বিএসপি সাংসদ দানিশ আলিকে সংসদে অকথ্য ভাষায় আক্রমণ চালিয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ রমেশ বিধুরি। বৃহস্পতিবার রাতে চন্দ্রযান-৩ মিশন সংক্রান্ত বিতর্ক চলাকালীন গালিগালাজের ফোয়ারা ছোটান দক্ষিণ দিল্লির সাংসদ। এরপরেই স্পিকার ওম বিড়লা সমস্ত মন্তব্য দৈনিক ধারাবিবরণী থেকে মুছে দেন।
স্পিকারকে এরপরে দানিশ আলি লিখিতভাবে জানান, "নিজের বক্তব্যের সময় উনি অশালীন, কুমন্তব্য করেছেন। যেগুলো লোকসভার রেকর্ডের অংশ। যে শব্দ উনি বলেছেন তা হল, 'ভাদওয়া' (অবৈধ প্রণয়ের দালাল), 'কাটওয়া' (লিঙ্গাগ্রের চর্মছেদন), মোল্লা উগ্রবাদী, আতঙ্কবাদী।"
এমন ঘটনার পরেই ইরফান পাঠান মুখ খুলেছেন। টুইটারে পাঠান পোস্ট করেন, "প্ররোচনা করা যদি বন্ধ না হয়, তাহলে সেটা নিয়মে পরিণত হয়।" নিজের টুইটের সঙ্গে হ্যাশট্যাগে পাঠান 'পার্লামেন্ট' শব্দবন্ধনী জুড়ে দিয়েছেন।
সাংসদের কোনও এক সদস্যের এই অসংসদীয় মন্তব্যে রীতিমত কড়া অবস্থান নিচ্ছেন স্পিকার ওম বিড়লা। লোকসভা সচিবালয়ের এক সূত্র জানিয়েছেন, "উনি (স্পিকার) কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। ভবিষ্যতে যদি এরকম ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে, তাহলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।" দানিশ আলিও বিধুরির বিরুদ্ধে কড়া শাস্তি নেওয়ার আবেদন করেছেন। এমনকি সংসদের প্রিভিলেজ কমিটির কাছেও বিষয়টি উত্থাপনের প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি।
কংগ্রেসের তরফে বিধুরিকে বহিষ্কারের দাবি করা হচ্ছে। এই ইস্যুতে মাঠে নেমে পড়েছেন বিরোধী শিবিরও। তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ মহুয়া মৈত্র টুইটারে পোস্ট করেছেন, "মর্যাদার ধারক। কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি!" নিজের টুইটের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা এবং স্পিকার ওম বিড়লাকে ট্যাগ করে ভিডিও পোস্ট করেছেন।
অন্য পোস্টে মহুয়া মৈত্র লিখেছেন, "মুসলিম, দলিত সম্প্রদায়কে গালি দেওয়া বিজেপি সংস্কৃতির অংশ। অনেকেই এতে ভুল কিছু খুঁজে পান না। নরেন্দ্র মোদি মুসলিমদের নিজেদের ভূমিতেই এত ভয়ের মধ্যে থাকতে বাধ্য করছেন যে ওঁরা সবকিছু সহ্য করতে বাধ্য হচ্ছে। স্যরি এটা বলতে বাধ্য হলাম। মা কালী আমাকে রক্ষা করুন।"
এনসিপি নেতা ওমর আব্দুল্লাও আক্রমণ করে বলেছেন, "এতেই প্রমাণিত বিজেপি মুসলিমদের সম্পর্কে কী ভাবে! ওঁদের লজ্জিত হওয়া উচিত।"