এটিকে মোহনবাগান: ১ (কোলাসো)
চেন্নাইয়িন এফসি: ১ (কোমান)
তিন পয়েন্ট জুটল না। জোড়া হারের পরে চেন্নাইয়িনের বিপক্ষে এক পয়েন্ট নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হল এটিকে মোহনবাগানকে। এগিয়ে গিয়েও হল না শেষরক্ষা।
টুর্নামেন্টে এখনও পর্যন্ত অপরাজিত চেন্নাইয়িন। এটিকে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে অপরাজেয় তকমা ধরে রাখতে পারে কিনা বোজিদার ব্যান্ডোভিচের দল, সেদিকে নজর ছিল আইএসএল দুনিয়ার। সেই পরীক্ষায় সসম্মানে উত্তীর্ণ চেন্নাই।
১৮ মিনিটে লিস্টন কোলাসো গোল করে মেরিনার্সদের এগিয়ে দিলেও বিরতির আগেই গোলশোধ করে দেয় চেন্নাইয়িন। কোমান ১-১ করার পরে দ্বিতীয়ার্ধে দুই দলই আর গোল করতে পারেনি।
আরও পড়ুন: বজ্রপাত হাবাসের সংসারে! জানুয়ারিতেই হয়ত সবুজ-মেরুন ছাড়ছেন কৃষ্ণ
তিরিকে চেন্নাইয়িন ম্যাচে প্ৰথমবার নামিয়েছিলেন কোচ হাবাস। গোটা ম্যাচ আক্রমণ-প্রতিআক্রমণে জমে উঠেছিল প্রথম থেকেই। ম্যাচে আক্রমণাত্মক ফুটবলের রিংটোন সেট করে দেয় হাবাসের দল। সেই আক্রমণের তোড় থেকেই সবুজ মেরুনকে স্বস্তি দিয়ে এগিয়ে দিয়েছিলেন লিস্টন কোলাসো। চলতি টুর্নামেন্টে নিজের তৃতীয় গোল করে। রয় কৃষ্ণের সঙ্গে যুগলবন্দিতে গোল করে যান গোয়ান তারকা।
তবে গোল করলেও তা বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি বাগান। গোল হজম করার পরে মরিয়া হয়ে মোহনবাগানের বক্সে ঢেউ তুলে দেয় চেন্নাইয়িন আক্রমণ। একের পর টানা আক্রমণে আশুতোষ, প্রীতমদের নাজেহাল করে দিচ্ছিল টুর্নামেন্টের একমাত্র অপরাজিত দল।
একের পর এক কর্ণারও পায় তারা। যদিও কর্ণার নয়, ফিল্ড প্লে থেকেই গোল তুলে নেয় চেন্নাই। অনিরুদ্ধ থাপার থ্রো-ইন ধরে লুকাস পাস বাড়ান ভ্লাদিমির কোমানকে। সেখান থেকেই আসে সমতা সূচক গোল।
দ্বিরিয়ার্ধে আর গোল করতে পারেনি দুই দল-ই। জনি কাউকো এবং রয় কৃষ্ণ গোলের সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি। এদিকে, রেফারির সঙ্গে তর্কাতর্কি করে লাল কার্ড দেখেন বাগান ফিজিও।
এটিকে মোহনবাগান: অমরিন্দর সিং, প্রীতম কোটাল, কার্ল ম্যাকহিউ, আশুতোষ মেহতা, তিরি, শুভাশিস বোস, জনি কাউকো, দীপক টাংরি, লিস্টন কোলাসো, রয় কৃষ্ণ, মনবীর সিং, হুগো বৌমাস
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন