ইজরায়েল-প্যালেস্টাইন দ্বৈরথ নিয়ে সরব, অথচ বাংলার নির্বাচন পরবর্তী সন্ত্রাসের বিষয়ে কোনো টুইট নেই কেন! এই প্রশ্নেই ইরফান পাঠানকে বিঁধেছিলেন কঙ্গনা রানাউত। তারপরেই ইরফান পাঠান পাল্টা আক্রমণ করলেন বলিউডের গ্ল্যামার কুইন-কে। যা নিয়ে বৃহস্পতিবার সারাদিন সরগরম সোশ্যাল মিডিয়া।
প্যালেস্টাইনের হামাস জঙ্গিগোষ্ঠী ইজরায়েলের ওপর আক্রমণ শুরু করার পরেই পাল্টা নিজেদের সামরিক শক্তি প্রদর্শন করেছে ইজরায়েল। গাজা-র ইজরায়েলের রকেট হামলায় একাধিক হামাস কমান্ডার মারা গিয়েছেন বলে দাবি। তবে এর আঁচ এসে পড়েছে নিরস্ত্র জনগণের মধ্যেই।
আরো পড়ুন: জাতীয় দলের কোচ হয়ে গেলেন মুম্বইয়ের পাওয়ার, লক্ষ্মীবারেই বড় ঘোষণা সৌরভের বোর্ডের
ইজরায়েলি 'সন্ত্রাসের' প্রতিবাদেই মুখ খুলেছিলেন ইরফান পাঠান। তাঁর টুইট ছিল, "যদি কারোর মধ্যে ন্যূনতম মানবিকতাও থাকে, তাহলে কেউ প্যালেস্টাইনে যা হচ্ছে, তা সমর্থন করবেন না।" এই পোস্টের সঙ্গে মানবিকতা বাঁচাও এমন হ্যাশট্যাগও জুড়ে দিয়েছিলেন।
এমন টুইটের পরেই সোশ্যাল মিডিয়াতে পাল্টা আক্রমণ ধেয়ে আসে পাঠানের দিকে। বাংলায় নির্বাচন পরবর্তী সন্ত্রাসের বিষয়ে তিনি মুখ খোলেননি কেন, এই প্রশ্নও করেন নেটিজেনরা। বাংলায় সন্ত্রাসের বিষয়ে মুখ না খোলায় পাঠানকে তুলোধোনা করেন কঙ্গনা রানাউতও।
এরপরেই পাল্টা কঙ্গনাকে একহাত নিয়ে নতুন টুইট করেন পাঠান। "আমার সমস্ত টুইটই হয় দেশবাসী অথবা মানবিকতাকে নিয়ে করা। এমন একজন মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে যে দেশের হয়ে সর্বোচ্চ পর্যায়ে প্রতিনিধিত্ব করেছে। তবে আমার মতামতকে চ্যালেঞ্জ জানাতে আসে কঙ্গনার মত মানুষরা, যাঁর টুইটার একাউন্টই সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়। আর কিছু পেড একাউন্ট যারা ক্রমাগত হিংসা ছড়িয়ে যায়।"
এদিকে, ইজরায়েল-প্যালেস্টাইন দ্বৈরথ নিয়ে কঙ্গনার মতামতও সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়েছে। নেটিজেনরা এবার তাঁর টুইটার একাউন্ট চিরতরে বন্ধ করে দেওয়ার আর্জিও জানিয়েছেন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন