ইস্টবেঙ্গল: ২ (সুহের, সার্থক)
এফসি গোয়া: ৪ (ইকের-হ্যাটট্রিক-৩, ব্রেন্ডন)
বৃহস্পতিবারের আগে পর্যন্ত মিটিমিটি জ্বলছিল প্লে অফের স্বপ্ন। শেষ চারে ফিনিশ করার সম্ভাবনা কার্যত আগেই শেষ হয়ে গিয়েছিল। এফসি গোয়া ম্যাচ ইস্টবেঙ্গলের 'সম্ভবনা' থেকে 'কার্যত' শব্দও তুলে দিল মান্ডবীর তীরে। ফতোরদা স্টেডিয়ামে এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে ২-৪ গোলে বিধ্বস্ত হল ইস্টবেঙ্গল। মাত্র ১২ মিনিটে হ্যাটট্রিক করে গেলেন গোয়ার স্প্যানিশ তারকা ইকের গুয়ারেতসোনা। আর সেই সঙ্গেই ইস্টবেঙ্গলের প্লে অফের যাবতীয় সম্ভবনায় ফুলস্টপ পড়ে গেল।
যুবভারতীতে আগের ম্যাচে হার হজম করে এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে এওয়ে ম্যাচে খেলতে নেমেছিল লাল-হলুদ শিবির। তবে কার্লোস পেনার দলের কাছে প্ৰথম থেকেই আত্মসমর্পণ করে বসে ইস্টবেঙ্গল। ১১ থেকে ২৩- মাত্র বারো মিনিটের মধ্যেই আইএসএল-এর ইতিহাসে তৃতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরি করে ফেলেছিলেন গোয়ার স্প্যানিশ তারকা ইকের গুয়ারেতসোনা। মাত্র ১১ মিনিটে গোল বন্যার সূচনা করেন ইকের। এটাকিং থার্ডে ঝড় তোলা গোয়ার হয়ে ইকের আরও দুটো গোল এনে দেওয়ার পর স্কোরলাইন প্রথমার্ধের মাঝামাঝি সময়েই ৩-০ হয়ে গিয়েছিল।
বিরতি পর্যন্ত কোনওরকমে গোয়াকে আটকে রাখলেও ইস্টবেঙ্গল দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই গোল হজম করে বসে ব্রেন্ডন ফার্নান্দেজের দুর্ধর্ষ ফ্রিকিক থেকে।
০-৪ গোলে পিছিয়ে পড়ার পর দারুণ কামব্যাক করার ইঙ্গিত দেয় ইস্টবেঙ্গল। অধিনায়ক সুহের এবং সার্থক গোলুই মাত্র ৭ মিনিটের ব্যবধানে জোড়া গোল করে ম্যাচে ফিরিয়ে এনেছিলেন ইস্টবেঙ্গলকে। তবে শেষ পর্যন্ত এই ব্যবধানেই হার হজম করতে হয় ইস্টবেঙ্গলকে।
হাইপ্রেসিং ফুটবলে ম্যাচ শুরু করেছিল ইস্টবেঙ্গল। তবে ইস্টবেঙ্গলের রক্ষণের দুর্বলতার সুযোগ নিতে দেরি করেননি গোয়ার ফুটবলাররা। ইকেরের প্ৰথম গোলের পরেই ভুল বুঝতে পারেনি লাল-হলুদ বাহিনী। ইকেরের দোসর হিসাবে আবির্ভূত হন মরোক্কান তারকা নোয়া সাদাউই। বাঁ প্রান্তিক আক্রমণে নাভিশ্বাস তুলে দিচ্ছিলেন কনস্টানটাইন ব্রিগেডের। ২১ মিনিটে সাদাউই দ্বিতীয় গোল করান ইকেরকে দিয়ে। তারপরে তৃতীয় গোল-ও আসে দু-মিনিট পর।
প্রথমার্ধে শোচনীয় খেলার পর দ্বিতীয়ার্ধে কামব্যাক করলেও লাভ হয়নি। সবমিলিয়ে এই নিয়ে টানা চার ম্যাচে হার হজম করল ইস্টবেঙ্গল। ১২ পয়েন্ট নিয়ে নয় নম্বরে রয়েছে ইস্টবেঙ্গল।