ATK vs Jamshedpur FC Highlihgts:
এটিকে- ৩ (কৃষ্ণ-২, এডু গার্সিয়া-১)
জামশেদপুর-১ (সের্জিও ক্যাসেল)
বিরতিতে গোলশুন্য। বিরতির পর চারটে গোল দেখল যুবভারতী। এর মধ্যে তিনটে গোলই পেনাল্টি থেকে। রয় কৃষ্ণ দুটো পেনাল্টি আদায় করে দুটো গোল করে গেলেন। মাঝে জামশেদপুরের হয়ে সের্জিও ক্যাসেল পেনাল্টি থেকেই ব্যবধান কমিয়েছিলেন। সংযোজিত সময়ে পরিবর্ত হিসেবে নামা এডু গার্সিয়া গোল করে স্কোরলাইন ৩-১ করলেন।
রাজ্যে বুলবুল-এর প্রভাবে প্রবল বৃষ্টি। সেই বৃষ্টি আছড়ে পড়েছিল যুবভারতী স্টেডিয়ামেও। তবে প্রবল বৃষ্টির মধ্যেই খেলা চালিয়ে যান দু-দলের ফুটবলাররা। জামশেদপুর শুরুতে প্রাধান্য নিয়ে খেলা চালু করে। বল পজেশনেও এগিয়ে ছিল। তবে এটিকে-র হার্ড প্রেসিং ফুটবলের সামনে গোলের মুখ খুলতে পারছিল না। প্রথমার্ধের শুরুটা যদি জামশেদপুরের হয়, তাহলে শেষটা এটিকের।
বিরতির পরে এটিকের প্রেসিং ফুটবলের সামনে অবশ্য তল খুঁজে পায়নি জামশেদপুরের ফুটবলাররা। প্রথম ম্যাচেই এটিকে হেরেছিল কেরলের কাছে। এরপর টানা তিনটে জয় পেয়ে এটিকে লিগ তালিকার শীর্ষে পৌঁছে গেল।
প্রথম ম্যাচেই কেরালার কাছে হারের পরে এটিকে পরপর দু-ম্যাচে জয় পেয়েছে হায়দরাবাদ ও চেন্নাইয়িনের বিপক্ষে।
সংযোজিত সময়ে গোল করে গেলেন সুপার সাব এডু গার্সিয়া। ডান প্রান্ত থেকে বল রেখেছিলেন প্রবীর দাস। রয় কৃষ্ণ বাঁদিকে বল রিসিভ করে দারুণ সেন্টার করেছিলেন। কার্যত অরক্ষিত থাকা এডু গার্সিয়া গোলকিপার সুব্রত পালকে পরাস্ত করে স্কোরলাইন ৩-১ করেন।
নির্ধারিত সময়ে খেলা শেষ হওয়ার ঠিক ছয় মিনিট আগে গোলের ব্যবধান কমায় জামশেদপুর। বক্সের মধ্যে আনাস ফাউল করেছিলেন সের্জিও কাসেলকে। রেফারি বাঁশি বাজিয়ে পেনাল্টি দিতে ভুল করেননি। সেখান থেকে ব্যবধান কমান কাসেল।
জাভি হার্নান্ডেজকে তুলে এডু গার্সিয়াকে নামালেন কোচ হাবাস। সেই সঙ্গে মাইকেল সুসাইরাজের পরিবর্তে নামানো হল জবি জাস্টিনকে। এখনও ১২ মিনিট বাকি নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হওয়ার জন্য। এর মধ্যে গোল না করতে পারলে ম্যাচ তেকে হারিয়ে যাবে জামশেদপুর।
