TMC candidates list for Lok Sabha election 2024: জন গর্জন সভা থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে লোকসভার ৪২ কেন্দ্রের প্রার্থী ঘোষণা করে দেওয়া হল রবিবার। ব্রিগেডের সভা থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের ঘোষিত তালিকায় বড়সড় চমক হিসাবে আবির্ভূত হয়ে গেলেন ইউসুফ পাঠান। কস্মিনকালেও ভাবা যায়নি প্রাক্তনদের দলে নাম লিখিয়ে ফেলা ক্রিকেটারকে তৃণমূল কংগ্রেস তাঁদের টিকিটে প্রার্থী ঘোষণা করবে।
তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে তালিকা প্রকাশ করেছেন তাতে ইরফান পাঠান ছাড়াও রয়েছেন বিশ্বকাপ জয়ী কীর্তি আজাদ। বেশ কয়েকজন পুরনো মুখকে টিকিট না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে টিএমসি। এর মধ্যে ইউসুফ পাঠানকে টিকিট দেওয়া বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
সংখ্যালঘু অধ্যুষিত মুর্শিদাবাদ জেলায় বহরমপুরের এই আসনে সিনিয়র পাঠানের এই লড়াই মোটেও সহজ হবে না। তাঁকে লড়তে হবে পাঁচবারের সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরির বিপক্ষে।
জেলার আসন পেয়েছেন ইউসুফ পাঠান। বাংলার রাজনীতিতে ভূমিপুত্র বনাম বহিরাগত ইস্যু যখন বেশ আলোচনায় তখন শত্রুঘ্ন সিনহা, ইউসুফ পাঠান, কিংবা কীর্তি আজাদদের মত ভিন রাজ্যের নামি মুখকে এনে টিকিট দেওয়া বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
ভিন রাজ্যের হলেও ইউসুফের অবশ্য বাংলা-কানেকশন নতুন কিছু নয়। অতীতে আইপিএলে কেকেআরের হয়ে খেলেছেন। হার্ড হিটার ব্যাটসম্যান হিসেবে প্রসিদ্ধ ছিলেন। রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে ৩৭ বলে ১০০ করে যেমন ঝড় তুলে রেকর্ড গড়েছিলেন। তেমন কেকেআরের হয়ে ১৫ বলে ফিফটি করে দ্বিতীয় দ্রুততম হাফসেঞ্চুরির নজিরও গড়েন তারকা। শাহরুখের দলকে আইপিএল চ্যাম্পিয়ন করতেও সাহায্য করেন সিনিয়র পাঠান।
কলকাতাই দর্শক ফেভারিট ছিলেন। আর ইউসুফের নাম সরকারিভাবে প্রার্থী হিসেবে ঘোষিত হওয়ার পরই ইরফান পাঠান টুইট করেন, "তোমার ধৈর্য্য, দয়ালু মানসিকতা, এবং কোনও সরকারি পদে না থেকেও দরিদ্রদের সেবা করার বাসনা সকলেই দেখেছে। আমি আত্মবিশ্বাসী রাজনৈতিক ভূমিকায় তুমি মানুষদের প্রাত্যহিক জীবনে তফাৎ গড়ে দেবে।"
দাদা পাঠানের হয়ে ভাই পাঠান-ই প্রথম প্রচার করে দিলেন, বলাই যায়!