বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরেই সম্মুগম ভেঙ্কটেশকে নিয়ে জল্পনা ছড়িয়েছিল ময়দানি।ফুটবল মহলে। কয়েকদিন আগে জাতীয় দলের সহকারী কোচের পদ থেকে সম্মুগম ভেঙ্কটেশের সরে আসার পর জল্পনা আরও তীব্র হয়। মহেশ গাওলি বর্তমানে জাতীয় দলের সহকারী কোচের ভূমিকায় যোগ দিয়েছেন ভেঙ্কটেশের জায়গায়।
তবে বুধবার সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে ইস্টবেঙ্গলের তরফে ঘোষণা করা হল, সম্মুগম ভেঙ্কটেশ ইস্টবেঙ্গলের সহকারী কোচের দায়িত্ব সামলাবেন। বিনো জর্জ রিজার্ভ টিমের কোচ হয়েছিলেন। তাঁর কোচিংয়ে এবার কলকাতা লিগে নেমেছিল ইস্টবেঙ্গলের রিজার্ভ দল। তিনি যথারীতি রিজার্ভ দলের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও আইএসএল-এ স্টিফেন কনস্টানটাইনের সহকারী হচ্ছেন ভেঙ্কটেশ।
আরও পড়ুন: জুনিয়রদের দিয়ে ব্যাগ বওয়ান! ডার্বি হারের পর গুরবিন্দরের ভয়ঙ্কর অভিযোগে ছিন্নভিন্ন স্টিফেন
ইস্টবেঙ্গলে অবশ্য এই প্ৰথমবার পা রাখলেন না তিনি। এর আগে ২০০২/০৩ মরশুমে ইস্টবেঙ্গলের জার্সিতে ১৭ ম্যাচ খেলছিলেন। সেই বছরেই ইস্টবেঙ্গল জাতীয় লিগ জিতেছিল। দলকে ডুরান্ড কাপে চ্যাম্পিয়ন করতেও সাহায্য করেছিলেন। এবার পুরোনো ক্লাবে পদার্পন ঘটছে তাঁর অন্য ভূমিকায়। দীর্ঘ ১৮ বছরের পেশাদারি কেরিয়ারে ইস্টবেঙ্গল ছাড়াও খেলেছেন মোহনবাগান, ইন্ডিয়ান টেলিফোন ইন্ডাস্ট্রিজ, সালগাঁওকর, মাহিন্দ্রা ইউনাইটেড, পুণে এফসির হয়ে।
ক্লাব ফুটবলের পাশাপাশি জাতীয় দলের নিয়মিত সদস্য ছিলেন সম্মুগম ভেঙ্কটেশ। ১৯৯৭ থেকে ২০০৬ টানা খেলেছেন টিম ইন্ডিয়ার হয়ে। তিনবার জাতীয় দলের হয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার নজিরও রয়েছে তাঁর।
খেলা ছেড়ে দেওয়ার পর পুরোপুরি কোচিংয়ে মন দিয়েছিলেন। ২০১৫-২০১৯ পর্যন্ত জাতীয় দলের কোচ থাকাকালীন স্টিফেন কনস্টানটাইনের সহকারী হয়েছেন। এছাড়াও অনুর্দ্ধ-১৯, ২০ জাতীয় দলেরও হেড কোচের ভূমিকায় দেখা গিয়েছে তাঁকে। সদ্য সমাপ্ত এএফসি অনুর্দ্ধ-২০ এশিয়ান কাপ কোয়ালিফায়ারেও টিম ইন্ডিয়ার কোচ ছিলেন তিনি।
নিজের পুরোনো সহকারীর সঙ্গে ফের একবার পার্টনারশিপ গড়ার আগে ইস্টবেঙ্গলের বর্তমান হেড কোচ স্টিফেন কনস্টানটাইন প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়ে দিয়েছেন, "দলের পক্ষে দারুণ সংযোজন হতে চলেছেন ভেঙ্কি। চার বছর উনি জাতীয় দলে আমার সহকারীর ভূমিকা পালন করেছিলেন। উনি আমার কোচিংয়েও খেলেছেন। ইস্টবেঙ্গলের নতুন প্রতিভা বাছাইয়ের ক্ষেত্রে উনি আমাকে সাহায্য করবেন। ওঁর সঙ্গে কাজ করার জন্য মুখিয়ে রয়েছি।"