শনিবারেই যুবভারতীতে মুখোমুখি জামশেদপুর এফসি এবং এটিকে। দুই দলই পয়েন্ট তালিকায় প্রথম চারের মধ্যে রয়েছে। জামশেদপুর যেমন ৩ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে। এটিকে সমসংখ্যক ম্যাচে এক পয়েন্ট কম পেয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছে।
প্রথম ম্যাচেই কেরালা ব্লাস্টার্সের বিপক্ষে হার দিয়ে অভিযান শুরু করেছিল এটিকে। তবে তারপর টানা দু-ম্যাচে জয় পেয়েছে। পরপর হারিয়েছে চেন্নাই ও হায়দরাবাদ এফসিকে। অন্যদিকে, তৃতীয়বার টুর্নামেন্টে খেলতে নেমে সবথেকে ভাল সূচনা এবারেই করেছে জামশেদপুর। এটিকের রক্ষণ দারুণ ছন্দে রয়েছে। এখনও পর্যন্ত মাত্র দু-গোল হজম করেছে এটিকে। পাশাপাশি, আক্রমণভাগও দুরন্ত ফর্মে খেলছে। শেষ দু-ম্য়াচেই তার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।
এটিকের হয়ে আক্রমণে প্রধান অস্ত্র ডেভিড উইলিয়ামস। তিন ম্যাচেই তিন গোল করে ফেলেছেন অস্ট্রেলীয় ফরোয়ার্ড। তাঁকে দারুণভাবে সহায়তা করছেন এ লিগে একসঙ্গে খেলা ফিজির তারকা রয় কৃষ্ণ। তিন ম্যাচেই এটিকের আক্রমণ ৭ গোল প্রতিপক্ষের জালে জড়িয়েছে।
এসব অবশ্য মাথায় রাখতে চান না এটিকে বস অ্যান্তোনিও লোপেজ হাবাস। তিনি ম্যাচের আগে সাংবাদিক সম্মেলনে সাফ জানিয়ে রাখছেন, "প্রতি দলকেই সম্মান জানাতে হবে। জামশেদপুর দারুণ দল। বেশ কিছু ভাল ফুটবলারকে ওরা এবারে সই করিয়েছে। ভীষণ সতর্ক হয়ে জামশেদপুরের বিপক্ষে খেলতে হবে আমাদের। তবে কোনও বিশেষ ফুটবলার নয়, গোটা দলকেই নজরে রাখতে হবে।"
হাবাস আক্রমণকে দারুণ কৌশলীভাবে ব্যবহার করছেন। হায়দরাবাদ এফসিকে ঘরের মাঠে ৫-০ গোলে জেতার পরেই কিছুটা রক্ষণাত্মক খেলে অ্যাওয়ে ম্যাচে চেন্নাইয়িনের বিপক্ষে জিতেছে মাত্র ১-০ গোলে। হাবাস নিজের রণকৌশলের ব্য়াখ্যা দিতে গিয়ে বলছেন, "রক্ষণ ও আক্রমণ- ফুটবলের দুই দিক। চেন্নাইয়িন ম্যাচে হয়তো আমরা নিজেদের সেরা খেলা উপহার দিতে পারিনি। তবে আমরা জিতে মাঠ ছেড়েছি। কিছু সময়ে ভাল খেলার থেকে জেতা প্রয়োজন হয়ে পড়ে।"
ডেভিড উইলিয়ামস-রয় কৃষ্ণ জুটিকে মাঝমাঠ থেকে দারুণভাবে সহায়তা করছেন মাইকেল সুসাইরাজ ও হাভিয়ের হার্নান্ডেজের মতো তারকারা। জামশেদপুর এফসি এটিকের এই আক্রমণ সম্পর্কে ভালভাবেই অবহিত। তাই নিজেদের রক্ষণকে আরও শক্তপোক্ত করেই মাঠে নামতে চায়।
অ্যান্তোনিও ইরিনোদোর দল বল পজেশন দখলে রেখে আক্রমণে উঠতে পছন্দ করে। তাঁদের সেরা অস্ত্র পিটি ও আইতোর মোনরয়ের মতো তারকারা। পাশাপাশি জামশেদপুরের স্ট্রাইকার সের্জিও কেসেল দারুণ ফর্মে রয়েছেন। আইএসএলের শুরুতেই ২৪ বছরের তারকা নজর কেড়েছেন আলাদা করে।
জামশেদপুর কোচ অ্যান্তোনিও ইরিনোদো বলছেন, "আমরা জানি দারুণ দলের মোকাবিলা করতে হবে। ওরা দারুণ দল। দলের গভীরতা অনেক বেশি। হাবাসকে আগের থেকেই আমি চিনি। ওরা এমন একটা দল যারা আক্রমণাত্মক খেলতেই বেশি পছন্দব করে।"
তবে জামশেদপুরের চিন্তা একটাই। বিদেশি ফুটবলাররা নজর কাড়লেও দেশি ফুটবলাররা সেভাবে দাগ কাটতে ব্যর্থ। তবে জামশেদপুরের আক্রমণে ভারতের জাতীয় দলে খেলা অনিকেত যাদব, ফারুখ চৌধুরিরা যে কোনও দলের বিপক্ষে গোল করতে সক্ষম।
কোনও সন্দেহ নেই, শনিবাসরীয় সন্ধেয় উত্তেজক ম্যাচই দেখা যাবে যুবভারতীতে।