যে কোনো মূল্যে ডার্বি জিততেই হবে। মহারণে নামার আগেই হুঙ্কার দিয়ে রাখলেন এটিকে মোহনবাগানের সুপারস্টার স্ট্রাইকার রয় কৃষ্ণ। এই প্রথমবার আইএসএল ময়দানে দেখা যাবে কলকাতা ডার্বি। সেই ম্যাচের আগেই উত্তেজনায় ফুটছেন দুই দলের ফুটবলাররা।
ডার্বিতে প্রথমবার নামবেন কৃষ্ণও। তিনি সেই ম্যাচের আগেই জানিয়ে রাখলেন, "আমাদের সমর্থকরা ওই ম্যাচের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। যেকোনো মূল্যে ডার্বি আমাদের জিততেই হবে। কলকাতা ডার্বি নিয়ে অনেক শুনেছি। তবে ওই ম্যাচ দেখার যেমন সুযোগ হয়নি, তেমন খেলাও হয়নি। ওই ম্যাচের জন্যই দিন গুনছি।"
আরো পড়ুন: ডার্বিতে হারছে ইস্টবেঙ্গল, আশা নিয়ে জানিয়ে দিলেন হাবাস ভক্ত সৌরভ
শুনেছেন কলকাতা ডার্বিতে দর্শকদের কেমন উন্মাদনা থাকে। লাখো দর্শক ভিড় জমান স্টেডিয়ামে। সেই ঘটনার সাক্ষী তিনি নিজেও, "একবার আমাদের গাড়ি রাস্তাতেই ভিড়ে অবরুদ্ধ হয়ে গিয়েছিল। তখন ভাবছিলাম, বাইরেই যদি এত দর্শক, ভিতরে না জানি কতজন রয়েছে। তবে এবার পরিস্থিতি আলাদা। সবাই মাঠে আসতে পারবেন না। প্রত্যেকের কাছে অনুরোধ, আমাদের জন্য প্রার্থনা করুন। সমর্থন বজায় রাখুন।"
এটিকে মেরিনার্সরা টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচেই জয় পেয়েছে। প্রথম গোল করেছেন রয় কৃষ্ণই। জিতলেও প্রথমার্ধের খেলায় মন ভরেনি দর্শকদের। সেই ম্যাচ নিয়েও মুখ খুলেছেন তিনি, "ওই ম্যাচে একাধিক সুযোগ নষ্ট করেছি। হ্যাটট্রিক না করতে পারার জন্য আক্ষেপ হচ্ছে। এতেই স্পষ্ট, আমাদের আরো অনুশীলন করতে হবে। ভুল থেকে শিক্ষা নিতে হবে। দু সপ্তাহ অনুশীলনের পরে খেলতে নেমেছিলাম। আশা করি আরও উন্নতি করতে পারব। তবে কেরালা ম্যাচ জিতে ডার্বিতে নামার আত্মবিশ্বাস বেড়ে গেল আমাদের।"
লকডাউনে ব্যাপক সমস্যায় পড়েছিলেন তিনি। সেই অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেছেন তারকা স্ট্রাইকার, "শেষ দুমাসের অধিকাংশ সময় কোয়ারেন্টাইনে কাটাতে হয়েছে। সেই সময় ফিজি থেকে আমার স্ত্রী নাজিয়া আমাকে প্রতিদিন উৎসাহ জোগাত। কেরালা ম্যাচ দেখার জন্য আমার পরিবার রাত ২টো অবধি জেগে ছিল। তারপরে ফোনে কথা হয়।"
কোচ হাবাসও মহারণে নামতে মুখিয়ে, "আমাদের এখন কেবল ইস্টবেঙ্গলকে নিয়েই ভাবতে হবে। অনুশীলনে সবাইকে নিংড়ে দিতে হবে।" এদিকে, প্রথম ম্যাচের পরেই সুসাইরাজের চোট চিন্তা ফেলেছিল এটিকেএমবি শিবিরে। তবে দলের পক্ষে জানানো হয়েছে, তেমন গুরুতর নয় চোট। এমনকি এমআরআই করারও প্রয়োজন হয়নি।
Read the full article in ENGLISH
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন