ইস্টবেঙ্গল: ২ (নাওরেম)
এফসি গোয়া: ১ (নোগুয়েরা)
মানোলো দিয়াজ পারেননি। মাঝপথেই ভারত ছাড়তে হয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হিসেবে রেনেডি সিংয়ের ব্রিগেড চোয়ালচাপা ফুটবল খেলে কুর্নিশ আদায় করে নিয়েছিল। তবে জয় অধরা ছিল। আর ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের চলতি মরশুমে প্ৰথমবারের মত হাসি ফুটিয়ে গেলেন মারিও রিভেরা। ইস্টবেঙ্গলের ডাগ আউটে প্ৰথমবার কোচের জোব্বা গায়ে চরিয়েই হারিয়ে দিলেন এফসি গোয়ার মত তারকা খচিত দলকে।
২-১ গোলে ইস্টবেঙ্গল মরশুমে প্ৰথমবার জয়ের স্বাদ পেল নাওরেম মহেশের জোড়া গোলে। দুটো গোলই প্রথমার্ধে। ম্যাচের বাঁশি বাজার পর থেকেই গোয়া প্রেসিং ফুটবলে ইস্টবেঙ্গল অর্ধে বারবার চাপ তৈরি করেছিল। তবে তা সামাল দিয়ে ইস্টবেঙ্গলই প্রথম গোলের খাতা খোলে।
আরও পড়ুন: পরিস্থিতির কারণে নেতৃত্ব থেকে সরলাম! টুইটে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পদত্যাগ ইস্টবেঙ্গল অধিনায়কের
এডু বেদিয়া ব্যাক পাস করতে গিয়ে নাওরেম মহেশের পায়ে বল তুলে দেন। সেখান থেকে পাহাড়ি স্ট্রাইকার গোল করে প্ৰথমে দলকে এগিয়ে দেন। গোল হজম করার পরে গোয়া আরও ঝাঁঝালো ফুটবলে ব্যতিব্যস্ত করে দেয় ইস্টবেঙ্গল রক্ষণকে। অন্যদিকে প্রতি আক্রমণ নির্ভর ফুটবলে বারবার গোয়াকে বিপাকে ফেলছিল রিভেরার দল।
এরপরে দুই দল একাধিকবার আক্রমণ করলেও গোল আসছিল না। ৩৮ মিনিটে গোয়ার হয়ে সমতা ফিরিয়ে যান আলবার্তো নোগুয়েরা। অর্তিজ দারুণ থ্রু বল বাড়িয়েছিলেন। সেই বল ধরে দুর্ধর্ষ ফিনিশ করে যান নোগুয়েরা। ২ মিনিটের মাথাতেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিল গোয়ার কাছে। কর্ণার থেকে দারুণ ভেসে আসা বলে অবশ্য সময়মত মাথা ছোঁয়াতে পারেননি আনোয়ার আলি।
বিরতির ঠিক আগে গোয়ার দুর্বল রক্ষণের সুযোগ নিয়ে লাল হলুদকে দ্বিতীয় গোল এনে দেন নাওরেম মহেশ। দ্বিতীয় গোল হজম করার পরে আরও তেড়েফুঁড়ে আক্রমণ শানায় গোয়া। তবে ফিনিশিংয়ের অভাবে আর গোল আসেনি।
আরও পড়ুন: রবিবারই বড় ঘোষণা! মহামেডানের কোচিং স্টাফকে এবার নিল ইস্টবেঙ্গল
দ্বিরিয়ার্ধেও গোয়া প্রাধান্য নিয়ে খেললেও গোল করতে পারেনি।
ইস্টবেঙ্গল: অরিন্দম ভট্টাচার্য, অঙ্কিত মুখোপাধ্যায়, ফ্রান্স প্রেসি, আদিল খান, কিয়াম, ড্যারেন সিডওয়েল, সৌরভ দাস, আঙ্গুসানা, নাওরেম মহেশ, হাওকিপ, মহম্মদ রফিক
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন