গোটা মরশুম ধরেই একের পর এক অজুহাত। লিগ পর্ব শেষের পরেও স্টিফেন কনস্টানটাইনের গলায় অজুহাতে বন্যা। সেই ভাঙা রেকর্ড শুনিয়ে দিলেন শনিবাসরীয় ডার্বি হারের পর। ম্যাচের পর সাংবাদিক সম্মেলনে এসে ব্রিটিশ কোচ সরাসরি দেরিতে দলগঠন প্রক্রিয়াকেও দায়ী করে গেলেন।
বলে দিলেন, "আমি যে বিষয় বুঝতে পেরেছি যে আপনাকে আগে থেকে দলগঠনের প্রস্তুতি নিতে হবে। যদি আগস্টে শুরু করা যেত, তাহলে কিছু করার আশা করা যেতে পারত। আমি অক্টোবর থেকে ভারতীয়, বিদেশি ফুটবলারদের স্পট করার চেষ্টা করেছিলাম। জ্যাক (জার্ভিস) আনতে পেরেছি শেষমেশ। কিন্তু আমার টার্গেটে থাকা বেশ কয়েকজন তারকাকে সই করাতে পারিনি।"
আরও পড়ুন: কালান্তক ডার্বি কেড়ে নিয়েছে হৃদয়ের মানুষকেই! ইস্টবেঙ্গল থেকে মুখ ফেরালেন বাগুইহাটির বীরাঙ্গনা
এখানেই না থেমে ব্রিটিশ কোচের গলায় আরও অনুযোগ, "পরের সিজনের জন্য আমাদের এখন থেকেই সক্রিয় হতে হবে। কারণ সময় বয়ে যাচ্ছে এবং শেষ পর্যন্ত আমরা আবার এমন ফুটবলারদের সই করাতে হবে যাদের অন্য ক্লাব বাতিল করেছে। তবে আমাদের উজ্জ্বল দিকটাও দেখা দরকার। লিগের সেরা গোলদাতাদের তালিকায় ইস্টবেঙ্গল থেকেও একজন রয়েছে।"
মুম্বই সিটিকে হারিয়ে অনেক আশা জাগিয়ে খেলতে নেমেছিল যুবভারতীর ডার্বিতে। গোটা ম্যাচ জুড়েই অজস্র সুযোগও তৈরি করে ইস্টবেঙ্গল শিবির। তবে বক্সের মধ্যে কাজে লাগাতে পারেননি ক্লেইটন, জ্যাক জার্ভিসরা। প্রথমার্ধে এটিকে মোহনবাগানকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছিল ইস্টবেঙ্গল। তবে বিরতির পর স্লাভকোর গোল ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। এরপরে গোল শোধে মরিয়া হয়ে আক্রমণে লোক বাড়ান লাল হলুদ কোচ। এই সুযোগে একদম শেষলগ্নে জয়সূচক গোল করে যান পেত্রাতোস।
ম্যাচে দল একদমই মোড় ঘোরানোর মত পরিস্থিতি তৈরি করতে পারেননি বলে আক্ষেপ করে গেলেন কনস্টানটাইন। বলে দেন, "ম্যাচের মোড় ঘোরানোর মত সেরকম কোনও মুহূর্ত তৈরি করতে পারিনি আমরা। এই ম্যাচে জয় আমাদের প্রাপ্য ছিল না। তবে এই ম্যাচ থেকে এক পয়েন্ট সংগ্রহ করতে না পারাটাও দুর্ভাগ্যজনক।"
আরও পড়ুন: বয়কটের ‘ডার্বি’তে ৮-এ ৮! বাগানের টোটাল ফুটবলে যুবভারতীর রং সবুজ-মেরুন
এই নিয়ে টানা তিনটে সিজনে আইএসএল-এ শেষের দিকে ফিনিশ করল লাল-হলুদ শিবির। এবার লিগ খতম হল দশম স্থানে থেকে। কনস্টানটাইন তবু বলছেন, "আমরা কি গত দুই বাবল সিজন থেকে এগোতে পেরেছি? আমার বিশ্বাস আমরা পেরেছি।"