ইস্টবেঙ্গল: ১ (আমির)
হায়দরাবাদ এফসি: ১ (ওগবেচে)
জয় নেই। আইএসএলের মাঝপথ এসেও টুর্নামেন্টে একটাও জয় নেই ইস্টবেঙ্গলের। হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার ব্যাম্বোলিনের এথলেটিক স্টেডিয়ামে ১-১ গোলে ড্র করে মাঠ ছাড়ল ইস্টবেঙ্গল। আমির প্ৰথমার্ধে দলকে এগিয়ে দিলেও বিরতির আগেই হায়দরাবাদের হয়ে সমতা ফিরিয়ে যান ওগবেচে। তারপরে দ্বিতীয়ার্ধে আর গোল করতে পারেনি দুই দল।
বিরতির আগে গোল পাওয়ার পরে দ্বিতীয়ার্ধে সেরকমভাবে আক্রমণই শানাতে পারল না লাল হলুদ। বরং ইস্টবেঙ্গলের রক্ষণকে কড়া চ্যালেঞ্জ ছুড়ে গেল মারকুয়েজের হায়দরাবাদ এফসি। তবে রক্ষণ আঁটোসাঁটো করে অনেক বেশি কোনও রকমে একপয়েন্ট নিশ্চিত করল ইস্টবেঙ্গল।
আরও পড়ুন: হায়দরাবাদ ম্যাচের আগেই দুসংবাদ! লাল হলুদ তারকাকে সরাসরি শো-কজ ফেডারেশনের
প্রথমার্ধে দুই দলই নজরকাড়া ফুটবল খেলল। ২০ মিনিটে ইস্টবেঙ্গলকে এগিয়ে দিয়েছিলেন সার্বিয়ান তারকা আমির দেরভিসিভিচ। দুরন্ত ফ্রিকিক থেকে গোল করে। ৩৬ মিনিটে বাঁ প্রান্ত থেকে অনিকেত যাদবের ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে সমতা ফিরিয়ে যান ওগবেচে।
এদিন ইস্টবেঙ্গল একাদশে কোচ মানোলো পাননি দলের অন্যতম নির্ভরযোগ্য তারকা পেরোসেভিচকে। আগের ম্যাচে লাল কার্ড দেখেছিলেন তিনি। ধারাবাহিকভাবে ভাল খেলা তারকার অনুপস্থিতিতে বাকিরা কেমন পারফর্ম করেন, সেদিকেই ছিল নজর। তবে আবারও হতাশ করলেন চিমা। ১০ মিনিটে ম্যাচের সহজতম সুযোগ নষ্ট করলেন তিনি। ৮২ মিনিটে বলবন্তও দলকে এগিয়ে দেওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করেন। ৪০ মিনিটে রফিকের জোরালো শটও পোস্টে লেগে প্রতিহত হয়।
সামান্য ভুলে গোল হজম করলেও ইস্টবেঙ্গলের রক্ষণ এদিন বেশ দায়িত্ব নিয়ে খেলল।
এদিকে, ইস্টবেঙ্গল কোচ মানোলো দিয়াজের অপর আরও চাপ বাড়ল। ক্লাবের তরফে নাকি কোচকে ইঙ্গিত দিয়ে দেওয়া হয়েছে। কোচও থাকতে চাইছেন না। হায়দরাবাদ ম্যাচের পরে মানোলো ওপর নজর ছিল সকলের। ড্র-করার পরে দিয়াজকে নিয়ে ক্লাব কোনও ঘোষণা কি করবে, সেটাই এখন দেখার।
ইস্টবেঙ্গল: অরিন্দম ভট্টাচার্য, টমিস্লাভ মার্সেলা, জয়নের লরেনকো, হীরা মন্ডল, রাজু গায়কোয়াড, মহম্মদ রফিক, সৌরভ দাস, আমির ডেরভিসেভিচ, হামতে, অমরজিৎ কিয়াম, ড্যানিয়েল চিমা
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন