টানা আট ম্যাচে জয় নেই। এমন অবস্থায় ললাট লিখন পড়ে ফেলেছিলেন অনেকটাই। শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবার ইস্টবেঙ্গলের তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে গোল্ডেন হ্যান্ডশেক সেরে ফেলা হল কোচ হোসে ম্যানুয়েল দিয়াজের সঙ্গে।
ইস্টবেঙ্গল অনেক আগেই ছাঁটাই করতে প্রস্তুত ছিল কোচকে। তবে ছাঁটাই করলে আর্থিক ক্ষতিপূরণের সঙ্গে নতুন কোচের জন্যই আলাদা খরচ করতে হত বিনিয়োগকারী শ্রী সিমেন্ট। ইস্টবেঙ্গলে পরের মরশুমে আর লগ্নি করতে চাইছেন না শ্রী সিমেন্টের কর্তারা। এমন অবস্থায় বাড়তি খরচে নারাজ ছিল শ্রী সিমেন্ট।
আরও পড়ুন: হায়দরাবাদ ম্যাচের আগেই দুসংবাদ! লাল হলুদ তারকাকে সরাসরি শো-কজ ফেডারেশনের
সেক্ষেত্রে একমাত্র উপায় ছিল কোচের সঙ্গে আলাপ আলোচনার মধ্যে বিষয়টি মেটানো। কোচও এমনিতে দলে থাকতে চাইছিলেন না। হায়দরাবাদ ম্যাচের পরেই অনুশীলন করতে চাইছিলেন না।
শেষমেশ দুপক্ষের আলোচনায় গোল্ডেন হ্যান্ডশেক পর্বের মাধ্যমে ইস্টবেঙ্গলে সমাপ্ত হচ্ছে দিয়াজ-অধ্যায়। সেই সঙ্গে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে দিয়াজের সহকারী পাবলো গার্সিয়াকেও। ক্লাবের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, সহকারীর ভূমিকায় থাকা রেনেডি সিং আপাতত অন্তর্বর্তীকালীন দায়িত্ব সামলাবেন।
আরও পড়ুন: ISL-এ খেলার পরিকাঠামোই নেই ইস্টবেঙ্গলের! বিদায়ের দিনেই ফুঁসে উঠলেন দিয়াজ
প্রশ্ন হল, ইস্টবেঙ্গল কি বাকি মরশুমের জন্য রেনেডিকেই রেখে দেবে নাকি নতুন বিদেশি কোচ নিয়োগ করবে। এখন বিদেশি কোচ আনলে কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। তারপরে দলের সঙ্গে অনুশীলন শুরু করতে পারবেন তিনি। এই বিষয়টি ভাবাচ্ছে ম্যানেজমেন্টকে। মোহনবাগান হাবাস-পরিস্থিতি সামাল দিয়েছিল তড়িঘড়ি ভাবে আইএসএলেরই বায়ো বাবলে থাকা ফেরান্দোকে সই করিয়ে। ইস্টবেঙ্গল কি নতুন চমক দেবে, সেটাই আপাতত দেখার।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন