ইস্টবেঙ্গল: ০
মুম্বই সিটি এফসি: ৩ (রালতে-২, স্টিওয়ার্ট)
ডুরান্ড কাপের জয়ের আত্মবিশ্বাস নিয়ে ইস্টবেঙ্গল ঘরের মাঠে মুখোমুখি হয়েছিল মুম্বইয়ের। তবে ডুরান্ড কাপ যে অতীত, তা ম্যাচে কার্যত কান ধরে ইস্টবেঙ্গলকে সবক শিখিয়ে গেল দেশ বাকিংহ্যামের মুম্বই। যুবভারতীতে লাল-হলুদ শিবিরকে ৩-০ গোলে বিধ্বস্ত করে লিগের শীর্ষ স্থানে পৌঁছে গেল আকাশি জার্সিধারীরা। জোড়া গোল করলেন লালয়েনওয়ামা রালতে এবং স্কোরার তালিকায় নাম লেখালেন গ্রেগ স্টিওয়ার্টও।
চোটের জন্য জর্ডন ও'দোহার্তি নামাতে পারেননি। তাই এদিন কোচ কনস্টানটাইন নামিয়ে দিয়েছিলেন চারিস কিরিয়াকুকে। ম্যাচের প্রায় শুরুতেই গোল হজম করে ফেলতে পারত ইস্টবেঙ্গল। ডানদিক থেকে উঠে এসে রালতে ক্রস বাড়িয়েছিলেন গ্রেগ স্টিওয়ার্টকে। ইভান গঞ্জালেজ ধরতেই পারেননি রালতেকে ইংরেজ তারকার শট আটকে দেন কমলজিৎ। শেষমেশ বল ক্লিয়ার করেন অঙ্কিত মুখোপাধ্যায়।
মুম্বইয়ের টানা আক্রমণের মুখে ইস্টবেঙ্গল রক্ষণ যথেষ্ট নজর কাড়ছিল। তবে ২৬ মিনিটে ইস্টবেঙ্গলের যাবতীয় প্রতিরোধ শেষ হয়ে যায়। স্টিওয়ার্ট থ্রু বল বাড়িয়েছিলেন রালতেকে। সেই বল ধরে কমলজিৎকে পেরিয়ে গোল করে যান রালতে। তার কিছুক্ষণ পরেই জহুর কর্ণার থেকে প্রায় হেডে গোল করে ফেলেছিলেন মুর্তাদা ফল।
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরুর পাঁচ মিনিটের মধ্যেই স্টিওয়ার্ট দলের দ্বিতীয় গোল করে যান। বক্সের ঠিক উপর থেকে দুর্দান্ত ভলিতে গোল করেন তিনি। আর ৫৯ মিনিটেই তৃতীয় গোল আসে পাসের ফুলঝুরি ফুটিয়ে। ছাংতে, বিপিন সিং এবং জর্জে দায়াস নিজেদের মধ্যে পাস খেলে ছত্রভঙ্গ করে দেন ইস্টবেঙ্গল রক্ষণ। সেই পাস শেষমেশ জালে জড়ান রালতে।
ইস্টবেঙ্গলও গোলের সুযোগ পেয়েছিল পরিবর্ত হিসাবে নামা এলিয়ান্দ্র এবং তুহিন দাসের শট থেকে। তবে গোল আসেনি। ম্যাচের একদম শেষ লগ্নে জেরি বক্সের মধ্যে বিক্রম সিংকে ফাউল করলে পেনাল্টি পায় মুম্বই। তবে পরিবর্ত হিসাবে নামা গুরকিরত সিং মুম্বইকে চতুর্থ গোল এনে দিতে পারেননি।