুন জ্বালানোর পর মাঠে ফিল্ডিংয়ের সময়েও চিরচেনা মেজাজে পাওয়া গেল কিং কোহলিকে। পাঞ্জাব কিংসের অন্যতম সেরা ব্যাটার শশাঙ্ক সিংকে দুর্ধর্ষ থ্রোয়ে যেমন রান আউট করলেন তেমন সারাক্ষণ সিরাজদের উৎসাহ জুগিয়ে গেলেন।
পাঞ্জাব জবাব ভালোই দিচ্ছিল একটা সময়। রিলি রসউয়ের ব্যাটে আশা জেগে ছিল পাঞ্জাবের। রসউ মাত্র ২১ বলে ফিফটি করে দলকে টানছিলেন। আর হাফসেঞ্চুরি করেই গান-সেলিব্রেশনে মাতেন। পাঞ্জাব ড্রেসিংরুমের দিকে বন্দুক তাক করার ভঙ্গিয়ে অনন্য মেজাজে ধরা দেন প্রোটিয়াজ ব্যাটার।
ফর্মে ছিলেন রসউ। হাফসেঞ্চুরি করে করণ শর্মার এক ওভারে বাউন্ডারি, ওভার বাউন্ডারি হাঁকিয়ে যান। তবে আরও একটা বিগ হিট লাগাতে গিয়ে মিস টাইম করে বসেন। সোজা উঠে যাওয়া ক্যাচ তালুবন্দি করেন উইল জ্যাকস।
রসউয়ের আউটের ক্ষেত্রে কোনও ভূমিকাই ছিল না কোহলির। ব্যাটে-বলে কোনও ভূমিকা না থাকা সত্ত্বেও কোহলি হঠাৎ করেই রসউকে বিতর্কিতভাবে সেন্ড অফ দিয়ে বসেন। যেভাবে রসউ হাফসেঞ্চুরি উদযাপন করেছিলেন, সেভাবেই তাঁকে ড্রেসিংরুমে ফেরত যাওয়ার নির্দেশ দিয়ে কোহলি সেই উদযাপন করেন। তবে এই ঘটনা দুজনের ব্যক্তিগত সম্পর্কে কোনও প্রভাব ফেলেনি। ম্যাচের পর প্রোটিয়াজ ব্যাটারের সঙ্গে লম্বা আলোচনায় মাততে দেখা যায় কোহলিকে।
কেকেআরের হর্ষিত রানা এর আগে ফ্লাইং কিস ছুড়ে সেন্ড অফ দেন মায়াঙ্ক আগারওয়ালকে। পরবর্তীতে একই ভুল করেন নাইটদের রানা। হায়দরাবাদ ম্যাচে নীতিশ রেড্ডিকে আউট করায় ফের সেন্ড অফ দেওয়ায় এক ম্যাচ নির্বাসিত করা হয় রানাকে। কোহলির বিরুদ্ধে এর আগে একাধিকবার চলতি সিজনেই শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে। রসউ কাণ্ডের পর কোহলিকে বিসিসিআই কোনও শাস্তি দেয় কিনা, সেটাই আপাতত দেখার।
যাইহোক, রসউ আউট হওয়ার পর পাঞ্জাব ইনিংস ধসে পড়ে। পুরো ২০ ওভার ব্যাট করার আগেই পাঞ্জাব ১৮১-এ অলআউট হয়ে যায়। কোহলিদের টানা চতুর্থ জয় আসে ৬০ রানে।
আরসিবি ব্যাটিংয়ে কোহলিকে যোগ্য সঙ্গত করেন ক্যামেরন গ্রিন (২৭ বলে ৪৬), রজত পাতিদার (২৩ বলে ৫৫)। আরসিবির হয়ে ৩ উইকেট নেন মহম্মদ সিরাজ। এছাড়াও করণ শর্মা, স্বপ্নিল সিং, লকি ফার্গুসন তিনটে করে উইকেট শিকার করেন। এদিনের জয়ে ১২ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে সাত নম্বরে উঠে এল। এখনও দুই ম্যাচ বাকি রয়েছে কোহলিদের।