এটিকে মোহনবাগান: ২ (কার্ল ম্যাকহিউ-২)
কেরালা ব্লাস্টার্স: ১ (দিয়ামানতাকোস)
প্রবল চাপ। যত দিন যাচ্ছিল ততই যেন চাপ বাড়ছিল এটিকে মোহনবাগানের। শেষ হাফডজন ম্যাচে খেই হারিয়ে ফেলা এটিকে মোহনবাগান ঝুলিতে তুলেছিল মাত্র ৪ পয়েন্ট। এতেই নকআউটে পৌঁছনোর বিষয়ে প্রবল সংশয় তৈরি হয়েছিল।
তবে শনিবার বাগানের স্প্যানিশ কোচ হুয়ান ফেরান্দোকে অক্সিজেন জুগিয়ে গেলেন দলের আইরিশ তারকা কার্ল ম্যাকহিউ। দুই অর্ধ মিলিয়ে জোড়া গোল করে এটিকে নকআউট নিশ্চিত করে ফেলল শনিবার। সেই সঙ্গে ডার্বিতে লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে খেলতে নামার আগে স্বস্তিতে ঘুমোনোর বন্দোবস্ত করে দিল শনিবাসরীয় মেগা ম্যাচ।
ডার্বির আগে কার্যত মরণ-বাঁচন ম্যাচ। সেই ম্যাচে কোচ ফেরান্দোর হৃদকম্প বাড়িয়ে কেরালাকে এগিয়ে দিয়েছিলেন কেরালার দিয়ামানতাকোসের দুর্ধর্ষ গোলে। জিয়াননু নো-লুক পাস ধরে বাগান ডিফেন্সকে মাটি ধরিয়ে কেরালাকে প্রথম গোল এনে দিয়েছিলেন গ্রিক তারকা।
তবে বেশিক্ষণ সেই লিড ধরে রাখতে পারেনি কেরালা। ২৩ মিনিটে পেত্রাতোসের নিখুঁত ক্রস জালে জড়িয়ে বাগানকে লাইফলাইন দেন ম্যাকহিউ। দ্বিতীয়ার্ধের ৭১ মিনিটে দলের হয়ে জয়সূচক গোল করে যান তিনি।
বিরতির আগে দুই দলই উত্তেজক ফুটবল খেলেছিল। প্রথম পাঁচ মিনিটেই দুই দল গোলের সুযোগ পেয়েছিল। তবে গোলের সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি কোনও দলই। বাঁ প্রান্ত থেকে বারবার বাগান রক্ষণকে ব্যতিব্যস্ত করছিলেন ব্রায়েস মিরান্দা। ১৬ মিনিটে কেরালার গোলের পিছনে জিয়ান্নি, কালিউজনী এবং দিয়ামানতাকোস। এরপরে কার্লের গোলে সমতা ফেরে।
বিরতির পর ৬৪ মিনিটে জোড়া হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়ে রাহুল কেপি। দশ জনের কেরালার জালে শেষমেশ বল জড়াতে বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি বাগানকে। ৭১ মিনিটে মনবীরের পাস থেকে জয়সূচক গোল করে যান কার্ল ম্যাকহিউ।