ইস্টবেঙ্গল: ৪ (সিডোয়েল, হাওকিপ, চিমা-২)
ওড়িশা এফসি: ৬ (হেক্টর রোডাস-২, জাভি হার্নান্দেজ, আরিডাই-২, রুয়েতফেলা)
ডার্বির লজ্জা পুরোপুরি কাটেনি। সেই লজ্জার আবহেই এবার হাফডজন গোল হজম করে বসল ইস্টবেঙ্গল। ওড়িশা এফসির কাছে মঙ্গলবার ৪-৬ গোলে চূর্ণ হল লাল হলুদ শিবির। একটা কিংবা দুটো নয়, মঙ্গলবার গোয়ার তিলক ময়দান স্টেডিয়াম দেখল ১০ গোলের থ্রিলার। সেই থ্রিলারেই ফের একবার লজ্জা নিয়ে মাঠ ছাড়ল ইস্টবেঙ্গল।
ওড়িশার হয়ে জোড়া গোল করে গেলেন দুই স্প্যানিশ তারকা হেক্টর রোডাস এবং আরিডাই ক্যাবেয়া। একটা করে গোল ভানলালরুয়েতফেলা এবং জাভি হার্নান্দেজের। শেষদিকে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে জোড়া গোল করে ম্যাচে রোমাঞ্চ হাজির করেছিলেন ড্যানিয়েল চিমা। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। লজ্জা নিয়েই হার নিশ্চিত হয়েছে ইস্টবেঙ্গলের।
ডার্বি হারের পরে ইস্টবেঙ্গল বস ম্যানুয়েল দিয়াজ ইংগিত দিয়েছিলেন প্ৰথম একাদশে বেশ কিছু পরিবর্তন আনবেন। ডার্বি একাদশ থেকে হাফডজন পরিবর্তন নিয়ে খেলতে নেমেছিলেন দিয়াজ।
আরও পড়ুন: মোহনবাগানে ইস্তফা সৃঞ্জয়ের, বুধবারের ম্যাচের আগেই তোলপাড় সবুজ-মেরুন শিবির
অন্যদিকে, ওড়িশা এফসি আগের ম্যাচে বেঙ্গালুরুকে চূর্ণ করে ইস্টবেঙ্গলের পরীক্ষা নিতে নেমেছিল। ওড়িশা বস কিকো রামিরেজের সঙ্গে স্প্যানিশ ডুয়েলে অবশ্য আরও একবাটলের ব্যর্থ দিয়াজ। মাঝমাঠ থেকে রক্ষণ- তালমিল তো বটেই যোজন দূরত্ব নিয়ে যেন খেলতে নেমেছেন লাল হলুদ তারকারা। প্রতি মুহূর্তেই তালমিলের অভাব চোখে আঙ্গুল দিয়ে ধরা পড়ে যাচ্ছিল।
শুরুটা ইস্টবেঙ্গল অবশ্য ভালই করে। ১৩ মিনিটেই গোল করে এগিয়ে দিয়েছিলেন ডাচম্যান ড্যারেন সিডোয়েল। রাজু গায়কোয়াডের লম্বা থ্রো ধরে বল জালে জড়িয়ে দিয়ে দলকে এগিয়ে দিয়েছিলেন। শুরুটা এত ভাল হওয়ার পরে শেষটা যে এত কলঙ্কের হবে, কে ভাবতে পেরেছিল!
আগের দিন ডার্বিতে একটা ১০ মিনিটের স্পেলে ঝরে পড়েছিল ইস্টবেঙ্গল। এদিন একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। স্রেফ ১৩ মিনিটের ওড়িশা ঝড়ে তছনছ হয়ে গেল ইস্টবেঙ্গল রক্ষণ। জাভি হার্নান্দেজ এবং হেক্টর রোডাসের যুগলবন্দি সামাল।দিতে পারল না লাল হলুদ। রোডাসকে দিয়ে জোড়া গোল করার পরে জাভি হাফটাইমের ঠিক আগে কর্ণার থেকে সরাসরি গোল করে ওড়িশাকে ৩-১ এগিয়ে দেন।
বিরতির পরে আরও তিনটি গোল হজম করে ইস্টবেঙ্গল। ৭১ মিনিটে আরিডাই সুয়ারেজ ফ্রিকিক থেকে গোল করে ৪-১ করে দেন। ৮০ থেকে ৯১ মিনিটের মধ্যে ইস্টবেঙ্গল আবার তিনগোল করে খেলা জমিয়ে দেয়। প্রথমে নাওরেম ব্যবধান কমানোর পরে জোড়া গোল করে যান চিমা। এর মধ্যে একটি আবার পেনাল্টি থেকে। তবে এর মাঝে ইসাক আরও একটি গোল করে ম্যাচের ফয়সালা করে দেন।
ইস্টবেঙ্গল: শুভম সেন, রাজু গায়কোয়াড, জয়নের লোরেঙ্ক, ফ্রানজো প্রেসি, হিরা মন্ডল, ড্যারেন সিডোয়েল, আমির দেরভিসেভিচ, মহম্মদ রফিক, বিকাশ জাইরু, নাওরেম মহেশ, পেরোসেভিচ
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন