প্ৰথম ম্যাচেই লুনা-ইভান ঝড়ে দ্বিতীয়ার্ধে উড়ে গিয়েছে স্টিফেন কনস্টানটাইনের ইস্টবেঙ্গল। আইএসএল-এর শুরুটা হয়েছে হার দিয়ে। চার দিনের ব্যবধানে এবার ইস্টবেঙ্গল ঘরের মাঠে খেলবে এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে। প্ৰথম ম্যাচে খেলতে নেমেই একাধিক ভুল স্বীকার করে নিয়েছিলেন কোচ কনস্টানটাইন। দ্বিতীয় ম্যাচে কিছু ভুল শোধরাতে হবে লাল-হলুদ কোচকে।
ফিটনেস: একমাসের ওপর স্কোয়াড নিয়ে অনুশীলন করেছে ইস্টবেঙ্গল। প্ৰস্তুতি ম্যাচ খেলার পাশাপাশি ডুরান্ডের মত টুর্নামেন্টে খেলে নিজেদের শক্তি-দুর্বলতা যাচাই করে নিয়েছেন কনস্টানটাইন। তবে ঘটনা হল ফিটনেসে সর্বোচ্চ পর্যায়ে এখনও ঘাটতি রয়ে গিয়েছে। কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে প্রথমার্ধে বেশ লড়াই দিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। তবে দ্বিতীয়ার্ধেই ইস্টবেঙ্গলের শ্লথতার সুযোগে তিনটে গোল করে গিয়েছিলেন ইভান কলিউজনি, আদ্রিয়ান লুনারা।
আরও পড়ুন: দেবাশিস দত্তের বাড়ি ঘেরাও কেন! মোহনবাগান সমর্থকদের তুলোধোনা করলেন কুনাল ঘোষ
সঠিক টিম কম্বিনেশন: প্ৰথম ম্যাচেই কোচ স্টিফেন কনস্টানটাইনের দল বাছাইয়ে একাধিক গলদ চোখে পড়েছে। সুমিত পাসসি, কিরিয়াকু, অঙ্কিত মুখোপাধ্যায়রা প্ৰথম একাদশে। অথচ, একাদশে নেই মোবাসির রহমান, জেরি, মহম্মদ রাকিপরা। ফুটবল মহলের ব্যাখ্যা, সঠিক দল না বাছাতেই মুখ থুবড়ে পড়েছে ইস্টবেঙ্গল।
সুমিত পাসসিকে মরশুম শুরুর আগেই স্কোয়াডের ক্যাপ্টেন করা হয়েছিল। ডার্বির আত্মঘাতী গোলের খলনায়ক সুমিতকেই চেন্নাইয়িন ম্যাচে টানা নব্বই মিনিট মাঠে রেখে গেলেন কোচ। অন্যদিকে, বিরতির পর তুহিন, কিরিয়াকুকে তুলে নেওয়ার পর বাঁ প্রান্ত অনেকটা ওপেন হয়ে যায়। সেই স্পেসের সদ্ব্যবহার করেই জোড়া গোল করে যান ইউক্রেনের ইভান।
মাঝমাঠে যোগাযোগের অভাব: মাঝমাঠে ইস্টবেঙ্গলের যোগাযোগহীনতা প্ৰথম ম্যাচেই প্রকট হয়ে গিয়েছে। আইএসএল-এ অভিজ্ঞ সৌভিক চক্রবর্তী যথাসাধ্য চেষ্টা করলেও অমরজিৎ সিং কিয়ামকে অনেকটাই আনফিট মনে হয়েছে। একাধিকবার বল দখলে যেমন পজেশন রাখতে পারেননি তেমনই সৌভিকের সঙ্গেও সেরকমভাবে যে যোগাযোগ গড়ে ওঠেনি, তা প্ৰথম ম্যাচেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: লিস্টনরা কি কোচের প্ল্যান ফলো করছেন না! বিষ্ফোরক গুঞ্জনে এবার মুখ খুললেন ফেরান্দো
কিরিয়াকুর পজিশন: সাইপ্রাস থেকে আসা কিরিয়াকু মূলত স্টপার অথবা রাইট ব্যাক পজিশনে খেলে এসেছেন। তাঁকেই কিনা প্ৰথম ম্যাচে জেরির বদলে লেফট ব্যাক পজিশনে নামিয়ে দিলেন কোচ। অনভ্যস্ত পজিশনে মোটেই স্বচ্ছন্দ ছিলেন না তিনি। একাধিকবার প্রতিপক্ষ উইঙ্গারদের সঙ্গে বল দখলের লড়াইয়ে হেরেছেন।
সেই সঙ্গে দুজন বিদেশি ডিফেন্ডার খেলিয়ে দেওয়ায় আপফ্রন্টে বিদেশি বাছাইয়ে সমস্যায় পড়েছিলেন কোচ। মাঝমাঠে আলেক্স লিমা এবং স্ট্রাইকার হিসাবে ক্লেইটন সিলভার পজিশন প্রায় পাকা। তবে কিরিয়াকু খেলায় জর্ডন ও'দোহার্তির মত গতিময় মিডফিল্ডারকে খেলানোর সুযোগ পাননি কোচ। অজি তারকা আক্রমণাত্মক মিডফিল্ডে বল দখলে সিদ্ধহস্ত। তাঁর এক-একটা পাস গোলের রাস্তা খুলে দিতে পারে ক্লেইটনদের কাছে। তবে সেই সুযোগ হয়নি কেরালা ম্যাচে। একদম শেষদিকে তাঁকে পরিবর্ত হিসাবে ম্যাচে নামালেও ম্যাচে প্রভাব ফেলার মত সুযোগ পাননি অজি মিডফিল্ডার।