জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গি হানার আশঙ্কা রয়েছে। তাই দ্রুত উপত্যকা ছাড়ার পরামর্শ দেওয়া হল ইরফান পাঠানকে। শুধু ইরফান পাঠানই নয়, জম্মু-কাশ্মীর ক্রিকেট দলের সঙ্গে যুক্ত ক্রিকেটার থেকে সাপোর্ট স্টাফ, যাঁরা কাশ্মীরের বাসিন্দা নন, তাঁদেরই আপাতত ভূস্বর্গ ছাড়তে বলা হয়েছে। সামনেই ঠাসা ঘরোয়া ক্রিকেট মরশুম। চলতি মাসের ১৭ তারিখ থেকেই শুরু হচ্ছে দলীপ ট্রফি। তারপরে সর্বভারতীয় একদিনের ক্রিকেট প্রতিযোগিতা বিজয় হাজারে শুরু হবে। রঞ্জি শুরু হচ্ছে ডিসেম্বরের ৯ তারিখ থেকে। এমন অবস্থাতেই আতান্তরে জম্মু-কাশ্মীরের ক্রিকেট।
সর্বভারতীয় এক প্রচারমাধ্যমে দেওয়া বিবৃতিতে জম্মু-কাশ্মীর ক্রিকেট বোর্ডের সিইও সৈয়দ আশিক হুসেইন বুখারি জানিয়েছেন, "জম্মু-কাশ্মীরের ক্রিকেট অ্যাকাডেমি পাঠান সহ বাকি সাপোর্ট স্টাফদেরও কাশ্মীর ছেড়ে যেতে বলেছে। রবিবারেও ওরা উপত্যকা ছাড়ছে। যে সমস্ত নির্বাচকরা এই এলাকার নন, তাঁদেরও পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে।"
আরও পড়ুন ভারতের বিপক্ষে খেলতে নিমরাজি কেকেআরের রাসেল! ‘ফল’ মিলল হাতেনাতেই
ফ্লোরিডায় ধোনি হয়ে উঠলেন পন্থ! প্রশংসায় পঞ্চমুখ কোহলি
গত মরশুম থেকেই ইরফান পাঠান জম্মু-কাশ্মীর ক্রিকেট দলের সঙ্গে মেন্টর এবং ক্রিকেটার হিসেবে যুক্ত। ইরফান পাঠানের সঙ্গে কোচ মিলাপ মেওয়াদা এবং ট্রেনার সুদর্শন ভিপি-ও রবিবারে কাশ্মীর ছাড়ছেন। এমনিতেই কাশ্মীরে বড়সড় নাশকতার আশঙ্কা রয়েছে। সেই কারণে নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে। অমরনাথ যাত্রাও স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে। এমন অবস্থায় জম্মু-কাশ্মীর ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকেও ক্রিকেট সংক্রান্ত সমস্ত কর্মকাণ্ড বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সম্প্রতি। শ্রীনগরের শের-ই-কাশ্মীর স্টেডিয়ামে ১০০-এর বেশি ক্রিকেটারদের নিয়ে ক্যাম্প করা হচ্ছিল। তাঁদের বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ভূস্বর্গের নামি ক্রিকেটার পারভেজ রসুল জানিয়েছেন, জম্মু-কাশ্মীর ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন সিনিয়র এবং অনুর্ধ্ব-২৩ ক্রিকেটারদের ৮টি পৃথক দলে ভাগ করে প্রস্তুতি সারার পরিকল্পনা করেছিল। নির্বাচকদেরও উপস্থিত থাকার কথা ছিল সেই ক্যাম্পে। সেখান থেকেই প্রতিভা অন্বেষনের কাজ চালানো হচ্ছিল। তবে আচমকাই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সেই ক্যাম্প। এমন পরিস্থিতিতে কাশ্মীরে ঘরোয়া ক্রিকেট আয়োজনের উপরেও প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। যদিও এই বিষয়ে সরকারিভাবে বিসিসিআইয়ের তরফে কিছু জানানো হয়নি।