দুরন্ত ফর্মে থাকা দুই দল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ এবং গুজরাট টাইটান্স মুখোমুখি হয়েছিল ওয়াংখেড়েতে। সেই ম্যাচেই রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে শেষ হাসি হাসল গুজরাট টাইটান্স। বাংলার মহম্মদ শামি থেকে ঋদ্ধিমান সাহা জ্বলে উঠলেন। দেশের নতুন পেস সেনসেশন উমরান মালিকও বল হাতে আগুন ঝড়ালেন। তবে শেষদিকে রশিদ খান তফাৎ গড়ে দিলেন।
হায়দরাবাদ প্ৰথমে ব্যাট করতে নেমেছিল। তবে মহম্মদ শামি পাওয়ার প্লে-তে পরপর তুলে নিয়েছিলেন কেন উইলিয়ামসন থেকে রাহুল ত্রিপাঠির উইকেট। ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই শামি উইলিয়ামসনের স্ট্যাম্প ছিটকে দেন। পঞ্চম ওভারে স্পিড মার্চেন্ট লেগ বিফোর করে দেন রাহুল ত্রিপাঠিকে।
হায়দরাবাদ ওপেনার অভিষেক শর্মা এবং আইডেন মারক্রাম হাফসেঞ্চুরি করে দলকে চ্যালেঞ্জিং স্কোর খাড়া করতে সাহায্য করেন। শেষদিকে পাওয়ার হিটার শশাঙ্ক সিং ৬ বলে ২৫ করে দলকে ১৯৫ পর্যন্ত টেনে দেন। চারটে ছক্কা হাঁকান তিনি।
এই রান তাড়া করতে গিয়ে ঋদ্ধিমান সাহা (৬৮) এবং শুভমান গিল (২২) দুর্ধর্ষ শুরু করেন। দুজনে প্ৰথম উইকেটে ৬৯ রান যোগ করে যান। এরপরেই শুরু হয় উমরান মালিকের দুরন্ত স্পেল পরপর ফিরিয়ে দেন দুই ওপেনার সহ হার্দিক পান্ডিয়া, ডেভিড মিলারকে। ১৩৯/৪ হয়ে গিয়ে একসময় ম্যাচ থেকে প্রায় ছিটকে গিয়েছিল গুজরাট।
এরপরে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন রাহুল তেওটিয়া এবং রশিদ খান। তেওটিয়া ২১ বলে ৪০ হাঁকিয়ে যান। শেষদিকে রশিদ খানের ১১ বলে ৩১ রানের ইনিংস গুজরাটকে স্মরণীয় জয় এনে দেয়। মার্কো জ্যানসেন শেষ ওভারে ২৫ রান খরচ করে বসেন। সপ্তম জয়ে গুজরাট রাজস্থানকস সরিয়ে ফের একবার লিগ টেবিলের শীর্ষস্থান দখল করল। শেষদিকে অভিনব মনোহরকে আউট করে নিজের পঞ্চম উইকেট তুলে নেন উমরান। হেরে গেলেও উমরানকেই ম্যাচের সেরা বেছে নেওয়া হয়।