/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/04/1-LEAD-1-2.jpg)
শব্দবাজির সমালোচনা করেছিলেন। সেইজন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলিংয়েরও শিকার হয়েছিলেন। তারপরে আবার পালটা দিলেন ইরফান পাঠান। বলে দিলেন, এত ঘৃণা কেন!
গত সপ্তাহেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছিলেন, করোনা মোকাবিলায় দেশ সংঘবদ্ধ এই বার্তা দিতে রবিবার ৫ এপ্রিল রাত ৯টায় ঘরের আলো নিভিয়ে মোমবাতি জ্বালাক।
I’m not worried abt WHAT PPL WILL SAY. PPL WHO KNOW ME AWARE OF MY CHARACTER But HATE has to stop.
— Irfan Pathan (@IrfanPathan) April 6, 2020
সেই ডাকে সাড়া দিয়েই দেশবাসী মোমবাতির জ্বালিয়ে ছিল। তবে অনেকেই অতি উৎসাহের বশবর্তী হয়ে বাজিও ফাটায়। দেশের চরম সংকটে এই ঘটনা ভালোভাবে নেননি ইরফান পাঠান। তিনি সরাসরি নিজের টুইটার থেকে লিখেছিলেন, "বাজি ফাটানো অব্দি সবকিছু ঠিকঠাক ছিল।"
এরপরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলিংয়ের শিকার হন তারকা ক্রিকেটার। ব্যাপকভাবে সমালোচিত হতে থাকেন তিনি। সেই গালিগালাজের স্ক্রিনশট নিয়ে পাঠান টুইটারে পাল্টা লিখেছিলেন, "আমাদের দমকলের অগ্নি নির্বাপক ট্রাক প্রয়োজন। তুমি কি সাহায্য করতে পারো?"
It was so good untill ppl started bursting crackers #IndiaVsCorona
— Irfan Pathan (@IrfanPathan) April 5, 2020
এরপরে গোটা ঘটনা ফেসবুকে জানিয়ে পাঠান লেখেন, "জাতীয় দলের জার্সিতে দেশকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতিনিধিত্ব করা আমার মতো একজন যদি এত ঘৃণার শিকার হয় তাহলে সাধারণ মানুষ কী অবস্থার মধ্যে রয়েছে? আমরা কি সবাই একত্রে এই ঘৃণা বন্ধ করতে পারি না? সচেতনভাবে এই পাগলামি কি বন্ধ করা যায় না? এই পরামর্শ ও প্রশ্ন সমস্ত ধর্মের বিশ্বাসীদের জন্য।"
We need fire trucks can u help? @TwitterIndiapic.twitter.com/6sT92n9HRP
— Irfan Pathan (@IrfanPathan) April 6, 2020
অনেক নেটিজেনই আবার পাঠানের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তারা পরামর্শ দিয়েছেন, ট্রোলিংকে অবজ্ঞা করার জন্য। তবে পাঠান জানিয়েছেন, "মানুষ কে কী বলবে তা নিয়ে মোটেই ভাবিত নই। যাঁরা আমাকে চেনেন তারা জানেন আমি কেমন! তবে এই ঘৃণা বন্ধ করতেই হবে।"
করোনা মোকাবিলায় ইরফান ও ইউসুফ দুই পাঠান ভাই ই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। নিজেদের শহর বরোদায় গরীবদের ১০হাজার কেজি চাল, ৭০০কেজি আলু দিয়েছেন আগেই।