টানা নয় ম্যাচ অপরাজিত এটিকে মোহনবাগান। লিগ টেবিলের শীর্ষে থাকা ক্লাবকে হারিয়ে শেষ চারে ঢুকে পড়েছে জুয়ান ফেরান্দোর দল। দলে চোট আঘাতের সমস্যা রয়েছে। তাই বুধবার অনুশীলনে কিছুটা ছাড় দিয়ে ফুটবলারদের শুধু বিকেলে রিকভারি সেশনে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন সবুজ মেরুন কোচ। সেই মতই রিকভারি সেশনে যোগ দেন প্রীতম কোটালরা।
মঙ্গলবার উত্তেজক লড়াইয়ে জয়ের রাস্তা তৈরি করে দিয়ে ম্যাচের সেরা লিস্টন কোলাসো এবং অন্য গোলদাতা মনবীর সিং কথা বলেন এটিকে এমবি মিডিয়া টিমের সঙ্গে-
লিস্টন কোলাসো:
“এই ম্যাচটা জেতার জন্য আমরা মরিয়া ছিলাম। কারণ হায়দরাবাদকে হারাতে না পারলে শেষ চারে ঢুকতে পারতাম না। কলকাতা ডার্বির মতই গুরুত্বপূর্ণ ছিল এই ম্যাচ। এই ম্যাচ জেতায় আমাদের আত্মবিশ্বাস আরও বেড়ে যাবে। লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ফোকাসটাও ঠিক থাকবে। তাই কঠিন ম্যাচ জিততে পেরে ভাল লাগছে।"
আরও পড়ুন: অমিত কুমারের সঙ্গে লতার ডুয়েট ইস্টবেঙ্গল মাঠে! এখনও অমলিন লাল-হলুদ সেই স্মৃতি
“সবুজ মেরুন জার্সিতে ছয় নম্বরে গোল করতে পেরেছি বলে বাড়তি আনন্দ বা হ্যাটট্রিক না করতে পারার জন্য আমার কোনও আফশোস নেই। জয়টা আমাকে বেশি আনন্দ দিয়েছে। যে সুযোগগুলো পেয়েছিলাম তাতে হ্যাটট্রিক করা উচিত ছিল আমার। সেই বিষয়ে সন্দেহ নেই। কঠিন জায়গা থেকে গোল পাচ্ছি অথচ সহজ গুলো কেন নষ্ট হচ্ছে তা নিয়ে বারবার ভাবছি। কোচের পরামর্শও নিচ্ছি। অনুশীলনে সেদিকে নজর দিচ্ছি। নিজের ভুল তো নিজেকেই শোধরাতে হবে।"
"তবে গোল মিস করলেও আমাদের পক্ষে যেটা ভালো দিক আমরা কিন্তু সব দলের বিরুদ্ধেই গোলের মুখ খুলছি। পুরোনো দলের বিরুদ্ধে গোল করে ভালো লাগছে। খেলার পর ম্যাচের সেরা হওয়ার জন্য আমার পুরোনো কোচ মার্কুয়েস এসে আমাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এটাও তো বড় পাওনা। উনি পরামর্শ দিয়েছেন, প্রশংসা করেছেন ভালো খেলার জন্য। বলেছেন, গোল নষ্ট করার জন্য আফশোস করো না। আরও পরিশ্রম করো।"
আরও পড়ুন: ইস্টবেঙ্গলের সহকারী হলেন তারকা স্প্যানিশ! ওড়িশা ম্যাচের আগেই মেগা ঘোষণা লাল-হলুদের
"আমাদের পরের ম্যাচ নর্থ ইস্টের বিরুদ্ধে। ওই ম্যাচটা জিততেই হবে। তাহলে আরও এগিয়ে যাব আমারা। শেষ চারের লড়াইটা খুব হাড্ডাহাড্ডি হচ্ছে। তাই এখন ম্যাচ ধরে এগোতে হবে। গোলটা আমি আমদের গোলকিপার অভিলাস পাল কে উৎসর্গ করছি। ও বেচারা অনুশীলনে বড় রকমের চোট পেয়ে বাইরে চলে গিয়েছে কয়েক সপ্তাহ আগে। ওর নাম লেখা জার্সিটা মাঠে নিয়ে এসেছিলাম ঠিক করেছিলাম গোল পেলে অর জার্সিটা নিয়ে উৎসব করবো। ওর ফিট হয়ে ওঠা খুব জরুরি।"
মনবীর সিং:
"ডার্বিতে গোল করেছিলাম তার পর অনেক দিন পর আবার গোল করতে পেরেছি। আমার গোলে ফেরার চেয়ে বড় বিষয়, আমরা শীর্ষে থাকা দলকে হারিয়েছি। এই ম্যাচ জেতাটা খুব জরুরি ছিল। আরও বেশি গোলে জিততে পারতাম গোল পাচ্ছিলাম না বলে আমার ওপর কোন চাপ ছিল না। জানতাম আজ না হয় কাল গোলে ফিরব। ফুটবলারদের জীবনে চড়াই উতরাই তো থাকবেই। আমারও আছে। ঈশ্বর যখন চাইবেন তখন সাফল্য আসবে। সেজন্য কোন গোলের পর আমি মাটিতে মাথা ঠুকে তাঁকে অভিবাদন জানাই কালও করেছি।"
আরও পড়ুন: “হারাটা ইস্টবেঙ্গল অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছে!” প্রাক্তনীদের বিষ্ফোরক চিঠি ক্লাবকে
"গোলটা আমি আমাদের সবুজ মেরুন সদস্য সমর্থকদের উৎসর্গ করতে চাই। কারন আমার বাবা বা পরিবারের মত তারাও আমাকে নিয়মিত মেসেজ করে আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছেন। আস্থা রেখেছেন। উদ্বুদ্ধ করেছেন। এরপর আমদের ম্যাচ নর্থ ইস্টের সঙ্গে। কঠিন ম্যাচ। আর পয়েন্ট নষ্ট করা যাবে না। আমাদের দলে কিছু চোট সমস্যা আছে। তবে আমি আমার ১০০ শতাংশ দেওয়ার জন্য তৈরি।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন