কখনও গলায় অজুহাতের সুর। কখনও নিজের দলের ফুটবলারদেরই অন্য দলের 'বাতিল' বলে দাগিয়ে দেওয়া। স্টিফেন কনস্টানটাইনকে নিয়ে সমর্থকদের বিরক্তি আগে থেকেই ছিল। জোড়া ডার্বি হার সেই ক্ষোভের আগুনে আরও ঘি ঢেলে দিয়েছে। ডুরান্ড ডার্বিতে হতশ্রী পারফরম্যান্সের পর এবার আইএসএল-এর প্ৰথম ডার্বিতেই সবুজ মেরুন ব্রিগেডের কাছে কার্যত ধুয়ে গিয়েছেন লাল-হলুদের ফুটবলাররা। কোচের দল গঠন থেকে ট্যাকটিক্স নিয়ে ময়দানি ফুটবলে ক্রমাগত প্ৰশ্ন উঠেছে।
ডার্বিতে টানা সাত নম্বর হারের পর এবার চুপ থাকতে পারলেন না ইস্টবেঙ্গলের একসময়ের ঘরের ছেলে গুরবিন্দর সিং। লাল-হলুদ রক্ষণকে যিনি একদশকের বেশি সময় ভরসা দিয়েছেন। তিনি সপাটে একহাত নিলেন বর্তমান ইস্টবেঙ্গল কোচ স্টিফেন কনস্টানটাইনকে। বিষ্ফোরক ফেসবুক পোস্টে গুরবিন্দর লিখে দিলেন, ইস্টবেঙ্গলের কোচ হওয়ার যোগ্যই নন কনস্টানটাইন।
আরও পড়ুন: ডার্বিতে নামছে ‘মস্তান’ ইস্টবেঙ্গল! বাগান-মহারণের আগেই উত্তাপ বাড়ালেন দেবব্রত সরকার
বর্তমানে ফুটবলের সঙ্গে সংস্রব ঘুচিয়ে কানাডার আলবার্তায় থাকেন গুরবিন্দর। সেখান থেকেই এবার বেনজিরভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখে দিলেন, "প্ৰথমত ইস্টবেঙ্গল ক্লাবকে আমি বড্ড ভালোবাসি। গর্বের সঙ্গে বলি, এটা আমার মাতৃস্থানীয় ক্লাব। তবে এই ভদ্রলোক মোটেই ইস্টবেঙ্গলের কোচ হওয়ার যোগ্য নন।"
আরও পড়ুন: সৌরভের সামনে ‘দাদাগিরি’ বাগানের! হুগো, মনবীরদের গোলায় কেঁপে গেল স্টিফেনের ইস্টবেঙ্গল
কেন কনস্টানটাইনের প্রতি বিরূপ তিনি, তা অতীতের অভিজ্ঞতা টেনে জানিয়ে দিয়েছেন একসময়ের ময়দান কাঁপানো ডিফেন্ডার। কনস্টানটাইনের কোচিংয়ে ক্লাব স্তরে না খেললেও জাতীয় দলে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে গুরবিন্দরের। ইস্টবেঙ্গলের হয়ে তুখোড় পারফরম্যান্সের সুবাদে গুরবিন্দর জাতীয় দলে অভিষেক ঘটান ২০১৩। অন্যদিকে, ভারতের জাতীয় দলের কোচ হিসেবে ২০১৫-য় দ্বিতীয়বার প্রত্যাবর্তন করেন কনস্টানটাইন।
আরও পড়ুন: ডার্বি হারের ইতিহাস বদলাতে মাঠে নামবে ইস্টবেঙ্গল, সরাসরি বাগানকে হুঙ্কার স্টিফেনের
জাতীয় দলের শুরুর দিকে, কনস্টানটাইনের রোষে পড়ে যান গুরবিন্দর। সেই তিক্ত স্মৃতি শেয়ার করে ইস্টবেঙ্গলের গুরি পাজি লিখেছেন, "প্ৰথমবার নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে চলেছি। যখন আমি ওঁর কোচিংয়ে জাতীয় দলের ক্যাম্পে ছিলাম। দিল্লি বিমানবন্দরে ক্যাম্পে যাওয়ার পথে উনি সিনিয়র প্লেয়ারদের ব্যাগ পত্তর আমাকে দিয়ে বইয়েছিলেন। কারণ জাতীয় দলে প্ৰথমবার খেলতে গিয়েছিলাম।"
এখানেই না থেমে জুনিয়র ফুটবলারদের সঙ্গে কীভাবে ভয়ঙ্কর ব্যবহার করতেন সেই কথাও শেয়ার করেছেন ইস্টবেঙ্গলের জার্সিতে টানা আটবার কলকাতা লিগ জেতা সুপারস্টার। "২০১৪-১৫ সালে আমরা গুয়ামের বিরুদ্ধে খেলতে যাচ্ছিলাম। বিমানবন্দরে ওঁর নিয়ম ফলো না করায় আমাকে উনি প্ৰথম এগারোয় রাখেননি। তথাকথিত কোচের এটাই আসল চেহারা। যাঁর এত নিচু মানসিকতা, তিনি কীভাবে আমাদের ডার্বিতে জয় উপহার দেবেন, কতজন আমার বাঙালি ভাইয়েরা এমনটা মনে করেন?"