বুধবার বেঙ্গালুরু এফসির বিপক্ষে আইএসএল-এর দ্বিতীয় ম্যাচে নামছে হুয়ান ফেরান্দোর মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। আইএসএল-এর সেই ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল। তারপর এবার আবার মোকাবিলার মঞ্চে দুই দল। শক্তি বাড়িয়ে এবার মোহনবাগান টুর্নামেন্টের সবথেকে শক্তিশালী দল। অন্যদিকে, বেঙ্গালুরুও যে কোনও দলকে চ্যালেঞ্জ জানানোর সামর্থ্য রাখে।
গতবারের ফাইনালিস্ট দল এবার মনের মত শুরু করতে পারেনি টুর্নামেন্ট। সাদার্ন ডার্বিতে প্ৰথম ম্যাচেই কেরালা ব্লাস্টার্সের কাছে ২-১' এ হেরে গিয়েছে ব্লুজরা। এবার যুবভারতীতে হাজার হাজার দর্শকের সামনে নামবে সুনীল ছেত্রীর দল। যদিও ক্যাপ্টেন সুনীল এশিয়ান গেমস খেলতে চিনে। টগবগে মোহনবাগানকে হারানোর ক্ষমতা ধরে। এমনটাই এবার বলে দিচ্ছেন বেঙ্গালুরুর এফসির কোচ সাইমন গ্রেসন। জানাচ্ছেন তাঁদের স্কোয়াডে প্রতিভাবান ফুটবলারে ভর্তি। যাঁরা অঘটন ঘটানোর সামর্থ্য রাখেন।
মেগা-ম্যাচের আগে ইংলিশ বস বলছেন, "প্রি-সিজন যা হয়েছে, তাতে আমরা আত্মবিশ্বাসী। দলে কোয়ালিটি ফুটবলারের অভাব নেই। জানি ম্যাচ কঠিন হতে চলেছে। নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী পারফর্ম করতে পারলে জয় না পাওয়ার কোনও কারণ নেই।"
মোহনবাগান প্ৰথম ম্যাচে মোটেই নিজেদের সেরা ছন্দে ছিল না। তা স্বত্ত্বেও আইলিগ চ্যাম্পিয়ন পাঞ্জাব এফসির বিপক্ষে বড় ব্যবধানে জয় পেতে কোনও সমস্যা হয়নি। ৩-১ গোলে পাঞ্জাবকে উড়িয়ে দিয়েছিল মেরিনার্সরা। দিমি পেত্রাতোস, কামিন্স যেমন গোল করেছিলেন। তেমন স্কোরশিটে নাম লিখিয়েছিলেন মনবীর সিং-ও।
আইএসএল ফাইনালের পর ফের দ্বন্দ্বযুদ্ধে অবতীর্ণ দুই দল। সেই ফাইনাল দেখেছিল বাগানের দুর্ধর্ষ কামব্যাক। টাইব্রেকারের থ্রিলারে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাগান। তবে সেই ম্যাচকে আপাতত অতীত বলছেন গ্রেসন।
ইংলিশ কোচের বক্তব্য, "অতীতে যা হয়েছে, তা আপাতত ইতিহাস। এখন সামনে এগোনোর সময় হয়েছে। আশা করি, গত সিজনে কলকাতায় যেমন খেলেছিলাম, সেরকম পারফরম্যান্স মেলে ধরতে পারব। জয় নিয়ে কলকাতা ছেড়েছিলেন। মাঠে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছুড়ে দিতে চাই আমরা। আক্রমণে প্রতিপক্ষকে বিপর্যস্ত করতে চাই। ক্লিন শিট রাখার পাশাপাশি ফাইনাল থার্ডে নিখুঁত ফুটবল উপহার দিতে চাই আমরা।"