ইস্টবেঙ্গলে ষষ্ঠ বিদেশি হিসাবে যোগ দিয়েছেন জর্ডন ও'দোহার্তি। লাল-হলুদের বাকি পাঁচ বিদেশি ভারতে এসে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ম্যাচে নামলেও এখনও মাঠে দেখা যায়নি অজি মিডফিল্ডারকে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় তারকার ফিটনেস নিয়ে গুঞ্জন চলছিলই। এমন আবহেই সম্পূর্ণ অন্য অবতারে ধরা দিলেন জর্ডন ও'দোহার্তি। অষ্টমীর দিন পুজো পরিক্রমায় বেরোলেন তারকা।
পুজোয় গোটা শহর কতটা ঝলমলিয়ে ওঠে তা চাক্ষুস করলেন। ইস্টবেঙ্গল মিডিয়া টিমকে বলে দিলেন, "প্ৰথমবার কলকাতায় এসেছি। পুজো পরিক্রমায় বেরিয়েছিলাম। শহরের উৎসবমুখর পরিবেশ দেখে আমি আনন্দিত।"
জর্ডন ও'দোহার্তি প্ৰথমেই শহরের এক নামি পুজোয় যান। সমস্ত দর্শনার্থীদের সঙ্গে লাইন দিয়ে যেমন ঠাকুর দেখলেন, তেমনই সেলফি-পিয়াসী সমর্থকদের সঙ্গে ছবিও তুললেন। দেখলেন, পুজো প্যান্ডেলে বাঙালির পাগলামি কতটা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছয়।
আরও পড়ুন: সরে যান গোয়েঙ্কা! পুজোর মধ্যেই ‘নতুন অস্ত্রে’ বিদ্রোহ শুরু মোহনবাগানে
কলকাতায় আসার বহু আগেই শুনেছিলেন বিরিয়ানি-মাহাত্ম্য। পুজোর দিনে সমস্ত ডায়েট-ফায়েট ভুলে সেই বিরিয়ানিরও স্বাদ নিলেন। ওউধ-এ গিয়ে মাটন বিরিয়ানি খেলেন একদম দেশি স্টাইলে। কোনও চামচ ছাড়াই। হাত দিয়ে মুখে পুরলেন বিরিয়ানি-মাংস। গোটা অভিজ্ঞতায় আপ্লুত জর্ডন পরে বললেন, "কলকাতায় বিরিয়ানি খাওয়ার বহুদিনের শখ ছিল। দারুণ এনজয় করলাম। চামচ ব্যবহার না করে বিরিয়ানি খাওয়ার মজাই আলাদা।" ডেজার্ট হিসাবে মিষ্টি দই খাওয়ার সময় অবশ্য চামচ ব্যবহার করতে হল।
ওউধ পর্ব শেষ করে দোহার্তি দেখলেন ভিক্টোরিয়ায় স্থাপত্য, ইতিহাস। ভিড়ে ঠাসা ভিক্টোরিয়া অবশ্য মনে রয়ে গেল দোহার্তির। তিনি স্বীকার করে নিলেন, "অন্য শহরের তুলনায় কলকাতার স্থাপত্য একটু আলাদা। দারুন লাগল ভিক্টোরিয়া ভ্রমণ করে। সমস্ত সমর্থকদের শুভ শারদীয়া জানাতে চাই। আজকের দিনটা আমার বেশ কাটল।"
সবমিলিয়ে জর্ডন ও'দোহার্তির ডে-আউট বেশ সারপ্রাইজ নিয়ে হাজির হয়েছিল তাঁর কাছে। তিনি মাঠে সমর্থকদের কাছে সারপ্রাইজ-প্যাকেজ হিসাবে আবির্ভূত হতে পারেন কিনা, সময়ই বলবে।