নাটকের পর নাটক যুবভারতী সল্টলেক স্টেডিয়ামে। ফের পেনাল্টি থেকে গোল করলেন রয় কৃষ্ণ। এটিকে এগিয়ে গেল ২-০ গোলে। অরিন্দম লম্বা বল পাঠিয়েছিলেন জামশেদপুরের অর্ধে। হেডে বল রিসিভ করে একক দক্ষতায় বক্সের মধ্যে এগিয়ে গিয়েছিলেন কৃষ্ণ। তিরিকে ফেলে এগিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। তবে পিছন থেকে বিশ্রী ট্যাকল করেছিলেন মেমো। বক্সের মধ্যে তারপরেই আরও একবার ফাউল করেন তিরি। তিরিকে হলুদ কার্ড দেখান রেফারি। হতাশা চেপে রাখতে না পারায় গোলকিপার সুব্রত পালও বল ফেলে দিয়ে হলুদ কার্ড হজম করলেন। পেনাল্টিতে প্রথমবার গোল করার পরে রেফারি চেয়েছিলেন দ্বিতীয়বার গোলে শট নিন কৃষ্ণ। দ্বিতীয়বারেও সুব্রত পালকে পরাস্ত করে এটিকেকে ২-০ এগিয়ে দেন কৃষ্ণ।
পেনাল্টি পাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই ফ্রি কিক পেয়েছিল এটিকে। লং বল রিসিভ করার সময় কৃষ্ণকে ফাউল করেছিলেন রবিন গুরুং। স্পট কিক থেকে অবশ্য গোল করতে পারলেন না হাভিয়ের হার্নান্ডেজ। এর মধ্যেই পরিবর্ত ফুটবলার নামিয়ে ফেলল এটিকে। জয়েশ রানেকে তুলে কোচ নামালেন প্রণয় হালদারকে।
পেনাল্টি থেকে গোল করে এটিকেকে এগিয়ে দিলেন রয় কৃষ্ণ। বক্সের মধ্যে কৃষ্ণকে ফাউল করেছিলেন তিরি। বল ছাড়া ট্যাকল করে মাটিতে আছড়ে ফেলেছিলেন ফিজির তারকা ফুটবলারকে। প্রাপ্ত পেনাল্টি থেকে গোল করতে ভুল করেননি কৃষ্ণ। ঠাণ্ডা মাথায় সুব্রত পালকে পেরিয়ে বল জালে জড়ালেন তিনি।
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হয়েছে। এখনও স্কোরলাইন ০-০। এর মধ্য়েই দেখে নিন জয়েশ রাণের সেই প্রচেষ্টা
প্রথমার্ধ গোলশুন্য় রেখে মাঠ ছাড়ছেন দুই দলের ফুটবলাররা। দুই দলই গোল করার বেশ কিছু সুযোগ পেয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত বল জালে জড়াতে ব্যর্থ হয়েছে দু-দলের ফুটবলাররাই। মাঠে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। এর মধ্যেই খেলা চালিয়ে যাচ্ছেন ফুটবলারর। দ্বিতীয়ার্ধে কোন দল গোলের মুখ প্রথম খুলতে পারে, সেটাই দেখার।
বিরতির আগেই এগিয়ে যাওয়ার দারুণ সুযোগ পেয়েছিল এটিকে। গোলকিপার সুব্রত পালের ভুলে যদিও ফায়দা তুলতে ব্যর্থ এটিকে। তিরি ব্যাকপাস করেছিলেন সুব্রতকে। পালটা সুব্রত পাল পাস দিয়েছিলেন রবিন গুরুংকে। ডেভিড উইলিয়ামস বল চেজ করে বল কেড়েও নিয়েছিলেন। বক্সের মধ্যে কৃষ্ণকে পাস দিয়েছিলেন। কৃষ্ণ সেই বল ব্যাকহিল করেছিলেন হাভিয়ের হার্নান্ডেজকে। শট অবশ্য জালে রাখতে পারেননি হার্নান্ডেজ।
