অনুরোধ, কাকুতি-মিনতি অনেক হয়েছে। গ্যালারিতেও প্রতিবাদ আছড়ে পড়ছে নিয়মিত। তবে শেষমেশ আইএসএল-এ এটিকে মোহনবাগান সমর্থকদের বিক্ষোভ আছড়ে পড়ল এবার রাজপথে। ক্লাব সচিব দেবাশিস দত্ত'ও যে নিশানা থেকে ছাড় পেলেন না। তাঁর বাড়ির সামনেই উঠল 'গো ব্যাক' শব্দ, উড়ল 'এটিকে ছাড়ুন, মোহনবাগান বাঁচুন', 'রিমুভ এটিকে' লেখা ফেস্টুন।
ইউনাইটেড মেরিনার্স ফোরাম নামক ছাতার তলায় বিভিন্ন সমর্থক গ্রুপ একত্রিত হয়েছিল। আগাম জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, রবিবার দুপুরেই সমর্থকরা বিক্ষোভ দেখাবেন ক্লাব গেটের বাইরে। তবে সেই বিক্ষোভের ঢেউ যে দেবাশিস দত্তের প্রাসাদোপম বাড়ির সামনেও পৌঁছে যাবে, তা আঁচ করতে পারেনি ময়দানি মহল।
পুজো থেকেই বিক্ষোভের সলতে পাকানো চলছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় নতুন হ্যাশট্যাগ 'গোয়েঙ্কা আউট' ট্রেন্ডিং হয়ে গিয়েছিল বাগান সমর্থকদের গর্জনে। দিন পেরিয়েছে। মাস গড়িয়েছে। বছর এগিয়ে গিয়েছে। তবে সমর্থকদের দাবি আর পূরণ হয়নি। মোহনবাগানের নামের পাশ থেকে মুছে যায়নি ‘এটিকে’ শব্দবন্ধনী। তাই এবার সোশ্যাল মিডিয়ার জগৎ থেকে বাস্তবের মাটিতে আছড়ে পড়ল সবুজ মেরুন সমর্থকদের প্রতিবাদ।
আইএসএল-এ খেলতে নামার আগেই পুজোয় হয়ত মুছে যাবে ‘এটিকে’, এমনই প্রত্যাশা ছিল সবুজ মেরুন সমর্থকদের। ক্লাব কর্তারা বিভিন্ন সময়ে জানিয়েছেন, সঞ্জীব গোয়েঙ্কার সঙ্গে তাঁরা আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে আইএসএল-এর সূচি ঘোষণার সময়েই কার্যত স্পষ্ট হয়ে যায়, এই মরশুমেও মোহনবাগানের নামের সঙ্গে লেজুর হিসাবে জুড়ে থাকবে ‘এটিকে’ শব্দ।
ক্লাব কর্তারা একাধিকবার আলোচনা চালানোর প্রতিশ্রুতি দিলেও বাস্তবে তার প্রতিফলন ঘটেনি। ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্ণধার সঞ্জীব গোয়েঙ্কাও এই বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন।
এমন অবস্থায় চেন্নাইয়িন ম্যাচের ২৪ ঘন্টা আগেই উত্তাল হল সবুজ মেরুন শিবির। সমর্থকদের বিক্ষোভের ঢেউ সামলে সোমবার এটিকে মোহনবাগান কীভাবে পারফর্ম করে, সেটাই আপাতত দেখার।