ইনভেস্টর ইমামির সঙ্গে ইস্টবেঙ্গলের সই সাবুদ পর্ব মেটার পথে। সমর্থকরা আপাতত ক্লাবের চুক্তি পর্ব সম্পন্ন হওয়ার থেকেও তাকিয়ে রয়েছে দল গঠনের দিকে। বাকি ক্লাবের থেকে ইস্টবেঙ্গল এই মরশুমেও দল গঠন পিছিয়ে থেকে শুরু করছে। এর মধ্যেই ইস্টবেঙ্গল বেশ কয়েকজন তারকার সঙ্গে প্রাক-চুক্তি সই করেছে। স্প্যানিশ ডিফেন্ডার ইভান গঞ্জালেজকে স্কোয়াডে রেখেছে ইস্টবেঙ্গল। ইস্টবেঙ্গলের মূল সমস্যা স্কোয়াডে কোর টিম নেই। তাই বাছাই পর্বে কার্যত বাছ-বিচার করার মত জায়গায় নেই যা হলুদ শিবির।
তাই দলগঠনে ইস্টবেঙ্গলে প্রাধান্য পাবে আইএসএলে অভিজ্ঞ ইউটিলিটি তারকারাই। যাঁরা একাধিক পজিশনে খেলতে স্বচ্ছন্দ। এই তিন তারকাকে ইস্টবেঙ্গল টার্গেট করতে পারে-
আরও পড়ুন: মোহনবাগান দিবসে চমক হতে পারেন পোগবা! বড় ঘোষণার পথে সবুজ মেরুন শিবির
জেরি লালরিনজুয়ালা (লেফট ব্যাক): সূত্রের খবর সত্যি হলে চেন্নাইয়িন এফসির প্রাক্তন এই লেফট ব্যাককে নিতে পারে। গত মরশুমে মাচানসদের জার্সিতে ১৮ ম্যাচ খেলেছিলেন এই তারকা। আইএসএলে ১৫৫৮ মিনিট খেলা তারকাকে পাওয়ার পথে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে ইস্টবেঙ্গল।
২০১৬-য় আইএসএলে আবির্ভাবেই নজর কেড়ে নিয়েছিলেন তারকা। সেই মরশুমে মাত্র ১৮ বছরে বয়সেই আইএসএলের এমার্জিং প্লেয়ারের তকমা জিতে নেন। পরের মরশুমে ডিএসকে শিবাজিয়ান্স দলের হয়ে আবার আইলিগে সেরা এমার্জিং প্লেয়ারের খেতাব জিতে নেন। লেফট ব্যাক পজিশনে ইস্টবেঙ্গলের নয়া কোচের উদ্বেগ অনেকটাই মেটাতে পারবেন তিনি।
ঋত্বিক কুমার দাস (রাইট উইঙ্গার): গত মরশুমে দুর্ধর্ষ গিয়েছে ঋত্বিক দাসের। জামশেদপুর এফসির হয়ে ১৭ ম্যাচে তাঁর নামের পাশে রয়েছে ৪ গোল। গোলও করিয়েছেন একটি। উইঙ্গার হিসাবে মাঠে সৃজনশীলতার ছাপ রেখেছেন। দলকে লিগ উইনার্স শিল্ড জিততে সাহায্য করেছেন। চলতি বছরের মে মাসেই জামশেদপুরের সঙ্গে চুক্তি শেষ হয়েছে ঋত্বিক দাসের। তবে আরও এক বছর খেলার অপশন রয়েছে।
লাল হলুদ শিবির বঙ্গ সন্তানকে টার্গেট করতেই পারে। কলকাতার ক্লাবে খেলার বিষয়ে ভালোই ওয়াকিবহাল ঋত্বিক। বড় ক্লাবের প্রস্তাবে 'হ্যাঁ' করে দিতে পারেন তিনিও।
আরও পড়ুন: ডার্বিতে খলনায়ক! ভুলের প্রায়শ্চিত্ত করতে বিখ্যাত স্প্যানিশ ক্লাবে ইস্টবেঙ্গলের অরিন্দম
সৌভিক চক্রবর্তী (রাইট ব্যাক/ সেন্ট্রাল মিডফিল্ড): গত এক দশক ধরেই সৌভিক শীর্ষ পর্যায়ে খেলার অভিজ্ঞতা অর্জন করে ফেলেছেন। স্কিল তো বটেই সেই সঙ্গে ওয়ার্ক এথিকেও দেশের সেরাদের অন্যতম বাঙালি এই ফুটবলার। ম্যাচের টেম্পো অনুযায়ী খেলা নিয়ন্ত্রণ করতেও তাঁর জুড়ি মেলা ভার। আইএসএলে ১০০-র বেশি ম্যাচ খেলে ফেলেছেন সৌভিক। ইস্টবেঙ্গল স্কোয়াডে সৌভিকের মত অভিজ্ঞ মিডফিল্ড জেনারেলের প্রয়োজন রয়েছে।