এরপরের মুহূর্তেই আবার একক দক্ষতায় গোল করে ফেলতে পারতেন জয়েশ রাণে। দু-জন প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে গোলে শট নিয়েছিলেন। তবে তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয় সামান্যের জন্য।
বিরতির আগেই ধাক্কা জামশেদপুর স্কোয়াডে। এটিকে রক্ষণকে ব্যস্ত রাখা পিটি হ্যামস্ট্রিংয়ে অস্বস্তি নিয়ে মাঠ ছাড়লেন। বদলে নামলেন নই অ্যাকোস্তা। ম্যাচের প্রথম পরিবর্তন ঘটালেন জামশেদপুর কোচ সের্জিও ইরিয়নদো।
খেলায় প্রাধান্য নিয়ে খেলঠে এটিকে। সুসাইরাজকে আটকাতে গিয়ে হ্যান্ডবল করে ফেলেছিলেন জামশেদপুরের ফুটবলার। স্পটকিক থেকে হাভিয়ের হার্নান্ডেজ দারুণ ক্রস রেখেছিলেন বক্সে। অগাস চেষ্টা করেও বলের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারলেন না।
ডানপ্রান্ত থেকে প্রবীর দাস কিগানকে টপকে বল রেখেছিলেন ডেভিড উইলিয়ামসকে লক্ষ্য করে। ক্রস লক্ষ্যে থাকলেও উইলিয়ামস সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে পারলেন না।
ম্যাকহিউজ লম্বা বল বাড়িয়েছিলেন কৃষ্ণকে লক্ষ্য করে। তবে তিরি কৃষ্ণের দৌড় প্রতিহত করলেন। জামশেদপুর এফসি বল পজেশনে এগিয়ে। ম্যাচের ৫৫ শতাংশ বল পজেশনই জামশেদপুরের দখলে। তবে এটিকের হার্ড প্রেসিং ফুটবলে বেশি সুযোগ তৈরি করতে পারছে না জামশেদপুর এফসি।
দারুণ সুযোগ!!!! ফারুখ চৌধুরীর শট ক্রসবারে ধাক্কা খেয়ে প্রতিহত হল। ডানপ্রান্ত থেকে পিটি দারুণভাবে আক্রমণ গড়ে তুলেছিলেন। জয়েশ রাণেকে যেভাবে বোকা বানালেন তা নজর কাড়ার মতো। ফারুখ চৌধুরী সেভাবে উচ্চতায় লাফাতে না পারলেও বলের নাগাল পেয়ে গিয়েছিলেন। তবে আক্রমণ শেষ হল ক্রসবারে লেগে।
শুরুতেই কিগান পেরেরা হলুদ কার্ড দেখলেন প্রবীর দাসকে ফাউল করে। কোনও সন্দেহ নেই যোগ্য সিদ্ধান্তই নিয়েছেন রেফারি। উইদাউট বল ফাউল করেছিলেন কিগান। শুরুতেই রেফারির বইয়ে নাম লেখালেন জামশেদপুর ফুটবলার।
নিজের জন্মদিনে খেলতে নামছেন ফারুখ চৌধুরী। অ্যাওয়ে ম্যাচে প্রতিপক্ষের ডেরায় দলকে জয় উপহার দিয়ে জন্মদিন সেলিব্রেট করতে পারবেন ফারুখ?
সুব্রত পাল, তিরি, মেমো মৌরা, কিগান পেরেরা, রবিন গুরুং, আইতোর মনরয়, মোবাসির রহমান, ফারুখ চৌধুরী, আইজাক ভানমালসামা, সের্জিও কেসেল, পিটি
প্রীতম কোটাল, অগাস্টিন গার্সিয়া, আনাস ইডাথোডিকা, প্রবীর দাস, জয়েশ রাণে, মাইকেল সুসাইরাজ, ডেভিড উইলিয়ামস, রয় কৃষ্ণ, কার্ল ম্যাকহিউজ, হাভিয়েজ হার্নান্ডেজ, অরিন্দম ভট্টাচার্য