ইস্টবেঙ্গল: ২ (হাওকিপ, নাওরেম মহেশ)
ওড়িশা এফসি: ৪ (পেদ্রো-২, নন্দ কুমার-২)
বিরতির আগে জোড়া গোল। আর দ্বিতীয়ার্ধে চার গোল হজম। অবিশ্বাস্যভাবে ঘরের মাঠে লজ্জার হারে মাথা হেঁট হয়ে গেল ইস্টবেঙ্গলের। বেঙ্গালুরুকে ক্রান্তিবিরায় হারিয়ে আসার পরে ঘরের মাঠে যে এরকম কলঙ্কের ফুটবল উপহার দেবে স্টিফেন কনস্টানটাইনের দল, কে ভাবতে পেরেছিল! তাও আবার প্রথমার্ধে জোড়া গোল এগিয়ে থেকে।
আগের ম্যাচে বেঙ্গালুরুকে ক্লেইটন সিলভার গোলে হারানোর পর আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে ছিল ইস্টবেঙ্গল। ঘরের মাঠে ওড়িশা বধ করে টানা দুটো ম্যাচ জয়ের লক্ষ্য ছিল লাল-হলুদ ব্রিগেডের। ম্যাচের শুরুটাও করেছিল ইস্টবেঙ্গল জমকালোভাবে। প্ৰথম থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবলে ওড়িশার অর্ধে হানা দিচ্ছিলেন ক্লেইটন, সুহের। প্ৰথম ২০ মিনিটেই দাপট দেখিয়ে বেশ কয়েকটি গোলের সুযোগ তৈরি করেছিল লাল-হলুদ ব্রিগেড।
আরও পড়ুন: বিদেশির পায়ে চাপড় মেরেই চুমু! ভারতীয়র কীর্তিতে চরম অসম্মানিত গোটা কেরালা, দেখুন মারাত্মক ভিডিও
তবে গোলের জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি। কাউন্টার এটাক থেকে ইস্টবেঙ্গলকে এগিয়ে দিয়েছিলেন হাওকিপ। রক্তের স্বাদ পেয়ে যাওয়ার পর আক্রমণে আরও ঝাঁঝ বাড়ায় ইস্টবেঙ্গল। দ্বিতীয় গোলেও সুহেরের এসিস্ট। এবার গোলদাতা মহেশ নাওরেম। ৩৪ মিনিটেই ২ গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর ভাবা হয়েছিল ওড়িশাকে গোলের মালা পরাবে ইস্টবেঙ্গল।
দু-গোলে পিছিয়ে পড়ার পর ওড়িশা বেশ কিছু গোলের সুযোগ তৈরি করেছিল। যদিও তা কাজে লাগাতে পারেনি। বিরতিতে তিনটে বদল ঘটিয়ে মাঠে দল নামান কোচ জোসেফ গাম্বু। রেনিয়ের, আইজ্যাক, সাহিল পানোয়ারকে তুলে ওড়িশার স্প্যানিশ কোচ নামান ডেনেচন্দ্র মিতেই, পেদ্রো মার্টিন এবং জেরি। আর এই পরিবর্তনই ম্যাচের ফারাক গড়ে দিল। মাঠে নামার পরে ৪৭ এবং ৪৮ মিনিটে জোড়া হল করে যান মার্টিন। পরিবর্ত হিসাবে নেমে প্ৰথম টাচেই গোল স্প্যানিশ তারকার। বল রিসিভ করে ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্সকে তছনছ করে দিয়ে ব্যবধান কমান তিনি। ঠিক তারপরের মিনিটেই পেদ্রো সমতা ফেরান দিয়েগো মরিসিওর এসিস্ট থেকে।
বিরতির পর তিন মিনিটের মধ্যেই জোড়া গোল হজম করে হচকচিয়ে যায় স্টিফেনের দল। সেই ধাক্কা আর কাটিয়ে উঠতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল।
আর জোড়া গোলই যেন চাগিয়ে দিয়ে যায় ওড়িশা এফসিকে। হাইপ্রেসিং ফুটবলে ইস্টবেঙ্গলকে মাঠে মাটি ধরিয়ে দেয় মার্টিনরা। ৬৫ মিনিটে ওড়িশাকে ৩-২ এগিয়ে দেন জেরি। ডেনেচন্দ্রর ক্রস ধরে দুর্ধর্ষ হেডে কমলজিৎকে পেরিয়ে গোল করে যান তিনি। আর ঠিক দশ মিনিট পরে ইস্টবেঙ্গলের কফিনে শেষ পেরেক পুঁতে দেন নন্দ কুমার। সার্থককে বোকা বানিয়ে কমলজিৎকে বিট করে যান তিনি।
শেষদিকে জোড়া বদল করেন কোচ স্টিফেন। সার্থক এবং জর্ডন ও'দোহার্তিকে তুলে ব্রিটিশ বস নামিয়ে দেন অঙ্কিত এবং এলিআন্দ্রকে। তবে তা কাজে আসেনি।