/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/06/2-LEAD-15.jpg)
বর্ণবিদ্বেষ শুধুমাত্র জাতিগতভাবে সীমাবদ্ধ নয়। ধর্মীয় কারণে কাউকে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হলে, সেটাও একপ্রকার বর্ণবিদ্বেষ। এমনটাই মনে করছেন ইরফান পাঠান। মঙ্গলবারেই প্রাক্তন তারকা অলরাউন্ডার একটি টুইট করেন। যেখানে তিনি বলেছেন, "শুধুমাত্র গায়ের চামড়ার রঙের জন্য বৈষম্যই বর্ণবিদ্বেষ নয়। সমাজে কাউকে ধর্মীয় কারণে বাড়ি কিনতে না দেওয়াও কিন্তু বর্ণবিদ্বেষ।" এই টুইটের সঙ্গে পাঠান 'রেসিজম', 'কনভেনিয়েন্ট' এই দুই শব্দ হ্যাশট্যাগে জুড়ে দেন।
নিজের টুইটের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে পাঠান এরপরে সংবাদে সংস্থা পিটিআইকে বলেন, "এটা আমার পর্যবেক্ষণ। এই নিয়ে কেউই দ্বিমত হতে পারবেন না।"
Racism is not restricted to the colour of the skin.Not allowing to buy a home in a society just because u have a different faith is a part of racism too... #convenient#racism
— Irfan Pathan (@IrfanPathan) June 9, 2020
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জর্জ ফ্লয়েডের মর্মান্তিক ঘটনার পর অনেক ক্রিকেটারই বর্ণবিদ্বেষ নিয়ে মুখ খুলেছেন। ক্রিস গেইলের পর প্রতিবাদে সরব হয়েছেন ড্যারেন স্যামিও। তিনি আবার বিস্ফোরকভাবে জানিয়েছেন, আইপিএলে সানরাইজার্স এ খেলার সময় তাকে বর্নবিদ্বেষীমূলক মন্তব্যের শিকার হতে হয়েছে।
এর পরে মুখ খোলেন পাঠানও। ২০১৪-র আইপিএলে সানরাইজার্স এর জার্সিতে খেলেছেন পাঠান। তিনি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন, “যদি সেরকম কিছু হত, তাহলে নিশ্চয়ই আমাদের নজরে আসত। কিংবা টিম মিটিংয়ে এই বিষয়ে আলোচনা হত। এমন কোনো ঘটনার কথা আমার জানা নেই। এই মন্তব্যের দায়িত্ব ওকেই নিতে হবে।”
সানরাইজার্স এর এমন ঘটনা অস্বীকার করলেও ঘরোয়া ক্রিকেটে বর্ণ বিদ্বেষের অভিযোগ পুরোপুরি উড়িয়ে দিচ্ছেন না তারকা অলরাউন্ডার। পাঠান বলেছেন, “তবে দেখেছি দক্ষিণের ভাইয়েরা নর্থ ইন্ডিয়ায় খেলতে এলে ওদেরকে লক্ষ্য করে কটূক্তি করা হয়। আমার মনে হয়, শিক্ষা এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সমাজকেও এটা মানতে হবে।”
“ভারতীয় সমাজে আমরা এখনও বর্ণবিদ্বেষের বিরুদ্ধে সেভাবে সোচ্চার নই। আমাদের উত্তর পূর্বের ভাই বোনদেরও এই বিষয় মোকাবিলা করতে হয়। এই সমস্যার শিকড় অনেক গভীরে রয়েছে। এই অবস্থার জন্য নিজেদের ছেলে মেয়েদের শিক্ষার মাধ্যমে সচেতন করতে হবে।”, বলেছেন পাঠান।