Kolkata Knight Riders vs Delhi Capitals: আরসিবির জার্সিতে আইপিএলে অভিষেক ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসাবে। আর দিল্লি ম্যাচেই নজরকাড়া পারফরম্যান্স অঙ্গকৃশ রঘুবংশীর। দিল্লির তারকা নিজের শহরের ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়েই মাত্র ২৫ বলে হাফসেঞ্চুরি হাঁকিয়ে গেলেন।
সুনীল নারিনের সঙ্গে বিধ্বংসী পার্টনারশিপে রঘুবংশী ১০৪ রানের গড়লেন। হাঁকালেন তিনটে করে বাউন্ডারি, ওভার বাউন্ডারি। সেই জুটিতেই দিল্লি ম্যাচ থেকে হারিয়ে গেল। শেষমেশ ৫৫ করে আউট হলেন তারকা। তবে ততক্ষণে যা ক্ষতি হওয়ার হয়ে গিয়েছে।
মাত্র ১১ বছরে গুরুগ্রাম ছেড়ে মুম্বই পাড়ি দিয়েছিলেন ক্রিকেটীয় স্কিলে শান দেওয়ার জন্য। ২০২২-এ অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে ইয়াশ ধুলের নেতৃত্বে ভারত চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। সেই ওয়ার্ল্ড কাপে ২৭৮ রান করেন তারকা। ভাই কৃষ্ণান আবার টেনিস খেলেন। শৈশবে যাঁর রক্তে ক্যানসার ধরা পড়েছিল।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে রঘুবংশীর মা বলেছিলেন, "অঙ্গকৃশ আমাদের সঙ্গে হাসপাতালে ঘুমাত। সেই পাঁচ বছর ভয়ঙ্কর সময় কেটেছে। ও কখনই নিজের পুঁচকে ভাইকে একা ছাড়ত না। আমরা ওঁকে সবকিছু দিয়েছি। তবে ভাই কৃষ্ণানের চিকিৎসা ওঁকে মানসিকভাবে শক্তিশালী করেছে।"
২০২৩-এ অঙ্গকৃশ মুম্বইয়ের হয়ে লিস্ট-এ এবং টি২০-তে অভিষেক ঘটান। তবে ১৮ বছরের উঠতি তারকা নজর কাড়েন সিকে নাইডু ট্রফিতে। ৯ ম্যাচে ৭৬৫ রান করেন। ঘরোয়া ক্রিকেটে সীমিত ওভারে সেভাবে পারফর্ম করতে পারেননি। তবে শৈশবের কোচ অভিষেক নায়ার (বর্তমানে কেকেআরের কোচিং স্টাফ) তাঁকে নিলামে সুযোগ দেন।
বুধবার ভাইজ্যাগে অঙ্গকৃশের ব্যাট উদ্ভাবনী এবং ক্ল্যাসিক স্ট্রোক প্লে-র চূড়ান্ত প্রদর্শনী শো উপহার দিয়ে গেল। ১৮ নম্বর জার্সিতে কয়েক বছর আগে ওয়ার্ল্ড কাপের সর্বোচ্চ স্কোরার অঙ্গকৃশের সম্পদ কব্জির মোচরের ব্যবহার এবং মিড উইকেটের ওপর দিয়ে পিক আপ শট খেলা।
১৮ বছরের তরুণ বুধবার যখন ক্রিজে নামলেন, তখন ক্রিজে তান্ডব শুরু করে দিয়েছেন সুনীল নারিন। অক্ষর প্যাটেলকে যেমন রিভার্স সুইপ করলেন, তেমন পেসারের সামনেই হাঁকালেন দুর্ধর্ষ রিভার্স সুইপ। নারিনের বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ের সময় স্রেফ তাঁকে সঙ্গ দেওয়াই নয়, দিল্লি বোলারদের তাঁর প্রান্ত থেকেই রেহাই যাতে না পায়, সেই ব্যবস্থাও করলেন ব্যাট হাতে।