ইস্টবেঙ্গল: ১ (পেরসেভিচ)
ওড়িশা এফসি: ২ (জোনাথস, জাভি হার্নান্দেজ)
ছয় গোলের বদলা নেওয়া হলে না ইস্টবেঙ্গলের। ওড়িশা এফসির কাছে ১-২ গোলে হেরে ফের একবার স্বপ্নভঙ্গ হল ইস্টবেঙ্গলের। প্রথমার্ধে গোল হজম করার পরে দ্বিতীয়ার্ধে পেরসেভিচ দুরন্ত গোল করে সমতাও ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। তবে জাভি হার্নান্দেজ ওড়িশা এফসির হয়ে গোল করার পরে আর সমতা ফেরাতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল।
শেষবার যখন দুই দল মুখোমুখি হয়েছিল, টুর্নামেন্টের ইতিহাসে অন্যতম গোলবন্যার ম্যাচে পর্যবসিত হয়েছিল। ৬-৫ গোলের থ্রিলারে হার মেনেছিল ইস্টবেঙ্গল।
সোমবার ছিল সেই ম্যাচের বদলা নেওয়ার। এদিনও সেই ম্যাচের স্মৃতি উস্কে যথেষ্ট আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে ম্যাচ শুরু করেছিল ওড়িশা। প্রতিপক্ষের প্রেসিং ফুটবলের সামনে ইস্টবেঙ্গল ২৩ মিনিটেই গোল হজম করে বসেছিল। নিজেদের অর্ধে পজেশন খুঁইয়ে ফেলে লাল হলুদ। সেই বল ধরে জেভিয়ের হার্নান্দেজ বেশ কয়েকজন লাল হলুদ ফুটবলারকে কাটিয়ে পাস বাড়ান জোনাথসকে। সেখান থেকে সহজ ফিনিশিংয়ে ১-০ করেন তারকা স্ট্রাইকার।
গোল হজম করার পরে নিজেদের দ্রুত রিগ্রুপ করে নেয় ইস্টবেঙ্গল। বিরতির আগে দলগত দারুণ ফুটবল উপহার দিতে থাকেন হীরা-পেরোসেভিচরা। ৩৯ মিনিটে বক্সের ঠিক বাইরে ফ্রিকিক পেয়েছিল ওড়িশা। তবে আরিডাই সুয়ারেজের শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
৬৩ মিনিটে তিনটে পরিবর্তন ঘটান কোচ রিভেরা। সিডয়েল, লুওয়াং এবং সৌরভকে তুলে নামিয়ে দেন ফ্রান সোটা, অমরজিৎ কিয়াম এবং রাজু গায়কোয়াডকে। আর তিন পরিবর্তন ঘটানোর এক মিনিটের মধ্যেই ইস্টবেঙ্গলকে সমতা ফেরান পেরোসেভিচ।
মাঠের মাঝমাঠ থেকে প্রেসির পা থেকে সেই আক্রমণের সূচনা হয়েছিল। তাঁর ফরোয়ার্ড পাস ধরে কয়েকজন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে গোল করে সমতা ফিরিয়ে দিয়েছিলেন ক্রোট তারকা।
এর পরে অবশ্য বেশিক্ষণ ম্যাচে টিকতে পারেনি লাল হলুদ। ৭৫ মিনিটে জোনাথসের সহায়তায় এবার জয়সূচক গোল করে যান জেভিয়ের হার্নান্দেজ।
ইস্টবেঙ্গল: শঙ্কর রায়, আদিল খান, হীরা মন্ডল, ড্যারেন সিডোয়েল, ফ্রানজো প্রেসি, নাওচো সিং, নাওরেম মহেশ, আঙ্গুসানা, পেরোসেভিচ, সৌরভ দাস, মার্সেলো রিবেইরো
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন