এটিকে মোহনবাগান: ১ (জনি কাউকো)
ওড়িশা এফসি: ১ (ল্যাং)
ওড়িশা এফসি শেষ চারে উঠতে পারল না। তবে গোয়ার তিলক ময়দান স্টেডিয়ামে এটিকে মোহনবাগানেরও স্বপ্নভঙ্গ ঘটিয়ে গেল ওড়িশা এফসি। ১-১ গোলে মেরিনার্সরা বৃহস্পতিবার ড্র করার পরে নিশ্চিত হয়ে গেল কোনওভাবেই লিগ টেবিলের শীর্ষে উঠতে পারবে না তারা।
শেষ চারের লক্ষ্য নিয়ে খেলতে নেমেছিল এটিকে মোহনবাগান। জিতলেই প্ৰথম চারে থাকা কার্যত নিশ্চিত হয়ে যেত সবুজ মেরুনের। তবে পয়েন্ট হারিয়ে বেশ বিপাকে পড়ে গেল তারা। ১৭ ম্যাচে ৩১ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলে তৃতীয় স্থানে হুয়ান ফেরান্দোর দল। শীর্ষে থাকা জামশেদপুর এখন ১৮ ম্যাচে ৩৫ পয়েন্টে।
ম্যাচের ১০ মিনিটের মধ্যেই জোড়া গোল। জেরির ক্রস ধরে ওড়িশাকে এগিয়ে দিয়েছিলেন ল্যাং। তবে সেই গোলের হ্যাংওভার কাটতে না কাটতেই মোহনবাগান গোলশোধ করে দিয়েছিল জনি কাউকোর মাধ্যমে।
সাহিল পানোয়ার জনি কাউকোকে ফাউল করেছিলেন বক্সে। সেখান থেকে পেনাল্টি থেকে গোল করে দলের হয়ে সমতা ফেরান ইউরো খেলা তারকা। তিন পয়েন্টের লক্ষ্যে খেলতে নেমে এটিকে মোহনবাগান যে এক পয়েন্ট নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে পারেন, তার জন্য স্প্যানিশ কোচ ভাগ্যকে বাহবা দিতে পারেন। ২৪ মিনিটে পেনাল্টি থেকে ২-১ করার সুযোগ এসেছিল ওড়িশার কাছে। তবে পেনাল্টি মিস করে বসেন জাভি।
তিরি এবার বক্সের মধ্যে ফাউল করে বসেন আরিডাইকে। রেফারি সঙ্গেসঙ্গেই পেনাল্টির নির্দেশ দেন। বাগান ফুটবলাররা প্রতিবাদ করলেও কর্ণপাত করেননি রেফারি। যদিও মোক্ষম সেই সুযোগ হাতছাড়া করেন জাভি। অমরিন্দর সেভ করে দেন জাভির শট।
বিরতির আগেই দ্বিতীয়বার পেনাল্টি হজম করতে পারত এটিকে মোহনবাগান। কর্নারের সময় বক্সের মধ্যে এবারেও তিরি হেক্টর রোডেসকে হাত দিয়ে জড়িয়ে রেখেছিলেন। তবে তা নজর এড়িয়ে যায় রেফারির।
বিরতিতে ১-১ গোলে অমীমাংসিত ছিল ফলাফল। তবে তাঁর আগে মোহনবাগানকে সমস্যায় ফেলা জাবি চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন।
দ্বিতীয়ার্ধের তিনটে পরিবর্তন করেন বাগান কোচ। সন্দেশ, কার্ল ম্যাকহিউ, লেনি, লিস্টনকে পরপর তুলে নামিয়ে দেন যথাক্রমে আশুতোষ মেহতা, রয় কৃষ্ণ, দীপক টাংরি, কিয়ান নাসিরিকে।
তবে অনেকদিন পরে মাঠে নেমে সেভাবে নজর কাড়তে পারননি কৃষ্ণ। বাগান আক্রমণভাগে নেতৃত্ব দিলেও সেভাবে বক্সের মধ্যে ফিনিশিং করতে পারছিলেন না। দ্বিতীয়ার্ধের শেষলগ্নে কিয়ানের ক্রস থেকে মনবীর গোল করার সুযোগ হেলায় হাতছাড়া করেন। খেলার অতিরিক্ত সময়ে আবার রয় কৃষ্ণ জোড়া হলুদ কার্ড দেখে বেরিয়ে যান, একরাশ হতাশাকে সঙ্গী করে। জয়সূচক গোলটাই আর এল না।
এটিকে মোহনবাগান:
অমরিন্দর সিং, তিরি, সন্দেশ জিংঘান, জনি কাউকো, কার্ল ম্যাকহিউ, হুগো বৌমাস, মনবীর সিং, শুভাশিস বোস, লিস্টন কোলাসো, প্রীতম কোটাল, লেনি রদ্রিগেজ