ইস্টবেঙ্গল: ১ (হাওকিপ)
বেঙ্গালুরু এফসি: ১ (সৌরভ দাস আত্মঘাতী)
কোচ মানোলো দিয়াজের বিদায় ঘটেছে। তা সত্ত্বেও নতুন বছরে জয়ে ফিরল না ইস্টবেঙ্গল। চূড়ান্ত অফ ফর্মে থাকা বেঙ্গালুরু এফসির বিরুদ্ধে ইস্টবেঙ্গল এগিয়ে গিয়েও ১-১ গোলে খেলা শেষ করল।
২৮ মিনিটেই দলকে গোল করে লিড এনে দিয়েছিলেন হাওকিপ। তবে ৫৫ মিনিটে সৌরভ দাসের আত্মঘাতী গোলে ইস্টবেঙ্গলের মরশুমের প্ৰথম জয়ের আশা পূর্ণ হল না।
ডিসেম্বরের ২৮ তারিখে ইস্টবেঙ্গল গোল্ডেন হ্যান্ডশেক সেরেছে কোচ মানোলো দিয়াজের সঙ্গে। তারপরে নতুন কোচ হিসেবে দলে প্রত্যাবর্তন করেছেন মারিও রিভেরা। তবে আইসোলেশন কাটিয়ে দলে তিনি যোগ দেওয়ার আগে লাল হলুদ ব্রিগেডকে সামলাচ্ছেন সহকারী রেনেডি সিং।
আরও পড়ুন: ISL-এ খেলার পরিকাঠামোই নেই ইস্টবেঙ্গলের! বিদায়ের দিনেই ফুঁসে উঠলেন দিয়াজ
রেনেডির অধীনে খেলতে নেমে ইস্টবেঙ্গল চারটে বদল ঘটিয়েছিল। নির্বাসনে থাকার কারণে মঙ্গলবার খেলতে পারেননি পেরোসেভিচ। চোটের কারণে আবার বাইরে রাখা হয়েছিল ফ্রানজো প্রেসি ড্যারেন সিডোয়েল, রাজু গায়কোয়াড এবং জ্যাকিচাঁদ সিংকে।
বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে শুরুটা খারাপ করেনি রেনেডির দল। লুওয়াংয়ের ফ্রিকিক থেকে দুরন্ত ক্রস ধরে নিজের মার্কারকে কাটিয়ে গোল করে দলকে এগিয়ে দিয়েছিলেন হাওকিপ।
প্রথমার্ধে একচেটিয়া আধিপত্য ছিল ইস্টবেঙ্গলেরই। বিরতির পরে বেঙ্গালুরুর ফ্রিকিক ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজেদের জালেই বল জড়িয়ে দেন সৌরভ। এর পরে দুই দল আর গোল করতে পারেনি।
ম্যাচের ৭২ মিনিট পর্যন্ত একটাও গোলমুখি শট নিতে পারেনি বেঙ্গালুরু। এতেই স্পষ্ট বেঙ্গালুরু বর্তমানে কেমন দুর্দশায় রয়েছে। এমন ম্যাচেও জয়ে ফিরল না এটাই আক্ষেপের। স্টপগ্যাপ কোচ রেনেডি দলের দুর্ভাগ্যকেই দুষছেন। বলে দিয়েছেন, "কোচ হিসেবে প্রথম ম্যাচেই চূড়ান্ত দুর্ভাগ্যের শিকার হলাম। তবে পরের ম্যাচে আরও বেশি বল নিজেদের পায়ে রাখতে হবে। তাছাড়া বিদেশিরাও ফিরে আসবে।।আশা করি, পরের ম্যাচে দল জয়ে ফিরবে।"
ইস্টবেঙ্গল: অরিন্দম ভট্টাচার্য, হীরা মন্ডল, আদিল খান, টমিস্লাভ মার্সেলা, জয়নের লরেনকো, সৌরভ দাস, হামতে, হাওকিপ, আঙ্গুসানা, নাওরেম সিং, ড্যানিয়েল চিমা
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন