ক্রিকেট বিশ্বে সাড়া ফেলে দিয়েছে ইংল্যান্ডের 'বাজবল' স্ট্র্যাটেজি। আর সেই স্টাইল থেকেই অনুপ্রাণিত হয়ে বড়সড় বদল করতে পারে টিম ইন্ডিয়া। ডমিনিকায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১১ জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে প্ৰথম টেস্ট। আসেজে 'বাজবল' স্ট্র্যাটেজির জন্যই দেশের সেরা উইকেটরক্ষক বেন ফোকসকে বাইরে রেখে ইংল্যান্ড ডেকে নিয়েছে জনি বেয়ারস্টোকে। উইকেটকিপার হিসাবে ফোকস বেয়ারস্টোর থেকে যোজন দূরে এগিয়ে থাকলেও ব্যাটার হিসাবে আবার অনেকটাই পিছিয়ে তিনি। বেয়ারস্টো আসেজের প্ৰথম দিন ৭৮ বলে ৭৮ করেছিলেন। যা ইংল্যান্ডের টেস্ট দলের কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালাম এবং ক্যাপ্টেন স্টোকসের দর্শনের সঙ্গে একদম সঙ্গতিপূর্ণ।
ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ভাবা হচ্ছিল কেএস ভরত নয়, টিম ইন্ডিয়া প্ৰথম একাদশে সুযোগ দেবে ঈশান কিষানকে। তবে ভরতকেই শেষমেশ খেলানো হয়। ফাইনালের আগে একাধিক নেট অনুশীলনেই বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। ঈশানকে কখনই গ্লাভস এবং প্যাড পরে অনুশীলনে দেখা যায়নি। স্রেফ নিয়মিত ব্যাটিং প্র্যাকটিস করে গিয়েছেন কিষান।
উইকেটকিপার হিসাবে কেএস ভরত দারুণ পারফর্ম করেছেন। বেশ কয়েকটি দারুণ ক্যাচ নিয়েছেন। ডিআরএস নেওয়ার ক্ষেত্রেও সপ্রতিভ দেখা গিয়েছে তাঁকে। তবে তাঁকে ডুবিয়ে দিয়েছে ব্যাটিং। ওভালের পিচে ক্রমাগত শর্ট পিচ বলের সামনে তাঁকে দৃশ্যতই অস্বস্তিতে লেগেছে।
আরও পড়ুন: বিশ্বচ্যাম্পিয়ন এই গুরুকেই টিম ইন্ডিয়ার হেড কোচের জন্য টার্গেট! ফাঁস জয় শাহদের ব্লুপ্রিন্ট
কেন ঈশান কিষান?
ঘটনা হল, পন্থের ইনজুরি ভারতের টেস্ট দলে অপূরণীয় এক শূন্যতার জন্ম দিয়েছে। পাঁচ টেস্ট খেলে ফেলা ভরত মোটেই টিম ম্যানেজমেন্টকে আশা যোগাতে পারছেন না। ঈশান কিষানেরও শর্ট পিচ বলে দুর্বলতা রয়েছে। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পিচ সাধারণত লো এবং স্লো হয়ে থাকে। এমন পিচে ঈশান বেশি কার্যকর হতে পারেন ভাবা হচ্ছে। তবে ঈশান যে পন্থের বিকল্প এমনটা মোটেও ভাবা হচ্ছে না। তবে পন্থের যথাযথ বিকল্প হয়ে ওঠার ক্ষমতা রয়েছে তাঁর। পন্থের মতই আগ্রাসী ব্যাটিং করেন। সাত নম্বরে নেমে দ্রুতগতির ৬০-৭০ রানের ইনিংস ম্যাচের রংই বদলে দিতে পারে। সেই কারণেই আপাতত ঈশানকে ভরতের থেকে যোগ্য ভাবা হচ্ছে।
অন্য অপশন কারা কারা:
এমন কঠিন পরিস্থিতিতে বিকল্প হিসেবে উঠে আসতে পারতেন ঋদ্ধিমান সাহা। তবে টিম ম্যানেজমেন্ট আগেই ঋদ্ধি থেকে এগিয়ে যেতে চাইছে। বর্ষীয়ান তারকাও কামব্যাকের আশা করছেন না। তাই দলীপ ট্রফি থেকেও।নিজের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন বাংলার তারকা।
ঈশান-ভরত আপাতত এগিয়ে থাকলেও টিম ম্যানেজমেন্টের নজরে রয়েছে রেলওয়েজের হয়ে খেলা উপেন্দ্র যাদব-ও। ২৬ বছরের তারকা ভারতীয়-ও দলের নিয়মিত সদস্য। অবশিষ্ট ভারতীয় একাদশের হয়ে ইরানি ট্রফিতেও খেলেছেন। বাংলাদেশের বিপক্ষে আনঅফিসিয়াল টেস্টে উপেন্দ্র ছয় নম্বরে নেমে ৭১ রানের ঝকঝকে ইনিংস উপহার দিয়েছিলেন।
অন্য অপশন হিসাবে হাজির হতে পারেন কেএল রাহুল। ওয়ানডেতে রাহুল দলের ফার্স্ট চয়েস কিপার-ব্যাটসম্যান। তবে রাহুল চোটপ্রবণ। সামনে ওয়ানডে ওয়ার্ল্ড কাপও রয়েছে। এমন অবস্থায় নির্বাচকরা রাহুলকে নিয়ে অযথা ঝুঁকি নেওয়ার পথে হাঁটবেন না বলেই ধারণা।
Read the full article in ENGLISH