/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/01/IMG-20220128-WA0021_copy_1200x676_1.jpg)
রবিউল ইসলাম বিদ্যুৎ, ঢাকা
ইন্ডিয়ান সুপার লিগে ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান ডার্বির আগে ফুটছে কলকাতা। সেই আঁচটা লেগেছে বাংলাদেশেও। এটা ঠিক যে ডার্বির আকর্ষণ আগের মতন এদেশে নতুন প্রজন্মকে না টানতে পারলেও মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল ম্যাচের দিকে ফুটবলপাগলদের নজর থাকেই। ইন্ডিয়ান সুপার লিগে তৎকালীন অ্যাটলেটিকো ডি কলকাতা দলে সুযোগ পেয়েছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক মামুনুল ইসলাম। শনিবার গোয়ায় ডার্বির আগে তিনি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা-র কাছে নিজের আক্ষেপের কথা জানালেন।
মামুনুল বলছিলেন, “ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগানের হয়ে খেলাটা স্বপ্নের ব্যাপার। সেটা কলকাতার কোনো খেলোয়াড় হোক কিংবা বাংলাদেশের কোনো খেলোয়াড় হোক সবারই প্রবল ইচ্ছে থাকে এই দুটো দলের যে কোনো একটির হয়ে খেলা। আমাদের এখান থেকেও মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গলে অনেক খেলোয়াড় খেলেছেন।"
আরও পড়ুন: আবেগের ঢেউ এখনও ইস্টবেঙ্গলের দিকে, ডার্বির আগেই পদ্মাপাড়ে পিছুটানের গল্প কিংবদন্তি
"আমারও খুবই ইচ্ছে ছিল। আমি কলকাতায় প্রথম প্রেস কনফারেন্সে এ কথা বলেওছিলাম। এটা যে কোনো খেলোয়াড়ের জন্য স্বপ্নের মতো। আমাদের এখানে আবাহনী-মোহামেডান আর ওখানে ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান। আসলে সব স্বপ্নই পূরণ হয় না। কিছু স্বপ্ন অপূর্ণ রয়ে যায়। এটা আমার জন্য স্বপ্নই থেকে গেল। খেলতে পারলে আমার জন্য সবচেয়ে বড় অর্জন হতো এবং বাংলাদেশের ফুটবলের জন্য ইতিবাচক হতো।"
আরও পড়ুন: ইস্টবেঙ্গল চ্যাম্পিয়নশিপের লড়াইয়ে নেই, এটাই লজ্জার! মাদ্রিদ বসেই রক্তাক্ত বোরহা
অ্যাটলেটিকো ডি কলকাতা মোহনবাগানের সঙ্গে মিশে গিয়েছে। সেদিক থেকে মামুনুলের টান থাকতেই পারে মোহনবাগানের দিকে। অন্যদিকে, বাংলাদেশ তো ইস্টবেঙ্গলকে নিজেদের ক্লাবই মনে করে। নব্বই দশকের গোড়ার দিকে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে খেলে গিয়েছেন সেই সময়কার তারকা শেখ মোহাম্মদ আসলাম, প্রয়াত মোনেম মুন্না আর রুমিরা। তাছাড়া বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীরা ইস্টবেঙ্গলকেই সবসময় সমর্থন দিয়ে এসেছে।
মামুনুল তাহলে ডার্বিতে কাকে সমর্থন দিচ্ছেন?
এমন প্রশ্নের উত্তরে প্রাক্তন অ্যাটলেটিকো ডি কলকাতার মিডফিল্ডার চমকেই দিলেন,“ এই প্রশ্নটার উত্তর দেওয়া আমার জন্য একটু কঠিন। দুটো দলের মধ্যে একটা দলে বেছে নেওয়া মুশকিল! তবে আমি মোহনবাগানকেই সাপোর্ট করব।” কেন? অ্যাটলেটিকো ডি কলকাতায় সুযোগ পাওয়ার সুবাদেই কী মোহনবাগানকে সমর্থন দেওয়া-এমন প্রশ্নে মামুনুল দ্বিমত পোষন করে জানালেন,“ মোটেও এমনটা নয়। মোহনবাগানে বাইচুং ভাইয়ের খেলা দেখেছি। এখানে সনি নর্দে খেলেছে। তাদের খেলার কারণে মোহনবাগানকে সাপোর্ট করি।”
আরও পড়ুন: ডার্বিতে মনে হয় না ইস্টবেঙ্গল পারবে! মহাযুদ্ধের আগেই ভবিষ্যৎবাণী মানোলোর
অ্যাটলেটিকো ডি কলকাতায় সেবার তারার মেলা বসেছিল। যেখানে একমাত্র বাংলাদেশী ছিলেন মামুনুল। তাদের সঙ্গে ড্রেসিংরুম শেয়ারের স্মৃতি হাতড়ে মামুনুল বলছিলেন,“ দেখুন, যারা বিশ্বের অন্যতম সেরা প্লেয়ার, তাদের টিমমেট হওয়া, সেই কাতারে থাকা, ড্রেসিংরুম শেয়ার করা এটা কিন্তু বিশাল ব্যাপার। দলে লুইস গার্সিয়া ছিল, বোজা হার্নান্দেজসহ বড় বড় প্লেয়ার ছিল। তাদের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি। একটা প্লেয়ার যখন হাই প্রফেশনাল প্লেয়ার সঙ্গে মিশে তখন প্রফেশনাল হয়ে যায়। তাদের সঙ্গী হওয়া, ড্রেসিংরুম শেয়ার করা-সবকিছু আসলে একটা প্লেয়ারের জন্য অনুপ্রেরণাদায়ক। ভালো ফুটবল খেলার প্রেরণা যোগায়।”
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন