চলতি আইপিএলের প্ৰথম হ্যাটট্রিক করে গেলেন যুজবেন্দ্র চাহাল। দুরন্ত ফর্মের চাহাল একাই কেকেআরের রুদ্ধশ্বাস রান চেজ থামিয়ে দিলেন। ব্র্যাবোর্ন স্টেডিয়ামে রাতে রাজস্থানের ত্রাতা হিসাবে আবির্ভাব ঘটল তারকা স্পিনারের।
ম্যাচ একসময় দারুণভাবে ব্যালান্সড ছিল। নাইটদের জয়ের জন্য শেষ চার ওভারে প্রয়োজন ছিল ৪০ রান। সেই সময়েই চাহালের ম্যাজিক ওভার কেকেআরকে পুরোপুরি ছিটকে দেয়। ১৭ তম ওভারে চাহাল মাত্র ১ রান খরচ করেন। তুলে নেন হ্যাটট্রিক সহ চার-চারটে উইকেট। চাহালের মারণাস্ত্রে পরপর ফিরে যান দুই আইয়ার-শ্রেয়স এবং ভেঙ্কটেশ, শিভম মাভি এবং প্যাট কামিন্স।
আরও পড়ুন: হাসপাতালে দিল্লির বিশ্বকাপজয়ী বিদেশি! আশঙ্কাজনক IPL-এর ভবিষ্যৎ নিয়েই জোরালো সংশয়
শেষ পর্যন্ত নিজের চার ওভারে চাহাল ৪০ রান খরচ করে তুলে নেন ৫ উইকেট। লিগের ইতিহাসে এই নিয়ে চাহাল ২১তম হ্যাটট্রিক করে গেলেন। রাজস্থান রয়্যালসের পঞ্চম বোলার হিসাবে এই কীর্তির মালিক হলেন তিনি। তার আগে রাজস্থানের হয়ে আইপিএলে হ্যাটট্রিক করেছিলেন অজিত চান্ডিলা, শ্যেন ওয়াটসন, প্রবীণ তাম্বে, শ্রেয়স গোপাল।
চাহালের ম্যাজিক ঘূর্ণি ওভারে রাজস্থান সিজনের চতুর্থ জয় পায় সোমবার রাতে। রুদ্ধশ্বাস রান তাড়া করে নাইট রাইডার্স মাত্র ৭ রান পিছনে আটকে যায়। তার আগে জস বাটলারের সেঞ্চুরিতে ভর করে রাজস্থান চলতি মরসুমের সর্বোচ্চ রান তুলেছিল বোর্ডে- ২১৬। এর পরে নাইট অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার ৫১ বলে ৮৫ করে দলকে জয়ের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছিলেন। তবে চাহাল দুরন্ত ডেলিভারিতে কেকেআর অধিনায়ককে ফিরিয়ে ম্যাচের গতিই বদলে দেন।
নিজের হ্যাটট্রিকের প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে চাহাল ম্যাচের শেষে বলে যান, "ম্যাচের ফলাফল বদলানোর জন্য সেই সময় উইকেট তুলতেই হত আমাকে। বোলিং নিয়ে অনেক খেটেছি কয়েকদিন ধরে। ক্যাপ্টেন তো বটেই কোচেদের সঙ্গেও সময় কাটিয়েছি। প্ৰথমে ভেবেছিলাম গুগলি দেব, তবে কোনও ঝুঁকি নিতে চাইনি। হ্যাটট্রিক না হলেও সেই সময় ডট বল করতে পারলেও খুশি হতাম। আমার গুগলি ভেঙ্কটেশ আইয়ারকে ফিরিয়ে দেয়।"