ইস্টবেঙ্গল: ১ (টমিস্লাভ মার্সেলা)
কেরালা : ১ (ভাজকুয়েজ)
একই সঙ্গে নায়ক এবং খলনায়ক টমিস্লাভ মার্সেলা। কেরালার বিরুদ্ধে দলকে এগিয়ে দিয়েও আত্মঘাতী গোলে ইস্টবেঙ্গলকে বিপদে ফেললেন কিছুক্ষণ পরে। লিড নিয়েই ইস্টবেঙ্গল শেষমেশ কেরালার বিরুদ্ধে ১-১ গোলে ড্র করল।
৩৭ মিনিটে রাজু গায়কোয়াদের লং থ্রো ধরে গোল করে ইস্টবেঙ্গলকে হেডে এগিয়ে দিয়েছিলেন টমিস্লাভ মার্সেলা। তবে ইস্টবেঙ্গল সেই লিড বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি। ভাসকুয়েজের শট মার্সেলার পায়ে লেগে দিল বদল করে জালে জড়িয়ে যায়। দ্বিতীয়ার্ধে কোনও দলই এরপরে আর গোল করতে পারেনি।
ম্যাচে চোটের জন্য ইস্টবেঙ্গল কোচ এদিন খেলাতে পারেননি অরিন্দম, জ্যাকিচাঁদ সিং এবং ড্যারেন সিডোয়েলকে। সেই কারণে শঙ্কর রায় এবং হাওকিপকে রবিবার প্ৰথম একাদশে নামিয়ে দেন কোচ দিয়াজ। ম্যাচে কেরালা শুরু থেকেই আক্রমণের ঝড় তুলে দেয়। অন্যদিকে, প্রতিআক্রমণে কেরালাকে বধের প্ল্যান করেছিল লাল হলুদ শিবির।
আরও পড়ুন: বজ্রপাত হাবাসের সংসারে! জানুয়ারিতেই হয়ত সবুজ-মেরুন ছাড়ছেন কৃষ্ণ
তবে ১৫ মিনিটেই ভাসকুয়েজের গোলে লিড নিয়ে নিয়েছিল কেরালা। যদিও সহকারী রেফারির সঙ্গে কথা বলে গোল বাতিল করেন রেফারি। কেন গোল বাতিল করা হল? জানা যাচ্ছে, গোলের আগেই রেফারি বাঁশি বাজিয়ে খেলা থামানোর নির্দেশ দেন। খালারিংয়ের শট অমরজিৎয়ের হাতে লাগায় সম্ভবত রেফারি হ্যান্ডবলের নির্দেশ দিয়েছিলেন। আবার গোলের বাঁশিও বাজান। এরপরে নিজের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নেন তিনি।
বিরতির আগে ১-১ হয়ে যাওয়ার পরে দ্বিতীয়ার্ধে দুই দলই অনেক সতর্ক হয়ে খেলা চালিয়ে যায়। যার নেট ফলাফল ড্রয়ে। ম্যাচের পরে মার্সেলা জানিয়ে যান, "কঠিন লড়াই হল। ম্যাচে আমরা বেশ কিছু সুযোগ তৈরি করেছি। প্রতিপক্ষও বেশ কয়েকবার দারুণ আক্রমণ শানিয়েছে। রক্ষণভাগে আমরাও দৃঢ়তা দেখিয়েছি। আগের ম্যাচের থেকে আমাদের খেলায় উন্নতি ঘটছে। ফলাফলে পুরোপুরি সন্তুষ্ট না হলেও ম্যাচের পজিটিভ অনেক।"
ইস্টবেঙ্গল: শঙ্কর রায়, টমিস্লাভ মার্সেলা, হীরা মন্ডল, রাজু গায়কোয়াড, ফ্রানজো প্রেসি, সৌরভ দাস, লালরিনলিয়ানা হামতে, অমরজিৎ কিয়াম, আন্তোনিও পেরোসেভিচ, হাওকিপ, ড্যানিয়েল চিমা
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন