নিজে ঘুমোননি। তবে ভারতকে জাগিয়ে রেখেছেন ম্যাচে। প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিনেই ভারত বেকায়দায়। হারের ভ্রুকুচটি। তবে ইশান্ত শর্মা তিন উইকেট নিয়ে ভারতকে প্রত্যাবর্তনের স্বপ্ন দেখাচ্ছেন। দলের বাকিরা যেখানে মাথা খুঁড়ে মরছেন সেখানে ইশান্তের হাতেই কিউয়িল্যান্ডে গিয়ে স্বপ্ন দেখছে জাতীয় দল।
দ্বিতীয় দিনের শেষে জাতীয় দলের সিনিয়র মোস্ট তারকা বলছেন, "আমার মোটেই ভাল লাগছে না। দু-দিন ধরে ঘুমোতে পারছি না। শরীর নিয়ে বেশ কষ্টে রয়েছি। ঘটনা হল, যেভাবে বল করতে পছন্দ করি, তা পারিনি। ওরা আমাকে খেলতে বলল। আমি খেললাম। দলের জন্য সবকিছু করতে পারি।"
ভারতের ১৬৫ রানের জবাবে নিউজিল্যান্ড দ্বিতীয় দিনের শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ২১৬ তুলে ফেলেছে। এখনই ৫১ রানের লিড। শেষ পাঁচ উইকেটে নিউজিল্যান্ড আর কত রান যোগ করবে, তা নিয়েই এখন দুরুদুরু বুকে অপেক্ষায় থাকবেন কোহলিরা।
আরও পড়ুন টানা ৪৮ ওভারে ০ উইকেট! সংশয়ে বুমরার আন্তর্জাতিক কেরিয়ার
নিউজিল্যান্ডের ৫ উইকেটের মধ্যে ৩ উইকেটই ইশান্তের শিকার। দুই ওপেনার টম ব্লান্ডেল ও টম ল্যাথামকে ফিরিয়েছিলেন। পরে রস টেলরকেও প্যাভিলিয়নের রাস্তা দেখান তিনি।
Ishant Sharma was ????????'s hero with the ball meanwhile Kane Williamson was ????????'s main man on Day 2.
With the Kiwis leading by 51 runs, #TeamIndia will continue fighting for the remaining 5 wickets.#NZvIND #OrangeArmy pic.twitter.com/UGT2EjbBzC
— SunRisers Hyderabad (@SunRisers) February 22, 2020
শারীরিক ক্লান্তি নিয়েই ইশান্ত সহ বাকি পেসাররা সমস্যায় পড়েছেন বেসিন রিজার্ভের পিচে। ক্রমশ স্লো হতে চলা পিচে ঠিকমতো গতি বজায় রেখে বল করাই চ্যালেঞ্জ। পাশাপাশি কোকাবুরা বল ৪০ ওভারের পরেই নরম হয়ে পড়ছে। জোড়া চ্যালেঞ্জ নিয়েই ভারতীয় বোলাররা কিউয়ি ব্যাটসম্যানদের প্রতিপক্ষ করছে।
আরও পড়ুন রাহানের ভুলে রান আউট! রাগে ফেটে পড়লেন পন্থ
তবে ইশান্তের ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জের মাত্রাটা একটু বেশিই। তিন সপ্তাহ আগেও ৯৬ টেস্ট খেলা তারকা পেসারের প্রত্যাবর্তন ঘিরে সংশয় ছিল। রঞ্জি ট্রফিতে লিগামেন্ট ছিড়ে বিশ্রামে যেতে হয়েছিল তাঁকে। রিকভারি করেই প্রথম টেস্ট শুরু হওয়ার মাত্র ৭২ ঘণ্টা আগে পা রেখেছেন। জেট ল্য়াগের ধাক্কা সামলানোর আগেই নামতে হয়েছে বল হাতে।
ইশান্ত বলছিলেন, "এমনটা নয় যে আমি নিজের বোলিং নিয়ে একেবারেই খুশি নই। তবে নিজের শরীরের অবস্থা নিয়ে সন্তুষ্ট নই। গত রাতে মাত্র ৪০ মিনিট ঘুমোনোর সুযোগ এসেছিল। টেস্ট শুরুর আগে ঘুমিয়েছিলাম মাত্র ৩ ঘণ্টা।"
জেটল্য়াগের প্রসঙ্গে তিনি বলছেন, "জেটল্যাগ থেকে রিকভারি করার সবথেকে ভাল উপায় হচ্ছে ঘুম। যত নিশ্ছিদ্র ঘুম হবে, ততই মাঠে নিজেকে উজার করে দেওয়া সম্ভব হবে।"