প্রথমে কিংফিশার, তারপর কোয়েস-শ্রী সিমেন্ট জমানা পেরিয়ে ইস্টবেঙ্গলে আপাতত ইমামি যুগ। ইমামি জমানাতেই প্রথমবার ইস্টবেঙ্গল আইএসএল ইতিহাসে পাঁচ-পাঁচটি ম্যাচ জিতেছে। কোচ স্টিফেন কনস্টানটাইনের সঙ্গেও সম্ভবত চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে চলেছে বিনিয়োগকারী সংস্থা। কিন্তু নতুন ইনভেস্টরের সঙ্গেই কি আর দু-বছর ঘর করতে পারবে ইস্টবেঙ্গল? ইমামি ইস্টবেঙ্গল প্রথম সিজন শেষের আগেই সংশয়ের বাতাবরণ।
এমনিতে ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে ইমামির সম্পর্ক মসৃণ হাইওয়ে দিয়ে এগোচ্ছে। আপাত দৃষ্টিতে দুই তরফেই এই সম্পর্ক অটুট। তবে সমস্যা দানা বেঁধেছে অন্যত্র। চলতি মরশুমে ইমামি দল গঠনের জন্য যে পরিমাণ বাজেট বরাদ্দ করেছে, সেই বাজেট বাড়াতে চাইছে না আগামী মরশুমে। ক্লাব সূত্রে খবর এমনটাই। ইস্টবেঙ্গল ক্লাব কর্তাদের একাংশের ধারণা, বাজেট না বাড়ালে এটিকে মোহনবাগান, মুম্বই সিটির মত হেভিওয়েট দলগুলোর সঙ্গে পাল্লা নেওয়া মুশকিল। এটিকে মোহনবাগান বা মুম্বইয়ের বাজেটের থেকে অনেকটাই কম লাল-হলুদ শিবিরের বাজেট। চলতি সিজনে পাঁচটি ম্যাচ জিতলেও ইস্টবেঙ্গল শেষ দিক থেকে তিন নম্বরে।
আরও পড়ুন: হারের পর হার, সমর্থকদের চক্ষুশূল! এবার কনস্টানটাইনের ভাগ্য চূড়ান্ত করে ফেলল ইমামি ইস্টবেঙ্গল
কর্তাদের ব্যাখ্যা, বাজেট বাড়িয়ে ভালো ফুটবলার রিক্রুট করে পরের মরশুমে চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য লড়াই করা যেতে পারে। সেই জন্য এখন থেকেই সেই প্রক্রিয়া চালু করা উচিত। তবে বিনিয়োগকারী সংস্থা নাকি ক্লাবকে জানিয়ে দিয়েছে, বাজেট একই থাকবে। যদিও ইনভেস্টর ইমামির অন্যতম শীর্ষ কর্তা আদিত্য আগারওয়াল ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা-কে জানিয়েছেন, তিনি অন্তত এই বিষয়ে অবগত নন!
এতেই সমস্যা বাড়ছে। এমনিতে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের একাংশ দলের হতশ্রী পারফরম্যান্সে মাঠে যাওয়াই বন্ধ করে দিয়েছেন। সমর্থকদের কথা ভেবেই ইস্টবেঙ্গল কর্তারা চাইছেন বাজেট বাড়িয়ে ভালো টিম গঠন করে পরের মরশুমে নামা। সমর্থকদের আস্থা হারিয়েছেন কোচ স্টিফেন কনস্টানটাইনও।
জানুয়ারির শেষদিকে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের গো-ব্যাক ধ্বনির মুখে পড়েন লাল-হলুদ কোচ। মাঠেই সমর্থকদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় ব্রিটিশ কোচকে। উইংপ্লে নেই, ব্যাক পাস নির্ভর স্ট্রাটেজিতে সমর্থকরা কনস্টানটাইনের কোচিং স্টাইলে বিরক্ত।
সমর্থকদের অনাস্থা সত্ত্বেও কনস্টানটাইনের সঙ্গেই হয়ত চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে চলেছে ইনভেস্টর ইমামি। তবে ইমামির ফুটবল দল গঠনে বাজেট না বাড়ালে কি সম্পর্ক গড়াবে আরও দু-বছর। সন্দিহান ফুটবল মহল।