ইস্টবেঙ্গল: ১ (ক্লেইটন সিলভা)
বেঙ্গালুরু এফসি: ০
দুর্ধর্ষ ক্লেইটন সিলভা। দুরন্ত ইস্টবেঙ্গল। ডার্বি হারের ঘোর কাটিয়ে বেঙ্গালুরু ম্যাচেই জয়ে ফিরল ইস্টবেঙ্গল। তাও আবার এওয়ে ম্যাচে বেঙ্গালুরুর মাঠে। আর ক্রান্তিবীরা থেকে ৩ পয়েন্ট নিতে ইস্টবেঙ্গলকে সাহায্য করলেন গত মরশুমে নীল জার্সিতে খেলে আসা ক্লেইটন সিলভা।
ইস্টবেঙ্গল আক্রমণে সুহের, ক্লেইটন এবং হাওকিপকে রেখে ম্যাচ শুরু করেছিল। বেঙ্গালুরু তারকা খচিত আক্রমণ সাজিয়েছিল রয় কৃষ্ণ, সুনীল ছেত্রী, জাভি হার্নান্দেজকে দিয়ে। সেই সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছিল উদান্ত সিংকেও। তবে এমন তারকাদের ঝলকানিতেও টলল না লাল-হলুদ আক্রমণ। প্রথমার্ধেই ক্লেইটন গোল করে এগিয়ে দিতে পারতেন কনস্টানটাইনের দলকে। গোলকিপারকে একা পেয়ে গিয়েছিলেন সিলভা। তবে শেষ মুহূর্তে দুরন্ত ট্যাকেলে বল ছিনিয়ে নেন সন্দেশ ঝিংগান। বিরতির আগে সেভাবে দুই দলই আর গোলের সুযোগ পায়নি।
দ্বিতীয়ার্ধে জর্ডন ও'দোহার্তি চোট পেয়ে মাঠ ছাড়ার পরে মাঝমাঠে নামানো হয় আলেক্স লিমাকে। বিরতির পর ইস্টবেঙ্গলের জালে বল জড়ানোর মোক্ষম সুযোগ পেয়েছিলেন রয় কৃষ্ণ। জাভি হার্নান্দেজের সঙ্গে ওয়ান টু ওয়ান খেলে ইস্টবেঙ্গলের গোলমুখ ওপেন করে ফেলেছিলেন। স্রেফ ফাঁকা গোলেও বল রাখতে পারেননি তারকা।
কৃষ্ণ সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে না পারলেও ইস্টবেঙ্গল গোলের মুখ খুলতে বেশি দেরি করেনি। নাওরেম মহেশের স্কোয়ার পাস ধরে গোল করে যান ক্লেইটন। গোল হজম করার পরেই বেঙ্গালুরু বস সাইমন গ্রেসন জোড়া বদল ঘটান। সুরেশ এবং রওশন সিংকে তুলে নামিয়ে দেন লিওন অগাস্টিন এবং দানিশ ভাটকে।
এরপরে ক্রমাগত আক্রমণে চাপ বজায় রেখেছিল সুনীল ছেত্রীর দল। তবে ইস্টবেঙ্গলের নাছোড় রক্ষণ টলাতে পারেনি বেঙ্গালুরু। এই নিয়ে টানা তিনটে হার হজম করল বেঙ্গালুরু এফসি।