ইস্টবেঙ্গল: ১ (ব্রাইট)
হায়দরাবাদ এফসি: ১ (আদ্রিয়ান)
কপাল খারাপ একেই বলে! খেলা শেষ হওয়ার ঠিক আগে সংযোজিত সময়ে গোল হজম করে জয়ের তিন পয়েন্ট হাতছাড়া করে বসল ইস্টবেঙ্গল। হায়দরাবাদ এফসির সঙ্গে ১-১ গোলে অমীমাংসিত অবস্থায় খেলা শেষ করে সন্তুষ্ট থাকতে হল রবি ফাউলারের দলকে।
দ্বিতীয়ার্ধে ইস্টবেঙ্গলকে বহু কাঙ্খিত গোল এনে দিয়েছিলেন ব্রাইট এনখোবারে। দ্বিতীয়ার্ধের অতিরিক্ত সময়ে সেই গোল শোধ করে দেয় হায়দরাবাদ।
আগের জামশেদপুর ম্যাচের একাদশই এদিন অপরিবর্তিত রেখেছিলেন কোচ ফাউলার। শুরুর অর্ধে উল্লেখজনক কিছু ঘটেনি। দুই দলই খাপছাড়া ফুটবল উপহার দেয়। ইস্টবেঙ্গল হায়দরাবাদ অর্ধে বেশ কয়েকবার আক্রমণ শানালেও প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি। অন্যদিকে, হায়দরাবাদ ইস্টবেঙ্গরের দুই উইং ধরে আক্রমণ করে বেশ কিছু ক্রস রেখেছিল। তবে কোনো অঘটন হয়নি।
বিরতির পর খেলার গতির বিপরীতে গোল হজম করে হায়দরাবাদ। হায়দরাবাদের হয়ে ইস্টবেঙ্গল গোলমুখী শট নিয়েছিলেন আদ্রিয়ান। সেই শট পোস্টে লেগে প্রতিহত হয়। ফিরতি বলে প্রতি আক্রমণ শানিয়ে পিকলিংটনের সহায়তা থেকে গোল করে যান ব্রাইট ৫৯ মিনিটে।
৮১ মিনিটে ইস্টবেঙ্গলের একটি পেনাল্টির আবেদন বাতিল করে দেন রেফারি। বক্সের মধ্যে ব্রাইটকে ফাউল করেছিলেন গোলকিপার কাট্টিমানি। তবে পেনাল্টির আবেদনে কর্ণপাত করেননি রেফারি।
এরপরে অতিরিক্ত সময়ের শুরুতেই অদ্রিয়ানে স্কোরলাইন ১-১ করে যান সানদাজার পাস থেকে। খেলা শেষ হওয়ার আগে আবার লাল কার্ড দেখে মার্চিং অর্ডার পেয়ে বেরিয়ে যেতে হয় হায়দরাবাদের মহম্মদ ইয়াসিরকে।
ইস্টবেঙ্গল:
সুব্রত পাল, অঙ্কিত মুখোপাধ্যায়, স্কট নেভিল, রাজু গায়কোয়াড, ড্যানি ফক্স, নারায়ণ দাস, সার্থক গলুই, জ্যাক মাঘোমা, স্টেইনম্যান, সৌরভ দাস, পিকলিংটন, এনখোবারে
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন